গ্রিনকার্ড, ওয়ার্ক পারমিট ও ট্রাভেল ডকুমেন্টের অপেক্ষার সময় দিন দিন বেড়েই চলেছে। গ্রিনকার্ড ইস্যুর সময় ৬ মাসে নামিয়ে আনার কথা বলা হলেও কোনটা আসছে, কোনটা আসছে না। এক থেকে তিন বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে অপেক্ষার পর অসহনীয় অপেক্ষার কারণে ওয়ার্ক পারমিটের এবং ভ্রমণ অথরাইজেশনের জন্য সমাধান খুঁজতে আবেদনকারীদের কোর্টের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। গত দুই বছর ধরে ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রতার মামলা, যা ম্যানডামাস রিট হিসেবে ফাইল করা হয়েছে তা টেবিলে স্তূপ হয়ে রয়েছে। এই বছরের শেষে এই ধরনের আবেদনের সংখ্যা ৬ হাজার ২০০ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ট্রানজেকশনাল রেকর্ডস একসেস ক্লিয়ারিং হাউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ২ বছর আগে এ বিষয়ে যেসব মামলা দায়ের হয়েছিল এ সংখ্যা তার তিনগুণ। এই ধরনের ইমিগ্রেশন মামলা ২০১৯ সালের পূর্বে কদাচিৎ ফাইল করা হতো। রিটস অব ম্যানডামাস ফেডারেল এজেন্সির বিরদ্ধে দাখিল করা হয় তাদের প্রশাসনিক কর্তব্য পালনে আইনগত বাধ্যবাধকতা সৃষ্টির জন্য। এই মামলা করা হয় এজেন্সি যাতে এককভাবে বা অন্যভাবে এজেন্সি যাতে আবেদনের ওপর সিদ্ধান্ত দেয়। ম্যানডামাস অ্যাকশন বস্তুত এজেন্সিকে সিদ্ধান্ত দিতে বাধ্য করার মামলা। বিলম্ব খণ্ডানোর জন্য এ মামলার কোনো বিকল্প নেই।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য প্রায় ১৫ হাজার অ্যাটর্নিকে অতিরিক্ত বিলম্ব খণ্ডানোর জন্য ম্যানডামাস রিট করার উপদেশ দিচ্ছে। ম্যানডামাস অপশনে অনেক সময় সরকারি উকিলরা কোর্টে তা ফাইট করার চেয়ে নিজেদের মধ্যে সেটল করার উদ্যোগ নেয়। ইউএসসিআইএস ম্যানডামাস রিট খণ্ডাতে এ বছর ওয়ার্ক পারমিটের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় পন্থায় সময় বাড়িয়ে দিয়েছে।