`ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন দিয়ে সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে'


বিশেষ প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 02-04-2023

`ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন দিয়ে সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে'

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন দিয়ে সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের সাথে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ সত্যকে প্রকাশ করবার অপরাধে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে।এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনমত যাতে প্রকাশিত না হয় এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে দমন করবার জন্যে তারা গত ১৪ বছর ধরে একই কায়দায় সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করছে, হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে, গ্রেফতার করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে ব্যবহারকে সংবাদপত্রের যে স্বাধীনতা, সংবাদ মাধ্যমের যে স্বাধীনতা তাকে তারা পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।”

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের দা্বওি জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘‘ এই কালো আইন বাতিলের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। আপনারা জানেন, এই অ্যাক্টে সরকারের নির্যাতনের কারণে কয়েকজন সম্পাদক দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেৃ.। আমাদের বহু সাংবাদিক তারা নির্যাতিত হয়েছেন, তারা নিহত হয়েছেন, তারা গ্রেফতার হয়েছেন এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলার কারণে।”

নওগাঁয়ে র‌্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘একজন নিরহ নারীকে র‌্যাবে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে ৩৬ ঘন্টা পরে মৃত্যু ঘোষণা করা যে, তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন- এই বিষয়ে আমাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা একমত হয়েছে যে, এটা একটি হত্যাকান্ড। র‌্যাবের হেফাজতে মৃত্যুর হয়েছে এর আমরা নিন্দা জানিয়েছে।”

বেলা ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সাথে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির হয়। বৈঠকে যুগপত আন্দোলনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা যুগপত আন্দোলনকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা একমত হয়েছি যে, এই সরকারের অধীনে আমরা হতে দেবো, জনগন হতে দেবে না।”

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কারী রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘‘ আমরা যে যুগপত ধারায় আন্দোলন করছি, সেই যুগপত ধারায় আন্দোলনকে সারাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না, নির্বাচনের আগে তার পদত্যাগ চায় এরকমৃ. তারপরে নির্বাচনের পরে দেশ কোন পথে পরিচালিত হবে,কোন ধরনের সরকার ব্যবস্থা হবে, কোন শাসনব্যবস্থা কি দেশ পরিচালনা করবো-এগুলো নিয়ে যে যৌথ ঘোষণার কথা হচ্ছিল সেই যৌথ ঘোষণার বিষয়ে আমরা বিএনপির সাথে কথা বলেছি। আমরা আশা করি যে, অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার যে যৌথ ঘোষণা সেটা আসবে এবং অচিরেই আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারবো।”



এই বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবুল ও গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।


বিএনপি মহাসচিবের সাথে ছিলেন দলের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।



প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)