আবারও অবরোধ - এবার রোববার ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘন্টার


নিজস্ব প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 02-11-2023

আবারও অবরোধ - এবার রোববার ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘন্টার



বিএনপি টানা সরকার পতনের এক দফা দাবী আদায়ের টানা কর্মসূচিতেই থাকছে। ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে পুলিশী হামলায় পন্ড হওয়ার পর ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হরতালের দিন সকালেই তিনি আটক হয়ে কারাগারে। এরপর হরতালের শেষ লগ্নে যেয়ে মঙ্গল বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৭২ ঘন্টার অবরোধ ডাকে সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। নজীরবিহীন সে অবরোধ সফল হয় নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে। এরপর শেষ দিন বিকেলে পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষনা দেন সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সেটা আগামী রোববার ও সোমবার টানা ৪৮ ঘন্টার অবরোধ। এটার কার্যকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ। এর আগে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় শুক্রবার সারা দেশের মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত কর্মসূচি পালন করবে। তবে শনিবার কোনো কর্মসূচি নেই দলটির।

বৃহস্পতিবার জুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। কর্মসূচি সফলে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আজ নির্বাচন কমিশনের চিঠি নিয়ে এসেছে। কিসের সংলাপ, কার জন্য সংলাপ। মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের বন্দি করে, ঘরবাড়িতে আক্রমণ করে, গণহারে গ্রেফতার করে কিসের সংলাপ। কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছে। সুতরাং সংলাপ হচ্ছে লোক দেখানো। সরকারের নির্দেশনায় এই তামাশা করা হচ্ছে। ইসি কী করবে তা আমরা জানি। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে যে তালিকা দেওয়া হবে তাদেরকেই নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবে ইসি। এ ছাড়া আর কিছুই করাই নেই নির্বাচন কমিশনের।’
জুমে তিনি আরো বলেন, ‘যতই গ্রেফতার-হত্যা-নির্যাতন করুন না কেন, জনগণের মাঝে প্রতিবাদী শক্তি জেগে উঠছে। জনগণের বিজয় অনিবার্য।’ তিনি তিনদিনের কর্মসূচিতে নিহত,আহত,গ্রেফতার সহ নানা তথ্যও তুলে ধরেন।

ইতিমধ্যে বিএনপির সমমনা দল সমুহও এ অবরোধের সমার্থন দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জামায়াতও।


এদিকে অবরোধের তৃতীয় দিনে (বৃহস্পতিবার) দিনের প্রথমার্থে তেমন দুরপাল্লার বাস ছাড়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুপুরের পর থেকে রাজধানীর আন্তঃনগর বাসটার্মিনালগুলোতে যাত্রী উপস্থিতি শুরু হয়। এবং বাস ছাড়ারও প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। এবং যাত্রী নিয়ে বাসও ছেড়ে গেছে বিভিন্ন গন্তব্যে। তবে কিছুটা শঙ্কার মধ্যেই ওই বাসযাত্রা চালক ও যাত্রীদের। তাছাড়া সপ্তাহের শেষের দিন বৃহস্পতিবার এমনিতেই ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা একটু বেশীই হয়। কিন্তু সে তুলনায় কম ছিল যাত্রী বিকেলঅব্দি।

এর আগে সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর, ধানমন্ডি ও সায়েন্সল্যাব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সব ধরণের গণপরিবহনের চলাচল গত দুদিনের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল সেই পুরানো চিত্র। অর্থাৎ খুব একটা চোখে পরেনি। বিভিন্ন অফিস-আদালতের যানবাহনের চলাচল করেছে অণ্যদিনের মত।



প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)