বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার জন্মদিন পালন


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 11-08-2022

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার জন্মদিন পালন

দেশে ন্যায় প্রবাসেও যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষে ওয়াশিংন বাংলাদেশ দূতাবাস, জাতিসংঘে স্থায়ী মিশন এবং নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠন কোনো কর্মসূচি পালন করেনি।

বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন

গত ৮ আগস্ট জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বুলেটে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আলোচনা পর্বের শুরুতে মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপনকে জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে তাঁর অসমান্য অবদানের নানাদিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।

দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা; অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু জাতির পিতার সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন জাতির পিতার সুদীর্ঘ সংগ্রামে ও সকল সংকটে এক অকুতোভয়, বিশ্বস্ত ও নির্ভীক সহযাত্রী। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুকে মনের কথা তুলে ধরতে পরামর্শ দিয়েছিলেন বঙ্গমাতা।

বঙ্গমাতা কীভাবে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দলীয় কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ভূমিকা রেখেছেন, কীভাবে অবলীলায় দলীয় কর্মী এবং দলের প্রয়োজনে তাঁর সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন; রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকে অটল থাকতে কীভাবে সাহস জুগিয়েছেন, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেও হাসিমুখে কীভাবে সংসার আগলে রেখেছেন, ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে কীভাবে নির্লোভ ও সাধাসিধে জীবনযাপন করেছেন তার নানাদিক উঠে আসে স্থায়ী প্রতিনিধির বক্তব্যে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, উদারতা, মানবিক হৃদয় এবং সাদামাটা জীবনযাপনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, বঙ্গমাতার আদর্শ থেকেই এমন গুণাবলি অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের নারীরা বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ ও মূল্যবোধে উজ্জীবিত দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।

উন্মুক্ত আলোচনায় মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচকরা বঙ্গমাতাকে জাতির পিতার রাজনৈতিক সাফল্যের অনন্য উৎসবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করেন। সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পরতে পরতে বঙ্গমাতার ভূমিকা এবং তাঁর আদর্শ যুগে যুগে কালে কালে বাঙালি নারীদের জন্য আলোর দীপশিখা হয়ে অনুপ্রেরণা জোগাবে মর্মে উল্লেখ করেন আলোচকরা। 

ওয়াশিংটন ডিসিতে 

পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের মহান আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে গত ৮ আগস্টযথাযোগ্য মর্যাদায় ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।এ উপলক্ষে দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধনমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাহেদুল ইসলাম ও মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. দেওয়ান আলী আশরাফ। পরে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতমো. সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলামমো. হাসিবুল আলম অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিরক্ষা সচিব হাসিবুল আলম তার বক্তব্যে বঙ্গমাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতির পিতার জীবনসঙ্গী হিসেবে বঙ্গমাতার ভূমিকার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রদূত ইসলাম তার বক্তৃতায় পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি বঙ্গমাতার অসামান্য আত্মত্যাগের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জীবনে তার প্রভাব এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ নির্ধারণে তার নেপথ্যের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ডেপুটি চিফ অব মিশন ফেরদৌসি শাহরিয়ার, সাংবাদিক রোকেয়া হায়দার ও কাউন্সেলর আরিফা রহমান রুমা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং অন্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।



প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)