২ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়ে এম আজিজের বক্তব্য


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 17-05-2023

২ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়ে এম আজিজের বক্তব্য

প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ভবন ক্রয়কে কেন্দ্র করে অশান্তির শুরু। বিভক্ত হয়ে পড়ে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরি কমিটি এবং জালালাবাদবাসী। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের সময় বদরুল-মইনুল প্যানেল প্রতিশ্রুতি দেয় তাদের প্যানেল নির্বাচিত হলে তারা জালালাবাদ ভবন করবেন। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম তার অনেকগুলো বক্তব্যে এই ভবনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেছিলেন, তাদের প্যানেল নির্বাচিত হলে তিনি ভবনের প্রতিশ্রুতি পালন করবেন। জালালাবাদবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বা স্বপ্ন তিনি পূরণ করবেন। নির্বাচনে তারা জয়লাভ করলেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি এস্টোরিয়ার মত জায়গায় জালালাবাদবাসীর জন্য ভবন ক্রয় করলেন। পরিবেশ- পরিস্থিতির কারণে তিনি বিদায়ী কমিটির সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজের স্মরণাপন্ন হলেন। এস্টোরিয়ার যে বাড়িটি তিনি ক্রয় করলেন তা ছিল ব্যাংকের বাড়ি এবং তাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ক্রয় করতে হবে। সেই পরিস্থিতিতে বিদায়ী সভাপতি এবং বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক ভবন ক্রয়ের ব্যাপারে একমত হলেন এবং তারা ভবন ক্রয় করলেন। সমস্যা দেখা দিলো কেন নতুন কমিটিন সভাপতি বদরুল হোসেন খান এবং নতুন কার্যকরি কমিটিকে ভবন ক্রয়ের পরে জানানো হলো। এই নিয়ে শুরু হলো নোংরা রাজনীতি। পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশ। অভিযোগ করা হলো ভবন ক্রয়ের সময় কেন গঠনতন্ত্র মানা হলো না। জন্মের পর থেকেই জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র যে মানা হচ্ছিলো, তা নিয়ে সমস্যা না হলেও ভবন ক্রয়কে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মহাসংকট তৈরি করা হলো। যারা দীর্ঘদিন থেকে জালালাবাদবাসীকে ভবনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তারাই এর পেছনে কলকাঠি নাড়তে থাকেন। পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করলো। একপক্ষ ভবনের পক্ষে অন্যপক্ষ ভবনের বিপক্ষে। তদের কথা ভবন চাই না, আমরা অর্থ চাই। সেই সঙ্গে নানা অভিযোগ। মাঝে সমঝোতার চেষ্টা, তাও ব্যর্থ। এখনো সমঝোতার নানা প্রক্রিয়া চলছে। তবে লাভ হচ্ছে না। পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিচ্ছে। সদস্য বিদায়ী সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে শোকজ করা হয়। এই ক্ষেত্রেও যে গঠনতন্ত্রের দোহাই দেয়া হচ্ছে সেই গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে। তার একবার নয় বার বার। সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় এবং তাকে বহিষ্কার ব্যতিরেকে অগঠনতান্ত্রিকভাবে সাধারণ সভা ডাকা হচ্ছে।

সেই সময় সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সভাপতি বদরুল হোসেন খান ও কার্যকর কমিটির কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেন অর্থ নিয়ে। অভিযোগ করা হয় বিদায়ী সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ ও নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ) মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ ছিল তারা দায়িত্বে থাকাকালীন সময় জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ফান্ড থেকে ২ লাখ ৫০ ডলার বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজের ব্যাবসায়ীক একাউন্টে ট্রান্সফার করেন। যদিও এই পরে ফেরত দেয়া হয় চেকের মাধ্যমে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ বলেন, আমি বদরুল- মইনুল প্যানেলের নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণ করি। সভাটি হয় ওজনপার্কের দেশী সেন্টারে। সেই সভায় প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় এই প্যানেল জয়লাভ করলে তারা জালালাবাদবাসীর জন্য ভবন করবেন। আমিও নিজেকে একজন জালালাবাদবাসীর অকৃত্রিম বন্ধু মনে করি। আমি সব সময় জালালাবাদবাসীর সঙ্গে ছিলাম এবং আছি। এখনো আমি নিজেকে জালালাবাদবাসী হিসাবে মনে করি। আপনারা সবাই জানেন যে ঐ সময় আমি আমার (৭৩ স্ট্রিট) জ্যাকসন হাইটসের জায়গায় ভবন করার পরিকল্পনা করি। সেই সময় তখনকার কোষাধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম আমার কাছে প্রস্তাব দেয় ঐ ভবনের একটি ফ্লোর যেন জালালাবাদকে দিয়ে দিই। মইনুল সেই সময় বলেছিলেন, আপনার পুরো ফ্লোরের যে দাম তাতো দিতে পারবো না, কম দামেরই আমাদের দিতে হবে। আমি তার কথার আর কোন উত্তর দিতে পারলাম না। কারণ আগেই বলেছি- আমি সব সময় জালালাবাদবাসীর সঙ্গে আছি। তাদের একটি ভবন হোক একটা আমিও আন্তরিকভাবে চাই। মইনুল ইসলাম তৎকালীন সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজের অনুমতি নিয়ে ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর আমার ব্যবসায়িক একাউন্টে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার ওয়ারট্রান্সফার করেন। এরই মধ্যে আমাকে জানানো হয় যে, আমার ভবন সহসায় হচ্ছে না। আমি সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি মইনুল ইসলামকে জানাই। তাকে বলি ভাই, আমার ভবন করতে সময় লাগবে। আমার একাউন্টে যে অর্থ ট্রান্সফার করেছেন সেই অর্থের একটি চেক নিয়ে যান। আমি কথা মত তিন দিনের মাথায় ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি চেক লিখে আমার অফিসে রেখে যাই। সেই চেক মইনুল ইসলাম নিয়ে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি তাদের একাউন্টে জমা দিয়ে দেন। তিনি বলেন, মইনুল ইসলাম, ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল এবং মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ জ্যাকসন হাইসের মত জায়গায় জালালাবাদবাসীর জন্য একটি ফ্লোর চেয়েছিলেন। তারা সৎ উদ্দেশ্যেই জালালাবাদবাসীর কথা চিন্তা করে আমার একাউন্টে অর্থ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আমি দেখলাম- সংবাদ সম্মেলন করে এটা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে এবং বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমি মাল্টিমিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করি, আমার কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার কোন ব্যাপার না। অন্যকোন কারণে যদি তারা আমাকে সেই অর্থ দিত তাহলে আমি তা রেখেদিতাম। কিন্তু আমি তা রাখিনি। কারণ ভবন যেহেতু এখন হচ্ছে না, সেহেতু আমি তিন দিনের মধ্যেই অর্থ ফেরত দিই। আমি চাই না- এটা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হোক, জালালাবাদবাসী বিভ্রান্ত হোক।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)