আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 03-05-2023

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান

বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদের নির্বাচনে মামলা দায়েরের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। সেই মামলা দায়ের করা হয়েছিলো শহীদ-সাব্বির পরিষদের পক্ষ থেকে। দীর্ঘ শুনানি শেষে মামলার রায় পেয়েছে শহীদ-সাব্বির পরিষদ। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পার্কচেস্টার জামে মসজিদের ৩১ আগস্টের পর হওয়া ১০৪ জন আজীবন সদস্যের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পার্কচেস্টার জামে মসজিদের ২০২২ সালের স্থগিতকৃত নির্বাচনের শহীদ-সাব্বির প্যানেলের পক্ষ থেকে ২৬ এপ্রিল ব্রঙ্কসের নিরব রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। 

২০২২ সালের স্থগিতকৃত নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাব্বির কাজি আহমদ। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারোয়ার জাহান লিহিন, সহসভাপতি পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল জলিল, কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী ইসলাম উদ্দিন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পার্কচেস্টার জামে মসজিদের ২০২৩-২০২৫ পরিচালনা কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তারিখে সভাপতি পদপ্রার্থী আব্দুস শহীদ ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাব্বির কাজি আহমদের মামলার কারণে আদালতের নির্দেশে নির্বাচনটি স্থগিত হয়। মামলায় তাদের আভিযোগ ছিল নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বর্তমান কমিটির অধিকাংশ কর্মকর্তা কমপক্ষে ১০৪টি আজীবন সদস্যকে গঠনতন্ত্রের নিয়মবহির্ভূতভাবে ভোটার লিস্টে যোগ করেন।

আদালত গত ১৪ মার্চে অনুষ্ঠিত শুনানির পর গত এপ্রিলে রায় প্রদান করেন। রায়ে আদালত বলেন, The Court finds that the plain text of the Constitution supports only one interpretation-that the August 31st date applies to both Life Members and Regular members, (শুনানিতে মাননীয় আদালত মনে করেন, সংবিধান মোতাবেক নির্বাচনী বছরের ৩১ আগস্ট সাধারণ ও আজীবন সদস্য হওয়ার শেষ তারিখ।) এবং Accordingly, it is Hereby: ORDERED and ADJUDGED that the Petition is Granted; (বাদীদের আবেদন গ্রহণ করা হলো)।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচনের জন্য তৈরি ভোটার লিস্ট হাতে পাওয়ার পরই আমরা কমিটির কাছে আমাদের আপত্তি জানাই। তারা এতে তারা কোনো ভ্রুক্ষেপ করেননি। এর পর আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন করি কিন্তু তারা তাদের সাংবিধানিক এখতিয়ার প্রয়োগ না করে কমিটি প্রদত্ত বক্তব্য আমাদের জানান। পরবর্তীতে আমরা উপদেষ্টাদের শরণাপন্ন হই। তারাও আমাদের কোনো জবাব দেননি। একজন উপদেষ্টা আমাদের হেয় করার চেষ্টা করেন এবং পরবর্তী সময়ে কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোর্টে উপস্থিত হন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, নিতান্ত বাধ্য হয়েই আমরা আদালতের শরণাপন্ন হই। আদালত আমাদের বক্তব্য গ্রহণ করেন এবং কথিত ১০৪ জন সদস্যকে বাদ দিয়ে ভোটার লিস্ট তৈরি করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমান কার্যকরি কমিটি ২০২১ সালে কোনো সাধারণ সভা, বার্ষিক হিসাব উপস্থাপন কিংবা যথাসময়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেনি।

২০২২ সালে কমিটি কর্তারা নিজেরাই কমিটির মেয়াদ ২০২৩ পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। অপারগ হয়ে শেষে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন এবং ১০৪ জন নিয়মবহির্ভূত আজীবন সদস্য গ্রহণ করেন।

আজ পর্যন্ত তারা নিয়ম মোতাবেক ২০২১ এবং ২০২২ সালের হিসাবপত্র সংবিধান মোতাবেক উপদেষ্টাদের মাধ্যমে অনুমোদন করে মসজিদে প্রকাশ করেননি।

উপদেষ্টাদের অনুমোদন ছাড়া ১০ হাজার ডলার কিংবা বেশি খরচ একটি গুরুতর অনিয়ম। তাই কমিটির কর্মকর্তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপদেষ্টা কমিটি গঠন না করে লক্ষাধিক ডলার খরচ করেছেন। ৯ হাজার ডলার করে তিনটি চেকে ২৭ হাজার ডলার একজন কর্মকর্তার নামে ক্যাশ করে কোন খাতে তা ব্যয় হয়েছে, তা হিসাবপত্র না পাওয়াতে জানা যায়নি। ঐ অর্থ কি সদস্য বানাতে খরচ হয়েছিল?

কার্যকরি কমিটির মেয়াদ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে। সংবিধান মোতাবেক কমিটির দায়িত্ব উপদেষ্টাদের হাতে চলে যাওয়ার কথা। কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর কোন অনুমোদন ৬ষ্ঠ সংশোধনী দেয়নি। কমিটি অনুমোদিত ৬ষ্ঠ সংশোধনীর খসড়া হুবহু সংবিধানে সংযুক্ত না করে তা অসাংবিধানিকভাবে পরিবর্তন করে দায়িত্ব পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন।

বিগত ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকরি কমিটি দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা ছাড়া অন্য কোন খরচ করার এখতিয়ার রাখেন না। অথচ কমিটি অপ্রয়োজনীয় খরচ অব্যাহত রেখেছেন। কমিটির উচিত অনতিবিলম্বে উপদেষ্টাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর ও অনিয়ম থেকে নিজেরদের দূরে রাখা।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)