ঊনবাঙালের ৪১তম সাহিত্য সভা


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 24-01-2024

ঊনবাঙালের ৪১তম সাহিত্য সভা

জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে গত ২০ জানুয়ারি শনিবার ঊনবাঙালের ৪১তম সাহিত্যসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সূচনা করেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মুক্তি জহির। তিনি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে আলাপচারিতা পর্বটি পরিচালনা করার জন্য কবি সুমন শামসুদ্দিনকে আহ্বান জানান। এবারের আলাপচারিতার বিষয় ছিল ‘প্রবাসে বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা’। আলোচক ছিলেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, আবৃত্তিজন আহসান হাবিব এবং সাংবাদিক শেখ সিরাজ। কাজী জহিরুল ইসলাম আলোচনার পটভূমি তৈরি করতে গিয়ে সৃজনশীল সাহিত্যের ধারাটি সবচেয়ে বেশি অবহেলিত বলে উল্লেখ করেন, তিনি সমাজের বিত্তবানদের আহ্বান জানান প্রকৃত প্রতিভা শনাক্ত করে তাদের তুলে ধরার কাজে সহযোগিতার জন্য। আহসান হাবিব তার বক্তব্যে বলেন, সস্তা বিনোদনের প্রতি পৃষ্ঠপোষকদের আগ্রহ অধিক পরিলক্ষিত হয়, তাদের মেধাবিকাশে আগ্রহী করে তুলতে হবে। শেখ সিরাজ ব্যাখ্যা করে বোঝান কেন সমাজের বিত্তবানরা প্রতিভা বিকাশে এগিয়ে আসেন না। কারণ তারা সচেতন নাগরিক নন, শিক্ষিত এবং সচেতন নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য দরকার পাঠাভ্যাস। এই জায়গাটিতে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।

দর্শকদের মধ্য থেকে অধ্যাপক ইমাম চৌধুরী জানতে চান, ডায়াস্পরা সাহিত্য নিয়ে একটা বিতর্ক আছে, এর প্রকৃত অর্থ কি? কবি মিয়া এম আসকির বিজ্ঞান ও কবিতার দ্বন্দ্ব নিয়ে কিছুটা আলোকপাতের অনুরোধ জানান, কবিতা লেখার জন্য প্রকরণ মানা কি খুব দরকার? তিনি আরো জানতে চান, কেন বিত্তবানরা গান-বাজনার পৃষ্ঠপোষকতায় অধিক আগ্রহী হন, সাহিত্যের প্রতি হন না। ড. নার্গিস আহমেদ ঊনবাঙাল শব্দটির অর্থ জানতে চান। এছাড়া সংগীত ব্যক্তিত্ব রবিউল হাসান রুবেল এই সভার তাৎপর্য নিয়ে মন্তব্য করেন। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম ও আহসান হাবিব দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

দ্বিতীয় পর্বে ছিল স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। এ পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন দিমা নেফারতিতি, নাসিমা আখতার, সুমন শামসুদ্দিন, আহসান হাবিব, সুলতান বোখারী, মিয়া এম আসকির, রেণু রোজা, মুন্না চৌধুরী, সোহানা নাজনীন, নানজীব ইমাম চৌধুরী, নিবরাস ইমাম চৌধুরী, হুমায়ূন কবীর, ওয়াহেদ হোসেন, দেওয়ান নাসের রাজা, মো. নজরুল ইসলাম, এস এম মোজাম্মেল হক প্রমুখ। পাঠ পর্বটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক ইমাম চৌধুরী। 

অনুষ্ঠানের শেষ পর্ব ছিল পঠিত লেখাগুলোর অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম বিশ্বসাহিত্যের নানান দৃষ্টান্ত ও উদ্ধৃতি তুলে ধরে পঠিত প্রত্যেকটি লেখার সবল ও দুর্বল দিক চিহ্নিত করেন এবং লেখকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন। 

অনুষ্ঠানের শেষে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি কবি কাজী জহিরুল ইসলামের জন্মোৎসব উদযাপনের জন্য একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। শেখ সিরাজ আহ্বায়ক, দিমা নেফারতিতি এবং সুমন শামসুদ্দিন যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং আহসান হাবিবকে সদস্যসচিব নির্বাচিত করা হয়। উপস্থিত কবির ভক্ত, সুহৃদ ও অনুরাগী সবাই এই আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। আগামী ২৭ জানুয়ারি শনিবার, সন্ধ্যায় জ্যামাইকার স্টার কাবাবে আহ্বায়ক কমিটির প্রস্তুতি সভা আহ্বান করা হয়েছে। কেন কবি জহিরুলের জন্মোৎসব পালন করা হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অনেকেই বলেন, এটি আমাদের সৌভাগ্য যে এই শহরে একজন বিশ্বমানের বাঙালি কবি কাজী জহিরুল ইসলাম বসবাস করেন। পাহাড়ের কাছে আছি বলে আমরা এই মুহূর্তে পাহাড়ের উচ্চতাটা টের পাচ্ছি না।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)