মেক্সিকো সীমান্তে ইউক্রেনীয়দের ভিড় : ব্যাপকহারে আশ্রয় দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 14-04-2022

মেক্সিকো সীমান্তে ইউক্রেনীয়দের ভিড় : ব্যাপকহারে আশ্রয় দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

 তিজুয়ানা-যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে পালিয়ে আসা ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের ঢল নামলে তাদের ব্যাপক হারে আশ্রয় দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তিজুয়ানা শহরের কর্মকর্তাদের মতে, বৃহস্পতিবার মেক্সিকান সীমান্ত শহরের একটি সরকারি বিনোদন কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। মাত্র দুদিন আগেও যেখানে শিশুরা ফুটবল খেলত, তা এখন একটি ছাউনি দিয়ে ঢাকা নিচে সারিবদ্ধ বিছানা, চেয়ার এবং লোকে পরিপূর্ণ। তিজুয়ানা হঠাৎ করেই আশ্রয়প্রার্থী ইউক্রেনীয়দের জন্য একটি চ‚ড়ান্ত গন্তব্যে পরিণত হয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে আতিথেয়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত তাদের বন্ধু এবং পরিবার। তাদের বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের চেয়ে আরও উপযুক্ত আশ্রয়স্থল হবে।

ভøাদ ফেডোরিশিন নামে একজন স্বেচ্ছাসেবক যিনি অপেমান শরণার্থীদের তালিকা সম্পর্কে জানেন, বৃহস্পতিবার বলেন, প্রতিদিন নতুন প্রায় ৮০০ জন ইউক্রেনীয় টিজুয়ানাতে আসছে এবং যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২০ জন ইউক্রেনীয়ের আশ্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন কয়েকশ করে ইউক্রেনীয়কে আশ্রয় দিত।

যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন বলছে, তারা কেবলমাত্র মানবীক সমস্যা মোকাবেলায়, সান দিয়েগোতে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে। স্বামী এবং তিন সন্তান নিয়ে মোল্দোভা, রোমানিয়া, অস্ট্রিয়া এবং মেক্সিকো হয়ে শেষ পর্যন্ত সান দিয়েগোতে পৌঁছান তাতিয়ানা বোন্ডারেঙ্কো। তিনি বলেন, এখানে পৌঁছাতে পেরে ‘আমরা খুবই ভাগ্যবান, এবং নিজেকে ধন্য মনে করছি।’ তার শেষ গন্তব্য ছিল স্যাক্রামেন্টো, ক্যালিফোর্নিয়া, যেখানে তার মা থাকেন। তাতিয়ানা বলছেন, ১৫ বছর ধরে তিনি তার মাকে দেখেননি।

মেক্সিকো সিটি বা কানকুনে পর্যটক হিসাবে মেক্সিকোতে প্রবেশকারী পরিশ্রান্ত যাত্রীদের তিজুয়ানা বিমানবন্দরের একটি অস্থায়ী লাউঞ্জে যেতে বলা হচ্ছে। কালো মার্কারে সেখানে লেখা আছে, কেবলমাত্র ইউক্রেনীয় উদ্বাস্তুদের জন্য। এটিই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য নিবন্ধন করার একমাত্র জায়গা।

বাইডেন প্রশাসন বলছে, তারা ১ ল ইউক্রেনীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য মেক্সিকোই একমাত্র পথ, যে পথে শরণার্থীদের বড় একটা অংশ আশ্রয়ের জন্য অপো করছে। কারণ, ইউরোপে আমেরিকান কনস্যুলেটগুলোতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়াটা প্রায় দুর্লভ, এবং সেখান থেকে শরণার্থীদের পুনর্বাসনে বেশ সময় লাগে।



প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)