ব্যাটিং স্বর্গ। ফ্লাট উইকেটে ভালো বোলিং করেই বাংলাদেশ শ্রীলংকাকে ৩৯৭ রানে সীমিত রাখার পর দ্বিতীয় দিনশেষে বিনা উইকেটে ৭৬ রান করে ৩২১ রানে পিছিয়ে আছে।
অনেকে বলবেন দুই দিন হয়ে গেছে খেলা এবং উইকেট বিবেচনায় ম্যাচটির ভাগ্য হয়তো ড্রর দিকে এগুচ্ছে। আমি মনে করি এই ধরণের উইকেটে অনুকূল স্ট্রাটেজি নির্ভর ৫ বলার নিয়ে খেলা বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত সুবিধা জনক অবস্থানে আছে। বাংলাদেশ যদি এঞ্জেলো ম্যাথুস বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে নিশ্চিত ক্যাচের আবেদন করতো, তাহলে হয়তো ৩২০-৩২৫ রানে ওরা গুটিয়ে যেত। যা হোক, ম্যাথুসের ১৯৯ রানের অকুন্ঠ প্রশংসা করবো। ম্যাথুস বাদে বাকি ১০ জন সম্মিলিত ভাবে করেছে ১৯৮ সেখানে ওর ইনিংসটির গুরুত্ব কতটুকু সেটি সহজেই অনুমেয়। আজ বাংলাদেশ ব্যাটিং টপ অর্ডারে অন্তত একজন লম্বা ইনিংস খেলতে হবে, দুটি লম্বা জুটি প্রয়োজন তাহলে বাংলাদেশ হয়তো লিড পাবে।
উইকেটে টার্ন আছে কিছু বল বাউন্স করছে। যত সময় যাবে ব্যাটিং করা অপেক্ষাকৃত চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে। তরুণ নাঈম ইসলাম মেহেদী মিরাজের অবর্তমানে সুযোগ পেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করে ৬ টি উইকেট নিয়েছে। উইকেট থেকে খুব একটা সহায়তা পেয়েছে বলবো না। ওপর প্রান্তে সাকিব তার স্বভাব সুলভ কিপ্টে বোলিং করে ৩টি উইকেট নিয়েছে। ক্যাচ না ফস্কালে আরো বেশি পেত। একই উইকেটে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভেটেরান তামিম আর নবীন জয় অপেক্ষাকৃত সাচ্ছন্দে খেলে দিন শেষে আশা জাগানিয়া ৭৬ রান তুলে ভালো সূচনা করেছে।
আজ লাঞ্চ বিরতির আগের সেশন বলে দিবে ম্যাচ ভাগ্য কোন দিকে মোর নিবে। আমি শ্রীলংকান বোলিংয়ে এমন কিছু দেখিনি। যার জন্য বাংলাদেশের উপরের সারির ৭ ব্যাটসম্যান বিচলিত হবার মতো কিছু আছে। এই উইকেটে জয় লম্বা ইনিংস খেলবে ভরসা আছে। শান্ত, মোমিনুল , মুশফিক ,সাকিব ,লিটন সবাই মিলে পরিকল্পনা করে ব্যাটিং করলে বাংলাদেশ চতুর্থ দিন লাঞ্চ বিরতির আগে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। তৃতীয় দিনশেষে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলে অবাক হবো না। বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে যতটা সম্ভব এগিয়ে যেতে হবে। হয়তো এই টেস্টে শেষ ইনিংসে ব্যাটিং করা সহজ হবে না।
বাংলাদেশ আবার সম্প্রতি চতুর্থ ইনিংসে ভেঙে পড়ার ইতিহাস আছে। জানি পরিস্থিতি এবং প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সিঁদুরে মেঘ দেখিনি তাই ভয় পাচ্ছি না। মেঘ না চাইতেই বৃষ্টিও আসা করছি না।