এম আর খানের সম্ভ্রান্ত পরিবারটি আত্মমানবতার সেবায় নিয়োজিত


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 09-08-2023

এম আর খানের সম্ভ্রান্ত পরিবারটি আত্মমানবতার সেবায় নিয়োজিত

নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান, সাবেক মন্ত্রী, ডা. জোবায়দা রহমানের পিতা, জননেতা তারেক রহমানের শ্বশুর রিয়ার এডমিরাল এম আর খানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় সোমবার এক ভাবগম্ভীর আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লুর সভাপতিত্বে এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাইদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট সমাজ কর্মী, ব্যবসায়ী নেতা এবং মুলধারার রাজনীতিবিদ আমেরিকা সফররত পাশা খোন্দকার (এমবিই)। অনুষ্ঠানে আরোও অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক বেবী নাজনীন, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক নায়ক হেলাল খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ ও মিজানুর রহমান ভুইয়া মিল্টন, মালয়েশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মোশাররফ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে শরাফত হোসেন বাবু, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, জসীম উদ্দীন ভুইয়া, আব্দুস সবুর, শরীফ আহমেদ লস্কর, নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আহবাব চৌধুরী খোকন, সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরী, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহবায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সদস্য সচিব বদিউল আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী ও সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর খান হারুন, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের আহবায়ক ইনজিনিয়ার সায়েম রহমান, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী প্রমুখ।

খোন্দকার পাশা বলেন, আমি এই পরিবারটি সম্পর্কে জানি। আমি দুই বার এম আর খানের সাথে দেখা করেছি। এই পরিবারের সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিলো। ব্রিটিশ আমল থেকেই সিলেটের এই সম্ভ্রান্ত পরিবারটি মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলো, এখনো আছে। এম আর খান একজন সৎ এবং পরোপকারী মানুষ ছিলেন। তিনি মন্ত্রী ছিলেন কিন্তু কোন দিন তার পরিবার কোন সুযোগ গ্রহণ করেনি। তার পরিবারপি আমাদের অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এম আর খানের বাবা মরহুম আহমেদ আলী ভারত বর্ষের প্রথম মুসলিম ব্যারিস্টার ছিলেন। এম আর খানের দুই কন্যাকে আমি কাছে থেকে দেখেছি। আপনারা একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, আর তা হলো পারিবারিক শিক্ষা। পারিবারিক শিক্ষা না হলে আপনি কখনো ভাল মানুষ হতে পারবে না, বাবা- মার সেবা না করলে আপনি ভাল মানুষ হতে পারবেন না, ভালো নেতাও হতে পারবেন না। সে জন্য ভাল মানুষ হবার চেষ্টা করবেন। ডা. জোবায়েদা রহমান এবং তার বোন পারিবারিক শিক্ষা পেয়েছেন। যে কারণে তারা আদর্শ মানুষ হয়েছেন। তারা অত্যন্ত বিনয়ী। এখনো পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রেখে নীরবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। অথচ এই সরকার প্রতিহিংসামূলকভাবে ডা. জোবায়েদা রহমানের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। এই পরিবারের উপর নির্যাতন করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমি বাংলাদেশে কোন রাজনীতি করি না, আমার বাবা রাজনীতি করতেন। আমি লন্ডনে রাজনীতি করি এবং মূলধারার নির্বাচন করি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি জিল্লুর রহমান জিল্লু সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তবে এই অনুষ্ঠানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দেখা যায়নি কোন বিভক্তি। যা সাধারণত দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির এবং অঙ্গ সংগঠনের অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা এবাদ চৌধুরী, ফারুক চৌধুরী, মাহমুদ চৌধুরী, যুব দল নেতা মিজানুর রহমান মিজান, আতিকুল হক আহাদ, আমানত হোসেন আমান, রেজাউল আজাদ ভুইয়া, আল মামুন সবুজ, কামাল পাশা মওদুদ, উত্তম বণিক, শরিফুল খালিশদার, সৈয়দ গৌছুল হক, লিয়াকত আলী, দুলাল রহমান, আনোয়ারুল আলম ভুইয়া, মমতাজ উদ্দিন, আহমেদ আলী খান, সাঈদুর খান ডিউক, শাহাদাত হোসেন রাজু, নূর আলম, চৌধুরী তামিম, ফখরুল আলম, ষেয়দা মাহমুদা শিরিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জ্যাকসন হাইটস জামে মসজিদের ইমাম সাদেক আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদল নেতা হাফেজ শাহবাজ আহমেদ।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)