বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ সীমিত


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 01-06-2022

বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ সীমিত

বাংলাদেশে বর্তমানে শন্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া, সমাবেশে বাধা দেয়া, সমাবেশস্থলে ক্ষমতাসীন দলের বা অঙ্গসংগঠনের একইদিনে সমাবেশ আহ্বান করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে সমাবেশে অংশ নেয়া লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রকাশ করেছে। ২০২১ সালের বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়নে তৈরি হয়েছে ‘২০২১: কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’। বিশ্বের ১৯০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টে এ রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি বিশ্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে মানবাধিকার সুরক্ষিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদিও বাংলাদেশের আইনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের বিধান রয়েছে, বর্তমান সরকার এই অধিকার সীমিত করেছে। বর্তমানে বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভের মতো সমাবেশের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অগ্রিম অনুমতি নিতে হয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, বিরোধীদলগুলোর জমায়েত নিষিদ্ধ করার জন্য আইনি বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়। আবার মাঝে মাঝে পুলিশ বা ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরাও বিরোধীদল বা সংগঠনের কর্মীদের বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে বলপ্রয়োগ করে। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের পর গত বছরের ২৬-২৮ মার্চে হেফাজত-ই-ইসলামের সদস্যরা বিক্ষোভ করেছিল। তাতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা না আসা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কিন্তু পুলিশ আসার পরেই বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারী এবং পুলিশ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় পুলিশ ৩ হাজার ২৭০ জন নামধারী এবং আরো অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ১৫৪টি মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের সদস্যসহ বিরোধীদলীয় ১ হাজার ২৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও আটক করা হয়। এছাড়াও একইসময়ে আন্দোলন করা বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ৫৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা প্রায় সারা বছর ধরেই অসংখ্য বিধি-নিষেধের কথা জানিয়েছেন। বিশেষকরে, সংসদের বাইরের বিরোধীদল বিএনপিকে অনুষ্ঠান করতে অনুমতি দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। গত বছরের ২৯ মার্চ খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত কর্মসূচিতে পুলিশের হামলায় ২০ জন আহত হয়। এছাড়া একই বছরের ৩১ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত দরিদ্রদের জন্য খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য ছোট ছোট রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠানেও বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।



প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)