বাংলাদেশের নতুন হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে সম্প্রতি কুমিল্লা ,গোপালগঞ্জ সহ কয়েকটি নির্বাচন হলো । নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকলেও বিএনপি সহ কোনো রাজনৈতিক দল আনুষ্ঠানিক ভাবে অংশগ্রহণ করে নাই। তবে উভয় কেন্দ্রে দল ছুট বিএনপি প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। এটি অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল কিনা সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। তবে জনগণের ভোট প্রদানের আকাঙ্খা পরিলক্ষিত হয়েছে। ভোটিং ধারা থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণিত সরকারের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুর্গম দুর্গ। সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভরাডুবী উপেক্ষা করার মতো নয়।
কুমিল্লায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ন্যূনতম ব্যাবধানে জয়ী হন আওয়ামী লীগ র্প্রার্থী। সেখানেও দলছুট বিএনপি দুই প্রার্থীর ভোট যোগ হলে দেখা যায় জনগণ পরিবর্তন চাচ্ছে। জানিনা বা মন্তব্য করা এই পর্যায়ে বলা সমীচীন হবে না। এগুলো জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে এরিস্টো করার কৌশল কিনা। তবে এই নির্বাচন সমূহ থেকে শাসক দলের শিক্ষা নিতে হবে।
আরো একটি বিষয় এখানে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সবাই জানে কুমিল্লার রাজনীতিতে সদরের সংসদ বাহার অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী। তিনি নির্বাচন সময়ে সরাসরি সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে না নামলেও তার প্রচ্ছন্ন প্রভাব ছিল। তিনি নিজেও দিয়েছেন শ্যাডো বাহার। নির্বাচন কমিশন বাহারকে নির্বাচন সময়ে তাঁকে নির্বাচন এলাকা ছেড়ে যেতে চিঠি দিয়েছিলেন। বাহার উপেক্ষা করেছেন। নির্বাচন কমিশন তাদের উপর অর্পিত ক্ষমতা অনুযায়ী এভাবে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে নির্দেশ দিতে পারেন কিনা সেটি ব্যাখ্যা দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।
বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন নিজেরাও অসহায় বলে জানিয়েছেন। বাহার সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন। জাতীয় নির্বাচকে সামনে রেখে বিষয়টি সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। নাহলে একই ইস্যুতে আরো বড় বিতর্ক সৃষ্টি হবে. জাতীয় নির্বাচন প্রশ্ন বিদ্ধ হবে।
জনগণই বিচার করবে প্রথম পরীক্ষায় নির্বাচন কমিশন কত মার্কস পেলো? উত্তীর্ণ হলো না ফেল করলো?