উন্নয়ন সচলের চ্যালেঞ্জে আছে রাজনৈতিক বিভেদও


খন্দকার সালেক , আপডেট করা হয়েছে : 24-01-2024

উন্নয়ন সচলের চ্যালেঞ্জে আছে রাজনৈতিক বিভেদও

টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করে সরকার ব্যস্ত প্রশাসন পুনর্বিন্যাসসহ উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখার কৌশল সচল রাখতে। দেশের সার্বিক অবস্থা এই মুহূর্তে সর্বত্রই রাজনৈতিক বিভেদ, সমাজ সচেতনতার অভাব। তবে বলতেই হবে নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজের সুফলে অর্থনীতি গতিশীল হয়েছে। উন্নয়নের পরিক্রমায় নানা ধরনের অশুভ উপসর্গ যেমন-সীমাহীন দুর্নীতি, অশুভ মহলের অর্থসম্পদ লুটপাট ও পাচারের কারণে সামাজিক বৈষম্য প্রকট, উন্নয়নের সুফল পৌঁছেনি সবার দুয়ারে। বরং অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়েছে। জ্বালানি সংকট প্রকট রূপ ধারণ করেছে। সরকারকে ২০২৪-২০২৮ টার্মে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সংকটের লাগাম টেনে ধরতে হবে। জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করতে হবে। 

খবরের পাতায় ভেসে উঠছে, করোনা মহামারির নতুন ধরন এসেছে। নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার কিন্তু কোবিড ১৯ মোকাবিলা করেছে। তবে এর প্রভাবে সৃষ্ট জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকারের ভুল জ্বালানি কৌশলের কারণে সফল হয়নি। প্রধান কারণ ছিল নিজেদের প্রাথমিক জ্বালানি কয়লা উত্তোলন এবং ব্যবহারে রাজনৈতিক দোদুল্যমনতা, গ্যাস অনুসন্ধান এবং উন্নয়নে সীমাহীন ব্যর্থতা, বাছবিচার না করেই আমদানিকৃত জ্বালানির দিকে ঝুঁকে পড়া। এবারের টার্মে কিন্তু সরকারকে নিজেদের জ্বালানি উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতেই হচ্ছে। বৈষয়িক রাজনীতি বিশ্বজ্বালানি বাজারকে অস্থির করে রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশ কখনো একান্তভাবে আমদানিকৃত জ্বালানিনির্ভর হয়ে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে পারবে না। কয়লা উত্তোলন এবং ব্যবহার নিয়ে আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা উচিত না। যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে জলে-স্থলে পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান করতে হবে। জ্বালানি বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী এবং দক্ষতা অর্জন করতে হবে। জ্বালানি অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো জ্বালানি দক্ষ কেন্দ্র গড়ে তুলে পর্যায়ক্রমে পরিত্যক্ত করতে হবে। সঠিক পেশাদারদের সঠিক স্থানে পদায়ন করে যথাযথ প্রণোদনা দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষত সৌর এবং বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ব্যবহারে প্রণোদনা দিতে হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে সাম্প্রতিক গ্যাস সংকট ভুল পরিকল্পনা এবং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে সিদ্ধান্তহীনতার ফসল। ভুল থেকে শিক্ষা নিলে ভবিষ্যতে এমন ঘটবে না। যে কোনো জনস্বার্থ ঘনিষ্ঠ কাজে সব সময় বিকল্প কিছুর সংস্থান করা জরুরি। সরকার সফল হতে হলে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়। অকপটে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়। একটি প্রকল্প পুনরায় চালু না করে অন্যটি স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করা উচিত হয়নি। সে কারণে সংকট হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বড় ব্যবহারকারীদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে গ্রিড থেকে বাখরাবাদ চট্টগ্রাম সঞ্চালন লাইন দিয়ে ১০০ মিলিয়ন গ্যাস চট্টগ্রামে পাঠানো যেত।

চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্বে শেখ হাসিনা নেতৃত্বের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুরুতেই কঠিন অর্থনৈতিক সংকট আর তীব্র জ্বালানি বিদ্যুৎ সংকট চ্যালেঞ্জে। ক্ষুদ্র দেশে বিশাল জনগোষ্ঠীকে নিয়ে অর্থনৈতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এমনিতেই বিশাল চ্যালেঞ্জ। আছে নানা প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ, আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা নানা সামাজিক বিবর্তন এবং রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে এবং অনেকের মতে আগ্রাসী আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের প্রভাবে স্বনির্ভর হওয়ার সংগ্রামরত অর্থনীতি বিন্দু থেকে বৃত্ত হওয়ার কঠিন সংগ্রামে। সামাজিক রসায়ন উন্নয়নমুখী হয়েছে বলা যাবে না।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)