সিলেট মোটরস বাঙালি মালিকানাধীন একমাত্র গাড়ির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 23-06-2022

সিলেট মোটরস বাঙালি মালিকানাধীন একমাত্র গাড়ির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

সিলেট মোটরস নিউইয়র্কে একমাত্র বাংলাদেশি মালিকানাধীন গাড়ি বিক্রির প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে এই প্রতিষ্ঠান নিউইয়র্কে মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সিলেট মোটরস শুধু গাড়ি বিক্রির প্রতিষ্ঠান নয়, এর মধ্যে রয়েছে অনেক কিছুই। অর্থাত গাড়ি বিক্রি, গাড়ি মেরামত এবং গাড়ির যাবতীয় সমস্যার সমাধান। অর্থাত সিলেট মোটরস মানেই একের ভেতর অনেক। এই প্রতিষ্ঠান থেকে গাড়ি ক্রয় করে সব কিছুই তাদের মাধ্যমে করা যায়। নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেক প্রতিষ্ঠান থাকলেও গাড়ি ব্যবসায় সিলেট মোটরস একমাত্র অপ্রতিরোধ্য প্রতিষ্ঠান। বিদেশি প্রতিষ্ঠানে গেলে অনেক ফাঁকফোকরের মধ্যে পড়তে হয়, কিন্তু সিলেট মোটরসে গেলে ক্রেতারা থাকতে পারেন দুশ্চিন্তা মুক্ত। অর্থাত কথা এবং কাজে তারা এক। যে কারণেই অল্প কয়েক বছরের মধ্যে সিলেট মোটরসের খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকার ১৬১-০৫ হিলসাইড অ্যাভিনিউতে সিলেট মোটরস প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০১০ সালে। মেহবুব রহমান মুন্না এবং তার মামা নূর কবির এহতেশাম এই প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। মেহবুব রহমান মান্না জানালেন তার প্রয়াত বাবা এই দেশে উন্নত জীবনের হাতছানিতে এসেছিলেন ১৯৬৪ সালে। তিনি যখন আশির দশকে আসেন তখন তার বয়স ছিলো মাত্র তিন বছর। লেখাপড়া করেছেন এখানেই। কথা প্রসঙ্গে জানালেন, আমি কলেজ পড়া অবস্থায় পার্ট টাইম ট্যাক্সি চালাতাম। সেই সময় আমার মামা নূর কবির এহতেশামও আমার সাথে ছিলেন। আমরা গাড়ি ঠিক করতাম এক পাঞ্জাবি গ্যারেজে। সেই গ্যারেজ মালিক বললেন, তিনি তার গ্যারেজটি বিক্রি করবেন। আমি এবং আমার মামা ঠিক করলাম আমরা গ্যারিজটি নেবো। যেই কথা সেই কাজ আমরা ২০০১ সালে ইউএস অটো চালু করলাম। সিলেট মোটরস এবং আরেকটি অটোশপ স্টার অটোও একইসাথে চালু করলাম। গ্যারেজ পরিচালনা করতে গিয়েই গাড়ির বিভিন্ন ডিলারদের সাথে আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ১০টি গাড়ি নিয়ে সিলেট মোটরস চালু করা হয়। আজকে তারাই গাড়ির ডিলারে পরিণত হয়েছেন। মানুষ বিশ্বাস অর্জন এবং সততার সাথে কাজ করার কারণেই মানুষের ভালোবাসায় এখন তাদের প্রায় ১৫০টির মতো গাড়ি রয়েছে, যা শোভা পাচ্ছে তাদের শো-রুমে। এক প্রশ্নের জবাবে জনাব মুন্না বলেন, আমাদের ক্রেতাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ বাংলাদেশি। বাকিরা অন্যান্য কমিউনিটির। তিনি বলেন, আমরা এখানে নতুন এবং পুরোনো গাড়ি বিক্রি করে থাকি। কেউ নগদে গাড়ি ক্রয় করতে পারেন, কেউ লিজে আবার কেউ লোনে গাড়ি ক্রয় করেন। আমরাই সকল ব্যবস্থা করে দিই। বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে আমারা ক্রেতার লিঙ্ক করে দিই। সোজাকথা আমরাই ব্যবস্থা করে দিই। কারো ক্রেডিট খারাপ থাকলেও কোনো অসুবিধা নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ নতুন গাড়ি নিতে চাইলে আমরা গাড়ির অর্ডার দিই। তবে আমরা বেশিরভাগে ব্যবহৃত গাড়িই বেশি বিক্রি করি। ক্রেডিট খারাপ থাকলে ইন্টারেস্ট রেট একটু বেশি থাকে। তবে ডাউন পেমেন্ট বেশি দিলে এবং ক্রেডিট ভালো থাকলে ইন্টারেস্ট রেট অনেক ক্ষেত্রেই কম থাকে। যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা নির্ভর করে বর্তমান সময়ে ইন্টারেস্ট রেট কেমন তার ওপর। তবে একটা কথা বলতে চাই, কেউ গাড়ি নিতে চাইলে সিলেট মোটরস থেকে কেউ খালি হাতে ফিরে যাবে না- এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। আরেক প্রশ্নের জবাবে মেহবুব রহমান মুন্না বলেন, করোনার সময় গাড়ির সমস্যা ছিলো। অর্থাত গাড়ি সরবরাহ কম ছিলো। নতুন পার্টস এবং টিপসের সংকট ছিলো। অনেক ফ্যাক্টরিও বন্ধ ছিলো। যে কারণে গাড়ির সংকট ছিলো। এখন আবার তা আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শুধু গাড়ি বিক্রি করি না, বিক্রির পর গাড়ির যাবতীয় সমস্যারও সমাধান করি। কারণ আমাদের রয়েছে নিজস্ব অটোশপ। গাড়ি বিক্রি করেই আমাদের দায়িত্ব শেষ নয়, পুরো গাড়ির মেইনটেন্যান্সও আমরা করি। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সিলেট মোটরসের সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো আমাদের কমিউনিটি ছোট। তবে দিন দিন আমাদের কমিউনিটি বড় হচ্ছে। আমি আমাদের কমিউনিটি নিয়ে গর্বিত। কমিউনিটি যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, সাপোর্ট করছে সিলেট মোটরসও কমিউনিটির পাশে রয়েছে। যে কারণে নানা অনুষ্ঠানে আমরা স্পন্সর করে থাকি। আমি মনে করি এটা আমাদের দায়িত্বও বটে। তিনি আরো বলেন, আমাদের কমিউনিটি যদি ঐক্যবদ্ধ হতো তাহলে আমাদের পক্ষে অনেক কিছু করা সম্ভব হতো। আমরা অনেক এগিয়ে যেতাম।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)