অ্যাসাইলাম অফিসে যাদের আবেদন আটকে আছে তাদের ব্যাকলগ কমাতে সিটিজেনশিপ ও ইমিগ্রেশন সার্ভিস কতিপয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে। গত ডিসেম্বর মাস থেকে অদ্যাবধি ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ অ্যাসাইলাম আবেদন স্থগিত রয়েছে বিভিন্ন অ্যাসাইলাম অফিসে। অধিকাংশ অ্যাসাইলাম আবেদনকারী কোনো সাক্ষাৎকার অদ্যাবধি লাভ করেনি। বর্তমানে ইমিগ্রেশন সার্ভিস ৮০ জন নতুন অ্যাসাইলাম অফিসার নিয়োগ দিয়েছে।
এই নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসাররা যেসব আবেদনকারী ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারির পূর্বে অর্থাৎ ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আবেদন জমা দিয়েছেন তাদের ক্রমানুসারে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবেন। ২০১৬ সালের জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে যেসব আবেদন জমা পড়েছে তাদেরও ক্রমান্বয়ে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। বিভিন্ন লবিস্ট ফার্ম ও আইনজ্ঞদের প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালের পূর্বে যেসব আবেদন জমা পড়েছে তাদের সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য তদবির করে আসছে। এই প্রেক্ষিতে ৮০ জন নতুন অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখন তাদের প্রশিক্ষণ চলছে। তবে কখন থেকে এই অ্যাসাইলাম অফিসাররা কাজ শুরু করবেন তা জানা যায়নি।
আগামী কয়েক মাসে তারা কাজে যোগ দেবেন বলে অনুমান করা যায়। কোথায় এসব অফিসার নিয়োগ দেয়া হবে তাও জানা নেই। তবে আনুপাতিক হারে সারা দেশেই তাদের নিয়োগ হবে বলে এক তথ্যাভিজ্ঞ মহল জানিয়েছে। তারা কীভাবে সাক্ষাৎকার শুরু করবেন তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তারা কি প্রথম সব পুরোনো মামলা নিয়ে কাজ করবেন? অথবা বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেসব মামলাকে মনে করা হচ্ছে যেমন- আফগানিস্তান থেকে যারা এসেছেন, তাদের প্রথম সাক্ষাৎকার নেবেন। আফগানিদের অন্যজনের আবেদনের আগেই ডাকা হচ্ছে।তারা যেসব মামলা এক বছরের পরে পেশ হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায়োরিটি কে তা নির্ধারণ করে সাক্ষাৎকার নেবেন।
অভিজ্ঞমহলের মতে, একজন অ্যাসাইলাম অফিসার সপ্তাহে ৮ জনের সাক্ষাৎকার নিতে পারেন। তাতে প্রতিজন বছরে ৪০০ জনের সাক্ষাৎকার নিতে পারেন আর ৮০ জন নিতে পারেন ৩২ হাজার। কত মামলা ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত ছিল, তা জানা না থাকলেও এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ মামলা। কাজেই সকল অফিসার এক বা দুই বছরের মধ্যে সকল ব্যাকলগ শেষ করতে পারে বলে ধারণা। কাজেই ২০১৬ সালে ১ জানুয়ারির পূর্বে যারা আবেদন পেশ করেছেন, তাদের সকলের উচিত ডকুমেন্ট ও অ্যাভিডেন্স জোগাড় করা। নতুন অ্যাসাইলাম অফিসাররা ২০১৫ সালের মামলা নিষ্পত্তির পর ২০১৬ ও ২০১৭ সালের মামলাসমূহ নিয়ে কাজ করবেন। এখন দেখা যাচ্ছে, অনেক কম সময় দিয়ে সাক্ষাৎকারে ডাকা হচ্ছে। লাস্ট ইন ফার্স্ট আউট বা শেষে আসলে আগে ডাকার বিষয়টি অনিয়মিত হয়েছে। তবে বিধি এখনো চালু আছে।
অনলাইনে ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন : সেসব ইমিগ্র্যান্টকে প্যারোল দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে, তাদের ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন বা আই-৭৬৫ এখন থেকে অনলাইনে পেশ করা যাবে।