সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়েছে সরকার


বিশেষ প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 20-03-2024

সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়েছে সরকার

গণতন্ত্র মঞ্চ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জনগণ স্পষ্ট বুঝে গেছে সরকারি সিন্ডিকেটকে লালন পালন করছে। আর সে কারণে বিরোধীদের উপর দায় চাপাতে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন সিন্ডিকেটের মধ্যে বিএনপির হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। আসলে সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে সরকার। নতুন করে গণবিক্ষোভ দমন করার জন্য ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। 

গত ১৮ মার্চ সোমবার, সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। রেশনিং চালু, টিসিবির পণ্য বিক্রি বাড়ানো, সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি থামানোর দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন এবং নাগরিক ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক মহিদুজ্জামান মুহিদ। সভা পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু। 

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন রাতারাতি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এই সরকারতো ২ মাস হলো ক্ষমতায় আসেনি। ১৫ বছর ধরে একটানা তারা ক্ষমতায় আছে। তাদের খুব কাছে থাকা বড় বড় ব্যবসায়ীগোষ্ঠি পুরো খাদ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থেকে সমস্ত আমদানি ও বিপণনের ওপর একক কতৃত্ব বজায় রাখে। তাদের লুটপাটের সুবিধার জন্যই সিন্ডিকেট ভাঙ্গার কার্যকর কোন পদক্ষেপ সরকার নেয় না। সরকারের নিজস্ব আমদানি উদ্যোগের মাধ্যমে রেশনিংয়ের ব্যবস্থা, টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্য বিক্রি আওতা বাড়ানো, বেসরকারি পর্যায়ে উন্মুক্ত আমদানির পরিবেশ নিশ্চিত করা, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, শুল্ক কমানো ইত্যাদি পদক্ষেপে অপ্রতুলতা ও দীর্ঘসূত্রিতা চলতেই থাকে। এর সাথে আবার লুটপাট এর অর্থ যোগান দেয়ার জন্য গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম বাড়িয়ে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ ৭ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনে ভারতের পাশে থাকার বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, এত নগ্নভাবে দেশবিরোধী বক্তব্য দিয়ে এরা ক্ষমতায় আছে। একতরফা ডামি নির্বাচনের তামাশা করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নগ্নভাবে তারা গোলামের রাজত্ব কায়েম করেছে। ’দিল্লি আছে আমরা আছি’- এই নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ, মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকারের হাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক মর্যাদা যে কোনভাবেই নিরাপদ নয়, ওবায়দুল কাদের সেটা আবারো প্রমাণ করলেন। নেতৃবৃন্দ সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনজীবনের সংকট নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)