১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৪:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন


আঙিনায় বাগান করে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন অশ্রু
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৮-২০২২
আঙিনায় বাগান করে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন অশ্রু


দেশি-বিদেশি দুর্লভ নানা উদ্ভিদের চারা দিয়ে নিজ আঙিনায় বাগান করে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন অশ্রু। শখের বসে অনেকই নিজবাড়ির আঙিনায় বাগান করেন, কিন্তু আশ্রু’র বাগান সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার এ উদ্যোগকে অনন্য ও ব্যতিক্রমী বলে মন্তব্য করেন এলাকার প্রতিবেশীরা। এ প্রতিনিধি সরেজমিন দেখেন, বর্তমানে তার আঙিনার বাগানে ৫৫ জাতের দুর্লভ গাছ রয়েছে। বাড়ির চারদিকের জায়গাটি উজ্জ্বল করার জন্য শোভাময় এবং বৈচিত্র্যময় লম্বা গাছ, ছোট গুল্ম, শোভাময় উদ্ভিদ, পাতাযুক্ত ভেজষ, ফলজ, ওষুধি গাছ এবং মৌসুমি ফুলের গাছের মিশ্রণও রোপণ করেছেন।   

জ্যামাইকা ১০৫ ইনউডের আফরোজা পারভিন অশ্রু ৪-৫ বছর থেকে এই বাগান করতে শুরু করেন। বর্তমানে তার বাগানে শাকসবজির ও ফলমূলের মধ্যে রয়েছে- পেঁপে, আম, পেয়ারা, সিম, লাউ, টমেটো, পুদিনা, চেরিফল, পাতা, ডাঁটা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, জালি কুমড়া, করলা, শসা, পুঁইশাক, লালশাক, মরিচ, পেঁয়াজ, আলু, বেগুন, মরিচ, চার প্রকার কচু, ফেন, ওল, হলুদ, রসুন,পালংশাক, লাফা শাক, থানকুনি, চিচিঙ্গা। তেমনি ফুল আছে রজনীগন্ধা, গাঁদা, হাসনাহেনা, শিউলি, সন্ধ্যামালতী, গোলাপ, চেরি, জবা, মোরগফুলসহ বেশ কয়েক প্রকার ফুল। এছাড়া নিউইয়র্কে যেসব গাছ দুর্লভ, তার মধ্যে আছে বগফুল, নিমগাছ, কলাগাছ, নীলকণ্ঠফুল, ভেরেন্ডা, খারকোল, পেঁপে, ডালিম, লিচু, ডালিম, বরই, মেহেদি, খেজুরগাছসহ বেশকিছু ওষুধি গাছ। এর মধ্যে কিছু গাছ নিজের বাসার ফলমূল ও শাকসবজি থেকে এবং কিছু বীজ ও চারা বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া তার মেয়ে বেশকিছু গাছ অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে এনেছেন।

চাকরি করার পাশাপাশি সংসারের সব কাজ শেষ করার পরও তিনি সকাল-সন্ধ্যা বাগানের পরিচর্যা করেন। অবসর সময়ে ছাদবাগানের বিভিন্ন নিয়মকানুনের শিক্ষা নেন ফেসবুক ও তার মেয়ের মাধ্যমে। অশ্রু বলেন, ছোটকাল থেকেই গাছ লাগাতে পছন্দ করি। আমার বাবাও শখ করে তরিতরকারি, শাকসবজি ও ফলমূলের চাষ করতো। আমারও অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল, একটা বাগান করার। এখানে বাসা করার পর পরই বাড়ির আঙিনায় বাগানের কাজে লেগে পড়ি। সকাল-বিকেল গাছের চর্চা করি। নিজের গাছের ফল, ফুল দেখে দিনের সব ক্লান্তি ভুলে যাই। এখন নিজের বাগানের শাকসবজি,ফল নিজের পরিবার নিয়ে খাই, পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনকে দেই। আমার স্বামী প্রায় সময় আমাকে উৎসাহিত করে। আমার মা ও মেয়ে সাহায্য করে।

প্রতিদিন এলাকার প্রিয় উৎসুক মানুষ এই বাগান দেখতে আসেন। তাঁর উদ্যোগে অনুপ্রাডুত হয়ে অনেকেই বাগান করার দিকে ঝুঁকছেন।

 

শেয়ার করুন