২০১৪ সালে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সংঘটিত এক অপ্রীতিকর ঘটনায় ভার্জিনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে জিআই রাসেলকে এক বছরের জন্য অব্যাহতি প্রদান করা হয়। কিন্তু এক বছর পার হবার পরও তার সাময়িক অব্যাহতি প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ কোনো বিবৃতি প্রদান করেনি।
দীর্ঘ প্রায় আট বছর প্রতীক্ষার পর জিআই রাসেল বিষয়টি আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের নজরে আনলে বিষয়টি বিবেচনায় নেয় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। অবশেষে ১৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জিআই রাসেলকে পুনরায় ভার্জিনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্বহাল করা হয় যা ১৭ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। দলের প্রতি নিষ্ঠা দলের নিয়ম-কানুন মেনে চলায় জি আই রাসেলকে তার স্বপদে পুনর্বহাল করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনে জিআই রাসেল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। জন্ম থেকেই তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়ি রয়েছেন। ঢাকা মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্রলীগের তিনি অন্যতম নেতা ছিলেন এবং ওয়াশিংটনে আসার পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করেন। এছাড়াও জি আই রাসেল ওয়াশিংটনে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি আমেরিকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি। ২০২১ সালে তিনি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ৩৫তম ফোবানা সম্মেলনে কনভেনারের দায়িত্ব পালন করেন যা ফোবানার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এছাড়াও তিনি ২০১১ সালে কনভেনার এবং ২০০৯ সালে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি ও তার সংগঠন এবিএফএস বৃহত্তর ওয়াশিংটনে ৩-৪শ পরিবারকে মাসব্যাপী খাদ্য ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করেন। ভার্জিনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে জিআই রাসেলের পুনর্বহাল ওয়াশিংটনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।