ফুলের স্বর্গে স্মরণীয় একদিন


সালেক সুফী , আপডেট করা হয়েছে : 25-09-2023

ফুলের স্বর্গে স্মরণীয় একদিন

অস্ট্রেলিয়ায় এখন ভরা বসন্ত।  প্রতি বসন্তে পুস্প পল্লবে সুশোভিত থাকে অস্ট্রেলিয়া।  মেলবোর্ন আমাদের ছিল অপরূপ পুস্প ভান্ডার। অনেক যত্নে রোজি সাজিয়েছিল রিং উডে আমাদের বাগানটি।  কুইন্সল্যান্ডে আসার পর আর সুযোগ হয়নি বাগান গড়ে তোলার। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া থাকলে ডান্ডিনং টিউলিপ উৎসব দেখতে যেতাম। এবারেও ইচ্ছা ছিল টুউম্বা পুষ্প উৎসব দেখতে যাবো। কিন্তু রোজির সার্জারি হওয়ার কথা থাকায় সুযোগ ছিল না। কিন্তু হটাৎ সার্জারি পিছিয়ে গেলো। রোববার ছিল শেষ সুযোগ।


কিন্তু নিয়মিত রাত জেগে ক্রিকেট দেখায় প্রস্তুত ছিলাম না। হটাৎ করে দুপুর ১১ টা বাজতেই জোহাইর ,ফাতিমা এসে বলে দাদা  তোমাকে আর দাদুকে নিয়ে ফুলের মেলা দেখতে যাবো। রোজি একগাদা ওষুধ খেয়ে ঘুমায় একটু দেরিতে। ওঠেও দেরি করে।  ওকে রাজি করলো নাছোড় বান্দা নাতি নাতনি।  সবাই ফুলের সাজে সেজেই যাত্রা শুরু। লোগান সিটি থেকে দুই ঘন্টার যাত্রা পথ। রোজির নিজের ফুল দেখার নেশা আছে। পাহাড় বন বনানী পেরিয়ে নিবিড় সবজি চাষের অঞ্চল পেরুনোর সময় রোজি অনেক ফল আর সবজি কেনায় কিছুটা দেরি হয়ে গেলো। টুয়োমবা পাহাড়ের উপরে অবস্থিত সবুজ বন বনানী ঘেরা অপরূপ শহর ,কুইন্স পার্কের মনোরম পরিবেশে পুষ্প উৎসব দেখে মনে হলো ফুলের স্বর্গ।  বর্ণালী উৎসব দেখতে এসেছে নানা দেশের ,নানা জাতি গোষ্ঠীর ,নানা বর্ণ , নানা বয়সের নারী ,পুরুষ ,শিশু কিশোর। আন্নন্দময় পরিবেশেই কেটে গেলো দুই ঘন্টা সময়।  


উপস্থিতি স্মৃতিময় করে রাখার জন্য অনেক ছবি তোলা হলো। অবশেষে একটি ইতালিয়ান রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার এবং বিকেলটা পাহাড়ের উপরে সুন্দর করে সাজানো আরো একটি পুষ্প বীথিতে সময় কাটিয়ে ফিরলাম।  ফিরেই দেখি ঢাকা থেকে প্রখ্যাত ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার শামসুল ইসলামের অনুরোধ ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার।  বিধাতার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা এমন একটা সুন্দর দেশে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকার সুযোগ করে দেয়ার।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)