২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো খাদ্যের দাম কমছে


মো. জামান তপন , আপডেট করা হয়েছে : 20-04-2023

২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো খাদ্যের দাম কমছে

শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর  গত ১২ এপ্রিল প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, খাদ্যদ্রব্যের (গ্রোসারি) দাম কিছুটা কমছে। ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে মূল্য বেশ হ্রাস পেয়েছে। যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রিপোর্টে দেখা গেছে, ছয়টি প্রধান গ্রোসারি সামগ্রীর সূচকের মধ্যে তিনটির মূল্য ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কমেছে। এর মধ্যে  মাংস, মুরগি, মাছ এবং ডিমের সূচক ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে, ডিমের দামে বড় ধরনের মূল্য হ্রাসের কারণে আরো এক মাস টানা দরপতন হয়েছে। ফল ও সবজির দাম কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের দাম শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। অন্যান্য সূচকগুলো অ-অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় বা কোমল পানীয়, সিরিয়াল এবং বেকারিপণ্য এবং অন্যান্য সব মুদি পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। যদিও মাসিক দরপতনে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে গ্রোসারি আইটেম এখনো বার্ষিক হিসাবে ব্যয়বহুল।

রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাস পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।  সেই সময়ে মেনু আইটেমের দাম ৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। গত মার্চ পর্যন্ত বছরের ব্যবধানে বেশকিছু মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে। ডিম বেড়েছে ৩৬ শতাংশ, মার্জারিন বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ, আটার দাম বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ, আলুর দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, পনিরের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ এবং দুধের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আবার গত মার্চ পর্যন্ত বছরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে কিছু মুদি পণ্যের দাম কমেছে। বেকন কমেছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, রান্না না করা গরুর মাংসের রোস্ট ৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং রান্না না করা গরুর মাংসের দাম কমেছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। যদিও ২০২১ সালে যে দাম বেড়েছে তাতে মাংস এখনো তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল। তাজা ফলের দাম গড়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। কিন্তু মার্কিন ভোক্তারা- যারা শেষের দিকে কয়েক মাস ধরে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করে আসছে, তারা সম্প্রতি দামি আইটেমগুলো ক্রয় করা থেকে বিরত রয়েছেন। কম দামের খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ছুটে আসছে এবং স্টোর-ব্র্যান্ড বা সস্তা আইটেমগুলো ক্রয় করছে। ধারাবাহিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মুদি আইটেম অনলাইন মার্কেটিংয়ে একটি বিশাল পরিবর্তন এনেছে। সিএনএনের সঙ্গে আগে ভাগ করা অ্যাডোবি অ্যানালিটিক্সের গবেষণা অনুসারে, পণ্যগুলোর সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্তরের পণ্যগুলো ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বাজারের ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে মার্চ মাসে ৯ শতাংশে পৌঁছেছিল। ইতিমধ্যে অ্যাডোবের মতে, অনলাইন মুদির সস্তা স্তরের বাজারের শেয়ারে ১৩ শতাংশ বেড়ে প্রায় অর্ধেকে পৌঁছেছে। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত, ঋতুগত দোলাচলের জন্য সামঞ্জস্য করা হয়েছে। ডিমের দাম সবচেয়ে নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা ১০ দশমিক ৯।  প্রাথমিকভাবে এভিয়ানফ্লু, যা সরবরাহকে বাধাগ্রস্ত করেছিল এবং লাভের আশায় ব্যাঘাতের সুযোগ নেওয়ার কারণে কোম্পানিগুলো আগের মাসগুলোতে ডিমের দাম বাড়িয়েছিল। তবে সম্প্রতি ডিমের দাম কমেছে। মাংসের আইলে, হ্যাম কমেছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, হট ডগ কমেছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং রান্না না করা গরুর মাংসের রোস্ট ২ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে।  মাছ এবং সামুদ্রিক খাবারের দাম ১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। মাখন ৬ শতাংশ কমেছে, লেটুস ৫ দশমিক ৭ শতাংশ দাম কমেছে, তাজা ফল এবং সবজি সামগ্রিকভাবে ১ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। পিনাট বাটার ২ দশমিক ৩ শতাংশ দাম কমে গেছে। মার্চ মাসে কিছু আইটেমের দাম আরো বেড়েছে। প্রাতঃরাশের সিরিয়ালের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে, আইসক্রিম দাম ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং লবণ, সিজনিং আইটেম ও মসলার দাম গড়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ধারণা করা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে সব গ্রোসারি আইটেমের মূল্য হ্রাস হবে এবং তা অব্যাহত থাকবে যাতে করে সীমিত আয়ের মানুষ কিছুটা স্বস্তি পায়।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)