টি-২০ তে ইংল্যান্ড বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন


সালেক সুফী,অস্ট্রেলিয়া থেকে , আপডেট করা হয়েছে : 13-11-2022

টি-২০ তে ইংল্যান্ড বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন

আগুন ঝড়া এক ফাইনালের ছিল প্রতীক্ষা। যেভাবে ইংল্যান্ড পাকিস্তান খেলে আসছে গোটা টুর্নামেন্ট, তাতে ওই চাওয়া মোটেও অপ্রত্যাশিত নয়। কারন টুর্নামেন্টের সেরা দুই দলই এবার ফাইনালে খেলেছে এমসিজিতে। কিন্তু স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৮০ হাজারেরও অধিক মানুষের মন ভরাতে পারেনি ম্যাচে দুই দলের পারফরমেন্স। এমনতিইে বৃষ্টি একটা দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাড়িয়েছিল।


খেলা হবে কি না সন্দেহ ছিল তাতে। সাথে রিজার্ভ ডের দিকেও নজর। এরই মধ্যে অনুষ্টিত ম্যাচে পাকিস্তানকে পাচ উইকেটে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড। এটা এ আসরের দ্বিতীয় শিরোপা ইংলিশদের। 

মেঘ বৃষ্টি যেমনটা ম্যাচের স্বাভাবিক আনন্দে ভাটার কারন তৈরী করেছিল। ঠিক ম্যাচেও পাকিস্তানের পারফরমেন্স মন ভরাতে পারেনি। উপভোগ্য ম্যাচ হয়ে ওঠেনি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের জন্যই। আসলে ব্যাটসম্যানদের যে খুব একটা দোষ তাও নয়। বৃষ্টি আবহাওয়ায় টস ছিল ভাইটাল। সেটাতে ইংল্যান্ড জিতে প্রথম ব্যাটিং করতে ঠেলে দেয় পাকিস্তানকে।


এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের কী ধরনের ব্যাটিং প্রয়োজন সে বিষয়ের পরামর্শটা ম্যাথু হেইডেন কতটা দিয়েছে তা ম্যাচে পরিলক্ষিত হয়নি। সুচনা থেকেই বাবর আজম ও রিজওয়ান মিলে বল যথার্থ কানেক্ট করতে পারছিলেন না। এর সঙ্গে ইংল্যান্ডের বোলারদের মুন্সিয়ানার যথেষ্ট ছাপ ছিল বোলিংয়ে। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের সুচনা পাকিস্তানের মত হয়নি। গোটা ইনিংসই চলে তারা খুড়িয়ে। প্রথম দশ ওভারে যে রান ৬৮/২ রান করে বেশ চাপেই পরে যায়। এরপর শুরু হয় পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের তাড়াহুড়া। উইকেটে অনুসারে যে ব্যাটিংটা প্রয়োজন দেখেশুনে খেলা। সেটা রেখে বিগ শটস নিতেই ব্যাস্ততা দেখা গেছে। যাতে করে দ্বায়িত্বশীল ব্যাটসম্যানরা থাকেন আসা যাওয়ার মধ্যে। 



অবশ্য এখানে একটা তাড়া ছিল যে, ইংল্যান্ড ভারতের সেমিফাইনাল ম্যাচ। যেভাবে দুই ব্যাটসম্যান সহজেই খেলেছে, সেদিক বিবেচনা করে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে কিছুটা চাপ ছিল। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১৩৭/৮ রান সংগ্রহ করে। 

ইংল্যান্ডের এ রান কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না ভেবে ম্যাচ পানসে হয়ে গেলেও পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদী ম্যাচে উত্তেজনা তৈরী করে। তার করা প্রথম দুই ওভারে দলীয় সাত রানে হেলসকে আউট করার পর ৩২ রানে ফিল স্লাটকে আউট করে। কিন্তু ওটা কোনো প্রভাব পরেনি। ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা যথেস্ট সতর্ক হয়েই খেলতে থাকে। কিছুটা ভয় ছিল শাহীন আফ্রিদীর শেষ দুই ওভার। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে ব্যাথা পাওয়া শাহীন পায়ের ব্যাথায় দ্বিতীয় দফা নেমে ১৬তম ওভারের প্রথম বলটি করলেও আর পারেনি।


ফিরে যায়। ইফতেখার বাকী পাচ বল করতে আসলে তার পুরা ফয়দা তুলে নেয় মঈন ও বেন স্টোকস। শেষ পর্যন্ত এ দুই ব্যাটসম্যান অপরাজিত থেকে ৫ উইকেটে তুলে নেয় জয় এক ওভার হাতে রেখে। বেন ৫২ রানে থাকেন অপরাজিত। স্যাম কুরান দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট ও ম্যান অব দ্যা ফাইনাল হওয়ারও যোগ্যতা অর্জন করে। পাকিস্তান হয় এ টুর্নামেন্টে রানার্সআপ।   



প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)