আ. লীগে বিপর্যস্ত বিএনপির ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা


সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ , আপডেট করা হয়েছে : 27-03-2022

আ. লীগে বিপর্যস্ত বিএনপির ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা

 বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে মাঠে নেমেছে সরকার। এর পাশাপাশি দলটিকে সাংগঠনিকভাবেও দুর্বল করে দিতে নানান ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তারা। আগামী নির্বাচনের আগেই এসব কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে মনোনিবেশ করতে চাইছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে যেমন রাজনৈতিক তেমনি প্রশাসনিকও। 

রাজনৈতিক সূত্র জানায়, সরকার আগামীতে বিএনপি কি কি করতে চাইছে সে ব্যাপারে ব্যাপক নজরদারি বাড়িয়েছে। তারা দলটির মধ্যে কে কোন দিকে আছে কি করছে কার সাথে যোগাযোগ করছে সে ব্যাপারেই প্রথমে খোঁজখবর নিচ্ছে। বিএনপির ব্যাপারে এমন পদক্ষেপের আভাস ইতোমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। 

কেন টার্গেট বিএনপি?

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের বিজয় নিয়ে সব ধরনের শঙ্কা সন্দেহ দূর করতে চায়। তারা মনে করে বর্তমানে আওয়ামী লীগ তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ে বেশ দুর্বল অবস্থানে আছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনে দলের নানান ধরনের বিপর্যয় সংঘর্ষ কোন্দল দেশে-বিদেশে সর্বত্র সমালোচিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত ও হানাহানিতে সারা দেশে প্রায় একশ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে। এই দুই ধাপে যথাক্রমে ৩০ ও ২৬ জন নিহত হয়েছেন। প্রথম ধাপে দুই ভাগে নির্বাচন হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগের নির্বাচন হয়েছে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে। মূলত তখন থেকেই সারা দেশে নির্বাচন ঘিরে সংঘাতময় পরিস্থিতি দেখা দেয়। প্রথম ধাপে ৫ জন, চতুর্থ ধাপে ১০, পঞ্চম ধাপে ২৩ ও ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। এগুলি শুধু নিছক সংঘর্ষই না এসব ঘটনা প্রকৃতপক্ষে দলের অভ্যন্তরে চরম কোন্দলের বহি:প্রকাশ ঘটেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে এসব সহিংসতায় জড়িতরা আওয়ামী লীগের হলেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে এমন কঠোর কথা বলেছিলেন শুরুতেই। বলেছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু তাতে ফলোদয় হয়নি। প্রাণহীন ভোটেও এত প্রাণহানির ঘটনায় সরকার দেশে-বিদেশে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে। এমন নেতিবাচক খবরে সরকার যখন বিব্রতকর অবস্থায় ঠিক তখনই দেশে একটি খবর সরকার ও আওয়ামী লীগের ভেতরে নানান প্রশ্নের সৃষ্টি করে। তাহলো গত বছর ১০ ডিসেম্বর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ৭ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আবার এরপরই বিচারবহিভর্‚ত হত্যা আর গুমের অভিযোগে এবার র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে চিঠি লিখেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইভান স্টেফানেক, যা তোলপাড় করে রাজনৈতিক অঙ্গনে। প্রথমে এসব বিষয়ে সরকার তেমন উচ্চবাচ্য না করলেও পরে এধরনের ঘটনা স্বীকার করে নিয়েই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকেই বলতে হয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সহসাই প্রত্যাহার হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করতে সরকার ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রসেস কালকে হবে না, সময় লাগবে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেয়া বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলতে গিয়ে আশ্বস্ত করেন যে, আমরা আমেরিকার সঙ্গে একাধিক মিটিংয়ের আয়োজন করেছি। ইনশাল্লাহ, আমরা যখনই তথ্যগুলো সঠিকভাবে তাদের কাছে পৌঁছতে পারবো, আমার বিশ্বাস র‌্যাবের মতো একটি অত্যন্ত ভালো প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিশ্চয়ই স্যাঙ্কশন তুলে নেবে। কিন্তু তার এবক্তব্যকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আশা জাগাতে পারেনি। 

শরিকরাও বিক্ষুব্ধ

এদিকে বিদ্যমান পরিস্থিতি ও জনজীবনের সংকট মোকাবিলায় জোট কার্যক্রম শক্তিশালী করতে ১৪ দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এতে অবহেলা ও অবমূল্যায়নের অভিযোগ উঠে ক্ষুব্ধ জোট শরিকদের মধ্যে। তাদের সাথে দূরত্ব ঘোচানোর পাশাপাশি মান-অভিমান দূর করতে প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকে অন্যরা বসলেও দীর্ঘদিন পরে ডাকা এমন আয়োজনে জোটের শরিক বাংলাদেশ জাসদ না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এব্যাপারে দলটির সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘১৪ দল মরে গেছে। আমরা আর এতে কন্টিনিউ করতে চাচ্ছি না। যদিও এ বৈঠকের শরিকদের নিয়েই আগামীতে নির্বাচন করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

বিএনপি চাঙ্গা ও তাদের আন্দোলনের হাকডাক

তবে এসব ঘটনায় ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ প্রভাব ফেলে দিয়েছে। দেশে নানান ধরনের সন্দেহ অবিশ্বাস আর গুঞ্জনের ডাল পালা মেলে যার কারণে খোদ সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানান প্রশ্ন দেখা দেয়। দলে এক ধরনের সন্দেহ অবিশ্বাস হতাশাও দেখা দেয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত ও হানাহানি আর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ৭ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের খবরে আওয়ামী যখন এক ধরনের মানসিক বিপর্যয়ের মুখে ঠিক তখন বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা সরকারসহ সবার নজর কাড়ে। সারা দেশে আওয়ামী যখন বিপর্যস্ত তখন বিএনপি অত্যন্ত নিরবে নিজ দলকে গুছিয়ে নিয়েছে। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে দলটি যা যা করার তাই করেছে। এবং এর পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে হাট সভা সরকারসহ দেশবাসির নজর কাড়ে। এসব কর্মসূচি চালাতে গিয়ে সরকারের বিভিন্ন ধরনের বাধাও বিএনপির পক্ষে গেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন। অন্যদিকে জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ দেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে হাট সভা সফল করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এর পাশাপাশি সে সভায় বেশি কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আসন্ন রমজান মাসের পূর্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ‘সর্বগ্রাসী দুর্নীতির’ প্রতিবাদে সারা দেশে প্রতীকী অনশনসহ আবারো ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এছাড়া মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলে আলোচনা সভাসহ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর আগে একই দাবিতে বিােভ মিছিলসহ ১১ দিনের কর্মসূচি পালন করে দলটি। জনদাবি দাবি নিয়ে বিএনপির এসব কর্মসূচি দেশে ব্যাপক সাড়া ফেললেও সরকারে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। অন্যদিকে আগামী ২৮ মার্চ বাম জোটের ডাকা হরতালে বিএনপির সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাসও সরকার ভালোভাবে নিচ্ছে না সরকার। 

মনোবল ভাঙতে সরকারের তৎপরতা 

এদিকে জানা গেছে, বিএনপির এমন তত্পরতায় সরকার মহাউদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপির এমন তত্পরতায় যে খাদ প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন তা তার সাম্প্রতিক বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। সম্প্রতি গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির আসলে তেমন কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন আমাদের সবাইকে সংলাপে ডাকলেন। গেলাম। কিন্তু বিএনপি যায়নি। তারা আসলে যাবেই-বা কী? তারা মতায় গেলে কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন? কে নেতৃত্ব দেবেন? একজন হচ্ছেন এতিমের টাকা খেয়ে সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আরও বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালাতক। ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রীর এসব কথায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অন্যভাবে দেখছেন। তারা মনে করেন দীর্ঘ তিন বছর পর শরিকদের সঙ্গে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণভাবে এমন বক্তব্য দেননি। তাদের মতে প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারছেন তার দলের একটি বড়ো অংশ মনোনয়ন বানিজ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে দেশে ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তাকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি গত বছর ১০ ডিসেম্বর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ৭ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং এরপরই বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বরাবর ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের স্লোভাকিয়ান সদস্য ইভান স্টেফানেকের চিঠি নিয়ে সরকার ও দলে যে নানা অস্বস্থি আছে তা-ও তিনি বুঝেছেন। আর একারণে নিজ দলের মনোবল যে দুর্বল তা আচ করেই বিএনপির দিকে তিনি আঙুল তুলেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন বিএনপির আসলে তেমন কেউ নেই বলে প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য খুবই তীক্ষ। অন্যদিকে তারা (বিএনপি) আসলে যাবেই-বা কী? তারা মতায় গেলে কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন? কে নেতৃত্ব দেবেন- এমন মন্তব্য যে কোনো দলের মনোবল ভেঙে দেয়ার একধরনের চেষ্টা বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন। যেন বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন তাদের দলে নেতৃত্ব বা পরবর্র্তীতে হাল ধরার তেমন কেই নেই এবং এসব কথা তা নেতাকর্মীদের  মধ্যে ছড়িয়ে দিলে বিএনপি কার্যত এধরনের দুর্বল হয়ে যাবে-এমন ধারণা থেকেই প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন। 

শেষ কথা

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে একটি বিরোধী দলের মনোবল ভেঙে দেয়ার কৌশল রাজনৈতিক অঙ্গনে থাকতেই পারে। তবে তা করতে গিয়ে নানান সমস্যাও হতে পারে। সরকারের মধ্যে এমন কেউ আসে এধরনের কর্মকাÐকে উসকে দিয়ে অন্য ফায়দা লুফে নিতে পারে। সরকারের শীর্ষপর্যায়ে এমন ধারণা আছে কি-না তা সমেয় বলে দেবে। তবে সরকার যে বিএনপিকে যে কোনো ধরনের ছাড় দেবে না তা স্পস্ট। কেননা ইতোমদ্যেই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে মাঠে নেমে গেছে আওয়ামী লীগ। দলটি এখন থেকে মাঠে বিএনপি কর্মসূচির প্রতি যেমন নজর রাখবে তেমনি নিজেরাও সংগঠিত হবে, পাল্টা প্রতিরোধ করবে। সম্প্রতি বিএনপির বেশ কয়েকটি বিােভ কর্মসূচিতে পথে পথে হামলা, পুলিশের বাধার দেয়ার ঘটনা তারই আভাস দেয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের বিােভ সমাবেশে দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে মতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। তারই আরেক পদক্ষেপ তা হলো এখন বিএনপির মনোবল ভেঙে দেয়া। যেনো দলটির নেতাকর্মীরা মনে করে তাদের শীর্ষনেতার ভবিষ্যত নেই।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)