বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে প্রবাসী স্ত্রীসহ পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 09-04-2024

বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে প্রবাসী স্ত্রীসহ পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি

গ্রেফতারের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে স্ত্রীসহ তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশি এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই যুবকের নাম গৌরব সাঞ্জারি। নিউজার্সি সুপরিয়র আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে আটটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে ‘রেড এলার্ট’ জারি করেছে আমেরিকান মার্শাল অফিস এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

গৌরব সাঞ্জারি চট্টগ্রামের জুবলি রোডের বাসিন্দা শিবু শীলের ছেলে। তিনি গ্রেফতারের ভয়ে প্রায় ১ বছর আগে বাংলাদেশে পালিয়ে যান। গৌরবের স্ত্রীর নাম কনিকা মজুমদার। তিনি নোয়াখালী জেলার চরজাবেরের হাজীপুরের বাসিন্দা। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে বাংলাদেশে যান গৌরব সাঞ্জারি। সেখান থেকেই স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের অব্যাহত হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও স্ত্রী কনিকা মজুমদার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ করছেন গৌরব। 

স্ত্রী কনিকা মজুমদার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যৌন হয়রানি নিষিদ্ধ। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন সময়ে কখনই পুলিশ কিংবা আমাকেও কিছুই জানায়নি।’ তিনি বলেন, ‘পাইলস অপারেশনের এক্সরে ও কোলনোস্কোপির ছবি দেখিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বলে বেড়াচ্ছেন। এসব করে গৌরব আমাকে এবং আমার পরিবারকে শুধু হেয়প্রতিপন্নই করেননি, কলঙ্কিতও করেছেন।’ তার এসব বক্তব্য সম্পূর্ণ কাল্পনিক, বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই বলে দাবি করেন তিনি।

কনিকা বলেন, ‘নিউ জার্সির ক্যামডেন সুপরিয়র আদালত থেকে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে ৮টি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পলাতক একজন দাগী আসামিকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে গৌরব যুক্তরাষ্ট্রে একজন পলাতক আসামি। পালিয়ে থেকে তিনি ই-মেইলে কৃষ্ণাঙ্গদের ভাড়া করে পরিবারের সব সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। আমরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছি। এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ ডিপার্টমেন্টে লিখিত অভিযোগ করেছি।’ আমেরিকান মার্শাল অফিস এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতারে ‘রেড এলার্ট জারি’ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে গৌরব সাঞ্জারিকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। মেসেজ দিলেও কোনো রিপ্লাই দেননি।

২০১৮ সালের নভেম্বর আমেরিকায় ফেরার পথে কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউইয়র্কগামী একটি ট্রানজিট (সংযোগ) বিমানে গৌরব-কনিকার দেখা হয়। ওই সময় বোর্ডিং লাইনে গৌরব ও তার মা ছবি শীলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল কনিকা মজুমদারের। এরপর ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গৌরব-কণিকার বিয়ে হয়। নিয়ম অনুসারে, কনিকার স্বামী গৌরব সাঞ্জারির অভিবাসন ভিসা নিয়ে আমেরিকায় চলে আসেন। বিয়ের পর কিছুদিন দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। গৌরবের গ্রিন কার্ড পাওয়ার পর থেকেই সংসারে কলহ শুরু হয়।

২০২২ সালের ২৪ জুলাই কনিকাকে বেদম মারধর করেন। গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দুইদিন পর গৌরব সাঞ্জারি জেল থেকে জামিন নিয়ে বের হন। নিউইয়র্কে কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে যান। বাংলাদেশে গিয়ে এখন কনিকার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে এবং মিথ্যা প্রপ্রাগান্ডা চড়াচ্ছেন।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)