নিউইয়র্কে ডিপোর্টেশন-বিরোধী বৃহত্তর প্রোটেকশন আইনের দাবি


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 02-06-2022

নিউইয়র্কে ডিপোর্টেশন-বিরোধী বৃহত্তর প্রোটেকশন আইনের দাবি

 ইমিগ্র্যান্ট ও তাদের পক্ষে প্রচারকারীরা ডিপোর্টেশনের বিরুদ্ধে অধিকতর প্রোটেকশনের জন্যে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির চলতি সেশন শেষ হওয়ার পূর্বে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছে। ড্রাম বাজিয়ে, সেøাগান দিয়ে আলবানীর স্টেট ক্যাপিটালে তারা এই দাবি তুলেছে।

দাবি উত্থাপকরা বলেছেন যে, প্রস্তাবিত আইন পাস করা হলে তা ইউএস ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এজেন্টদেরকে কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব ও ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস প্রকাশ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, যাতে কোনোপ্রকার ডিপোর্টেশন করা না যায়। এই প্রস্তাবিত বিল হচ্ছে ’নিউইয়র্ক ফর অল অ্যাক্ট’। এই আইন উত্থাপন করেছেন ব্রুকলিনের ডেমোক্রেট স্টেট অ্যাসেম্বলি সিনেটর জুনিয়র সালাজার।

এই বিল পাশ হলে স্টেট ও স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী এজেন্টদের, পিস অফিসারদের, স্কুল রিসোর্স অফিসারদের, স্টেট এজেন্সিসমূহকে, স্টেট কর্মচারী ও প্রবেশ এজেন্সিসমূহকে কোনো লোকের ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস, ন্যাশনালিটি, কান্ট্রি অব অরিজিন অথবা তার মুক্ত হওয়ার সময় অথবা কোর্ট ডেট সম্পর্কে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) অনুসন্ধান, জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত কাজের জন্য প্রকাশ করা যাবে না। প্রস্তাবিত ব্যবস্থা কর্মকর্তাদের বৈধ কোর্ট অর্ডার অথবা ফেডারেল জুডিশিয়াল ওয়ারেন্টের বৈধ নির্দেশ মান্য করতে বাধা দেবে না। সিনেটর জুলিয়া সালজার বলেন, তার উত্থাপিত আইন ইমিগ্র্যান্ট নিউইয়র্কারদের রক্ষার জন্য জরুরিভাবে প্রয়োজন। 

সালজার বলেন, আইস অপ্রয়োজনীয়ভাবে আমাদের কমিউনিটিতে পরিবারদের পৃথকীকরণ ও তাদেরকে ছিন্নমূল করার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমাদের স্টেট আইন প্রণয়ন ব্যবস্থায় আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের সহকর্মীদের ডাকে সাড়া দিতে হবে এবং এই আইন পাস করে স্টেটের সকল অধিবাসীর মনোস্কামনা পূরণ করতে হবে।

আইস যাতে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে এবং যাতে কোনো ভীতি ছাড়া ইমিগ্র্যান্টরা নিউইয়র্কে সরকারি সেবায় নিয়োজিত হতে পারে, সে জন্য এই অ্যাকশন নেয়া দরকার। 

সমগ্র স্টেটে ৭৬টি বিভিন্ন আইস ডিটেনশন ফ্যাসিলিটি রয়েছে, সেখানে শত শত ইমিগ্র্যান্ট বন্দি। সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে আইস ২৫ হাজার ইমিগ্র্যান্টকে বন্দি করে রেখেছে। ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসেই তা করা হয়েছে।

ব্রঙ্কসের ডেমোক্রেট স্টেট অ্যাসেম্বলি সদস্য কারিন রেইস বলেন, ‘নিউইয়র্কের আইনপ্রয়োগকারীরা শুধুমাত্র সহিংসতার মধ্য দিয়ে আমাদের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কাজ চালায়। প্রত্যেকেই হয়রানি না হওয়ায় মুক্ত জীবন নিয়ে বাঁচার অধিকার রাখে।’ গত জানুয়ারি মাসেই এই আইন সিনেট কোড ও অ্যাসেম্বলি ওয়েজ অ্যান্ড মিনস কমিটি কর্তৃক পাস হয়েছে। যেসব ইমিগ্র্যান্ট ক্যাশ বেইল দিতে পারে না, তাদেরকে ইমিগ্র্যান্ট বন্ড কোম্পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। এসব কোম্পানি ৪২০ ডলারের বেশি প্রতি মাসে চার্জ করতে পারে। এই চার্জ করা হয় অপারেটিং ব্যয় পায়ের গোড়ালিতে এঙ্কল মনিটরিং ব্যয় হিসেবে। এই ডিভাইসে গড়ে মাসে ১২০ ডলার ব্যয় হয়। স্টেট ইমিগ্রেশন কোর্টে গড়ে দুই বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। 

নিউইয়র্কে মেডিয়ান বল ব্যয় ইমিগ্রেশন মামলার জন্য সাড়ে ৭ হাজার ডলার, যা ফেলোনি ক্রিমিনাল মামলায় দণ্ডের চাইতে ৫০ শতাংশ বেশি এবং নন-ফেলোনি ক্রাইমের চাইতে অন্তত ৭গুণ বেশি। এই বিল এখন ওয়েজ অ্যান্ড মিনস কমিটিতে রয়েছে। এই বিল ইমিগ্রেশন বন্ড প্রিমিয়ামও কমানোর প্রস্তাব করেছে। ২ জুন এই সেশন শেষ হওয়ার কথা। 



প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)