নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশই ফেভারিট


সালেক সুফী , আপডেট করা হয়েছে : 20-09-2023

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশই ফেভারিট

বিশ্বকাপ ২০২৩ দুয়ারে দাঁড়িয়ে। এরই আগে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এতে দুটি দল বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অধিকাংশ খেলোয়াড়দের কৌশলে বিশ্রামে রেখেছে। এশিয়া কাপে মিশ্র সাফল্যের পর বাংলাদেশের, কিন্তু শেষ সুযোগ বিশ্বকাপের জন্য দুই-তিন জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগ দিয়ে প্রস্তুত করার। ইতিমধ্যে প্রকাশিত দুটি স্কোয়াড দেখে প্রথম দৃষ্টিতে বাংলাদেশকেই তুলনামূলক শক্তিশালী মনে হচ্ছে। 

২০২২ সালের টি২০ বিশ্ব কাপের আগেও কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পরীক্ষামূলক দলকে বাংলাদেশ সহজেই হারিয়েছিল মিরপুরে। বাংলাদেশ কিন্তু টি২০ বিশ্বকাপে তলানিতে ছিল। যদি মূল খেলোয়াড় তামিম, রিয়াদ, লিটন, তৌহিদ হৃদয়, তানজিদ তামিম, তানজিম সাকিব, মাহেদী সিরিজ থেকে উপকৃত হয় সেটি হবে বাংলাদেশের অর্জন। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের টপ অর্ডার কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে প্রায় নিয়মিত। বাংলাদেশ লেট মিডল অর্ডার একটি ম্যাচ ছাড়া ব্যর্থ হয়েছে। এই দুটি বিশেষ ক্ষেত্রে এই সিরিজ থেকে বাংলাদেশের অর্জনকে মূল্যায়ন করতে হবে। 

বাংলাদেশ স্কোয়াড : লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল খান, সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, জাকির হাসান, রিশাদ হোসেন এবং খালেদ আহমেদ। 

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের ঘোষিত দলে তামিম-রিয়াদের প্রত্যাবর্তন প্রত্যাশিত ছিল। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের নানা কারণে এই দুই জন পরিণত, অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অভাব তীব্রভাবেই অনুভূত হয়েছে এশিয়া কাপ জুড়ে। তামিম ম্যাচ ফিট ছিল না আর রিয়াদকে ভুল কৌশলে অবহেলা করা হয়েছে। এই দুই জনসহ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অন্তত একজন ব্যাকআপ ওপেনার বেছে নিতে হবে। তাই স্কোয়াডে সৌম্য সরকার, এনামুল বিজয়, তানজিদ তামিম ও জাকির হাসানকে রাখা হয়েছে। আমি মনে করি, প্রথম দুটি ম্যাচের পর তৌহিদ হৃদয় এবং তানজিম সাকিবকেও বিশ্রাম দেওয়া যাবে। তৌহিদ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকবে, আমি তানজিম সাকিবকেও ইবাদতের স্থানে দলে দেখতে চাই। বাংলাদেশকে অন্যান্য দলের মতোই ৬টি ভিন্ন শহরে ন্যূনতম ৯টি ম্যাচ খেলতে হবে। বাড়তি অপশন প্রয়োজন হবে, নাসুম, শেখ মাহেদী থাকার জন্য হয়তো তাইজুলকে ডাকা হয়নি। অন্তত শেষ ম্যাচটিতে তাইজুলসহ মুশফিক, তাসকিন, শরিফুলকে ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া উচিত। 

নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড 

লোকি ফার্গুসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, টম ব্ল্যান্ডেল, ট্রেন্ট বোল্ট, চাদ বায়োস, ডান ক্লেভার, ডিন ফক্সক্রফ্ট, কাইল জেমাইসন, কোল ম্যাককনি, এডাম ম্লাইন, হেনরি নিকোলাস, রাচীন রাভিন্দ্রা, ইশ সোধি, ব্লেয়ার ঠিকনা, উইলি ইয়ং। 

নিউজিল্যান্ড দলের বোলিং আক্রমণ কিন্তু সমৃদ্ধ। ফার্গুসন, বোল্ট, জেমাইসন, মেলাইন, সবার ভারতীয় পরিবেশে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ইশ সোধি, রাচীন রাভিন্দ্রা স্পিনার হিসেবেও ফেলনা নয়। তবে দলের ব্যাটিং খুব একটা সমৃদ্ধ বলবো না। বাংলাদেশ সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে খেললে সিরিজ জয় করা অসুবিধার হওয়ার কথা না। আশা করি, মিরপুরের উইকেট স্পোর্টিং বানানো হবে। নিউজিল্যান্ডের ভালো পেস আক্রমণের মোকাবিলায় ব্যাটসম্যানদের ভালো অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, ২১ সেপ্টেম্বর সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সিরিজের প্রতিটা ম্যাচই দিবা-রাতের এবং মিরপুরেই।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)