আমার সবচেয়ে বড় শক্তি সততা : শাওন


আলমগীর কবির , আপডেট করা হয়েছে : 27-03-2022

আমার সবচেয়ে বড় শক্তি সততা  : শাওন

মেহের আফরোজ শাওন একাধিক পরিচয়ে পরিচিত। অভিনেত্রী, গায়িকা, স্থপতি, পরিচালক ও লেখক হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার। অভিনয় কিংবা গানে তাকে নিয়মিত দেখা যায় না। তবে তার কাজ নিয়ে দর্শক, ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। তার জীবনের একটি বড় অংশ দুই সন্তান নিষাদ হুমায়‚ন ও নিনিত হুমায়‚ন। কর্মজীবন, সন্তানদের সঙ্গে কাটানো সময়, হুমায়‚ন আহমেদের স্মৃতি নিয়ে সম্প্রতি মেহের আফরোজ শাওন কথা বলেছেন দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাতকারটি  নিয়েছেন আলমগীর কবির

প্রশ্ন : করোনার পর সময়টা এখন অনেকটা স্বাভাবিক। আপনি কি স্বাভাবিক ব্যস্ততায় ফিরতে পেরেছেন?

মেহের আফরোজ শাওন : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একটু কমেছে; তবে আমার সবাই বিপদ মুক্ত এ কথা কিন্তু বলা যাবে না। আমি এখনো আগের মতোই সতর্কতা অবলম্বন করি। এটা ঠিক যে এখন বাইরে বের হওয়া হচ্ছে নিয়মিত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি। কেউ দাওয়াত করলে সেখানে চলে যাচ্ছি। কিন্তু ব্যক্তিগত কাজের জায়গাটায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে বোধ হয় আরো কিছুদিন সময় লাগবে আমার। 

প্রশ্ন : আপনার তো অনেক পরিচয়। গায়িকা, অভিনেত্রী, স্থপতি- কোন পরিচয় বেশি প্রিয়?

মেহের আফরোজ শাওন : আলাদা করে কিছু বলার নেই, কারণ সব পরিচয়ই আমার প্রিয়। আমি সব কাজ করি বলেই এগুলোর সঙ্গে জড়িত। ভালো না লাগলে আমি তো এসব কাজ করতাম না। আমার সব পরিচয় আমার কাছে সমানভাবে প্রিয়।

প্রশ্ন : অভিনয় ও পরিচালনায় আপনাকে দেখা যাচ্ছে না ইদানীং...

মেহের আফরোজ শাওন : মাঝে নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ গেল। তাই বিরতিতে ছিলাম বেশ কিছুদিন। এখনো আমি দূরেই। তবে অভিনয় আর পরিচালনা থেকে দূরে সরে আসার কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই আমার।

প্রশ্ন : গান নিয়ে নতুন কোনো পরিকল্পনা?

মেহের আফরোজ শাওন : সত্যি বলতে আমার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখন সেসব নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কারণ সবকিছু পরিকল্পনামাফিক বাস্তবায়ন হয় না। যখন কাজটা হবে, তখন সবার সামনে আসবে। সে সময় আমি কথা বলব।

প্রশ্ন : শাওনের সবচেয়ে বড় শক্তি কী?

মেহের আফরোজ শাওন : আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার সততা। এটার জন্যই আমি আজ এখানে আসতে পেরেছি।

প্রশ্ন : ‘যদি মন কাঁদে’-এর দ্বিতীয় অধ্যায় নিয়ে কাজ করার অনুভ‚তি কেমন ছিল?

মেহের আফরোজ শাওন : কাজ করার প্রথমে কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম। এটা আদৌ করা ঠিক হচ্ছে কিনা, কিংবা এটাকে দ্বিতীয় অধ্যায় বলা সঠিক কিনা, এটা আমাকে অনেক ভাবিয়েছে। তবে কাজটা শেষ হওয়ার পর আমি বেশ সন্তুষ্ট। বুঝতে পেরেছি চমত্কার একটি কাজ হয়েছে।

প্রশ্ন : নিষাদ আর নিনিতকে নিয়ে আপনার সময় কেমন যাচ্ছে?

মেহের আফরোজ শাওন : বাচ্চাগুলো বড় হচ্ছে, তাদের চোখের সামনে বড় হতে দেখছি। ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার এ প্রক্রিয়ার মাঝে নানা ভাঙা-গড়া আছে। বয়সের সঙ্গে মানসিকতার পরিবর্তন আসে। এসব তো আমার জন্য একদম নতুন অভিজ্ঞতা। এ অভিজ্ঞতায় মাঝে মাঝে মুখ থুবড়ে পড়ছি আর মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়াচ্ছি। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ! বেশ ভালো সময় কেটে যাচ্ছে আমাদের।

প্রশ্ন : হুমায়‚ন আহমেদের সঙ্গে কোন কোন বিষয়ে তাদের মিল দেখছেন?

মেহের আফরোজ শাওন : প্রতিটি শিশুরই বাবা-মায়ের সঙ্গে মিল থাকে। আসলে নির্দিষ্ট করে কয়েকটি বলা সম্ভব নয়। নিষাদ আর নিনিত তো এখনো অনেক ছোট, ভবিষ্যতে বড় হওয়ার নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ওরা যাবে। তাই বড় হওয়ার পর মূলত বোঝা যাবে বাবা-মায়ের কোন বিষয়গুলোর সঙ্গে ওদের মিল। এখন ওদের সব কাজেই কোনো না কোনো মিল পাওয়া যায় বাবা-মা দু’জনের সঙ্গেই।

প্রশ্ন : হুমায়‚ন আহমেদ মানুষকে চমকে দিতে ভালোবাসতেন। ছেলেরা আপনাকে অবাক করে দিয়েছে এমন কোনো ঘটনা আছে কি?

মেহের আফরোজ শাওন : চমকে দিতে হবে এমন কোনো ভাবনা এখন আমার নেই। এখন যেমন অস্থির পৃথিবী, সেখানে সুস্থভাবে তাদের বেড়ে ওঠা জরুরি। বিশেষ করে মানসিকভাবে তারা সুস্থ থাকলেই আমি খুশি। ওদের নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। প্রতিটি পরিবারেই অনেক সুন্দর মুহ‚র্ত থাকে বাচ্চাদের নিয়ে। আমারও এমন অনেক অগণিত মুহ‚র্ত রয়েছে। 

প্রশ্ন : হুমায়‚ন আহমেদের স্মৃতি সংরণ নিয়ে কোনো নতুন পরিকল্পনা?

মেহের আফরোজ শাওন : আমার ইচ্ছা হুমায়‚ন আহমেদের স্মৃতি সংরণে একটি জাদুঘর নির্মাণ করার। তিনি নুহাশপল্লীতে রয়েছেন, তাই সেখানেই জাদুঘরটি করার ইচ্ছা।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)