বাংলাদেশের কেউ গৃহহীন ভূমিহীন ঠিকানা বিহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


বিশেষ প্রতিবেদক , আপডেট করা হয়েছে : 26-04-2022

বাংলাদেশের কেউ গৃহহীন ভূমিহীন ঠিকানা বিহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘বাংলাদেশের কেউ গৃহহীন ভূমিহীন এবং ঠিকানা বিহীন থাকবে না আমরা সেই লক্ষ্যে বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে সারাদেশে ৪৯২ উপজেলার ৩২৯০৪ বাড়ী বিতরণকালে সুবিধাভোগীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, তার সরকার একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন পূরণে সবার মুখে হাসি ফোটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  তিনি বলেন ‘আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ৩২৪০৯ গৃহহীন ভূমিহীন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর দিয়েছি। আমি আসলে ঈদুল ফিতরের উপহার হিসেবে এসব জমি ঘর দিয়েছি। যারা ঘর পেয়েছে তাদের মুখে হাসি আমি খুব পছন্দ করি।’

 তিনি বলেন কুষ্ঠ রোগী ভিন্নভাবে অক্ষম সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সুন্দর জীবন প্রকল্পের আওতায় আনা হবে আর এজন্য সরকার শুধু খাস জমির খোঁজ করছে না, নিজেদের অর্থায়নে জমি কিনে বাড়ি করে দিচ্ছে। আমি জানিনা পৃথিবীতে আর কোন দেশে এ ধরনের উদ্যোগ কেউ নিয়েছে কিনা। কিন্তু আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। আমি শুধু তার কন্যা তার আদর্শের অনুসারী। আর আমার জন্য ক্ষমতাটা হচ্ছে জনগণের সেবা করা তাদের জন্য কাজ করা এবং আমি সেটাই করে যাচ্ছি।

 শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমি জানি আজ আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে যখন তিনি দেখবেন, তার জনগণের মুখে হাসি ফুটেছে। শেখ হাসিনা ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, বাংলাদেশ একটি মানুষ ভূমিহীন থাকবে না সেটাই আমার সরকারের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে চারটি জেলার চারটি স্থানে সুবিধাভোগী অন্যান্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। উল্লেখ্য,

 আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১৫০২৩৩ টি বাড়ী বিতরন করা হয়েছে।  

তিনি বলেন করোনা ভাইরাসের সময় আপনারা দেখেছেন, অর্থবিত্তের সম্পদ কাজে লাগেনি। সে সময় অনেক হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক কে কিন্তু কিছু করার ছিলনা। যারা বাংলাদেশের কোনদিন চিকিৎসা নেয়নি তারাও এই দেশেই ভ্যাকসিন নিতে হয়েছে। সারাবিশ্বে লকডাউন এর কারণে টাকা থাকলে সব ধনীরা দেশের বাইরে যেতে পারেনি। অথচ অতীত একটু সর্দি-কাশিতেও তারা দেশে চিকিৎসা না নিয়ে বিদেশে চলে যেতেন। 

তিনি বলেন, জাতির পিতার গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের পদাঙ্ক অনুসরণের ৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর পরেই আশ্রয়ন প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। ’৯১ সালের ঘুর্নি ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া টের পাননি। কারণ তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। অন্যদিকে ’৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ের তিনি (শেখ হাসিনা) তার বিদেশ সফর বাতিল করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে মানুষকে সহজে নেমে পড়েন এবং নিজে বিভিন্ন জায়গায় যান। 



প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)