“বিরোধী শুন্য রাজনৈতিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে অবৈধ আওয়ামী সরকার দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। রাজধানী নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে অত্র এলাকার ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি’র স্থানীয় নেতাকর্মীদের নামে পরিকল্পিত মামলা দায়ের ফ্যাসিবাদী শাসনের আরেকটি নগ্নরুপ”-
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের সাথে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিউমার্কেট থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্তৃক হয়রানী ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের এবং নিউমার্কেট থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
আজ শুক্রবার সংবাদপত্র পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনা শুরুর সাথে সাথে পুলিশের নির্লিপ্ত ভূমিকায় প্রমাণিত হয়-এই ঘটনায় সরকারের ইন্ধন রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন তৎপরতাই চোখে পড়েনি। ঘটনা মোকাবেলায় শুরু থেকেই পুলিশ যদি সক্রিয় হতো তাহলে নাহিদের মতো একজন তাজা তরুণের প্রাণ যেতো না। ঘটনায় জড়িত সরকারী সংগঠনের চিহ্নিত নেতাকর্মীদের আড়াল করতেই সুপরিকল্পিতভাবে নিউমার্কেট এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, “হেলমেট পরিহিত লোকজন যাদেরকে দেখা গেছে তারা কারা ? এসব নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন গুরপাক খাচ্ছে। নিত্য পণ্যের অসহনীয় মূল্য বৃদ্ধি, মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা ও টিসিবি’র ট্রাকের পেছনে মধ্যম ও নিম্ন্ আয়ের মানুষদের দীর্ঘ সারি, নানা ধরণের দুর্নীতি ও টাকা পয়সা ভাগ-বাটোয়ারার অভিযোগের পটভূমিতে সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতার ইমেজ থেকে মানুষের মন ও চোখকে অন্য দিকে ফেরাতে দেশব্যাপী নানামুখী সংঘাত-সংর্ষের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে সহিংস পরিস্থিতি তৈরী করা হচ্ছে।
পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনগুলোর যে নেতাদের অপতৎপরতা দেখা গেছে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আমি নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারের উদাসীনতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে নিউমার্কেট থানা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেফতারকৃত নিউমার্কেট থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন এর নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান। তিনি নিহত দোকান কর্মচারী নাহিদের জন্য শোক জানান এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
বিবৃতিতে তিনি মিথ্যা অভিযোগে এই মামলায় নিউমার্কেট থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, সাবেক সহ-সভাপতি শাহ আলম নান্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন হাওলাদার, যুবদল নেতা আমির হোসেন, মিজান বেপারী, নিউমার্কেট থানা বিএনপি নেতা আলমগীর, মিজান, টিপু, মিঠু, শহীদুল ইসলাম, জাপানী ফারুক, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, বাবুল, জুলহাস, ছাত্রদল নেতা মিন্টু, আসিফ, শ্রমিক দল নেতা তোহা এবং স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনিরকে জড়ানো ও নিউমার্কেট থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোরই শামিল বলে মন্তব্য করেন।