১৮ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০২:৩২:১৯ অপরাহ্ন


মিশেল ব্যাচলেট বাংলাদেশে কী জানতে গিয়েছিলেন?
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৮-২০২২
মিশেল ব্যাচলেট বাংলাদেশে কী জানতে গিয়েছিলেন? মিশেলকে স্বাগত জানাাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন/ছবি সংগৃহীত


বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেটের বাংলাদেশ সফরটা যে তাৎপর্যপূর্ন তা ইতিমধ্যে টের পাওয়া গেছে। তার এ সফরে শুধু সরকারের দায়িত্বশীলরাই নন, এর বাইরেও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেছেন। তবে এসব বৈঠকে তিনি শুনছেন বেশি। বলছেন কম। অনেক কিছু হয়তো বলবেনও না। তবে ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে তার সফরের লক্ষ্য- উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে কিছুটা বলতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, সে কথা খুব বেশি হবে না। কারণ তার যে পদাধিকার- তাতে কোনো সরকারকেই কিছু বলার অধিকার নেই। তবে তিনি বিভিন্ন তথ্যের সন্নিবেশ ঘটিয়ে যদি তেমন কোনো কিছু গড়মিল পেয়ে থাকেন, সেটা তিনি ফিরে তিনি জতিসংঘের মানবাধিকারের কার্যনির্বাহী বা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তিতে ব্যাবস্থা নিতে পারেন। সে ব্যাবস্থা খুবই কঠোর থেকে কঠোরতমও হতে পারে। কারণ তেমন ক্ষমতা তার তথা জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের রয়েছে। 

তার চারদিনের সফরের প্রথম তিনদিনে যতটুকু তাকে পর্যবেক্ষণ করা গেছে তাতে তিনি প্রচন্ডব্যাস্ততম সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশে। ঢাকায় পৌঁছেই তিনি বৈঠক করেছেন সরকারের দায়িত্বশীল চার মন্ত্রীর সঙ্গে। ওই চার মন্ত্রী হলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।  

চারমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক 

বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিনে সরকারের চারজন সিনিয়র মন্ত্রীর সঙ্গে তিনি আলাদা আলাদা বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশ সে প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। 

এসব বৈঠকের পর ১৪ আগস্ট রোববার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নানা মাত্রায় আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রীরা এ সময় জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিকাশে সরকারের আন্তরিক চেষ্টার উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য মিশেল ব্যাচলেট বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। তবে বিষয়টি আরও ত্বরান্বিত ও কার্যকর করতে তিনি নতুন একটি প্রক্রিয়া গঠনের প্রস্তাব করেন।’ 

তবে মন্ত্রী পরিষদের চার সদস্যের সঙ্গে আসলে কী আলাপ হয়েছে সেটা জানা যায়নি। মন্ত্রীরা বেড়িয়ে টুকটাক কেউ কিছু হয়তো বলেছেন- সেটাই জানা গেছে। তাতে দেখা গেছে বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের যেসকল অভিযোগ- আপত্তি রয়েছে বা তাদের অবজারবেশনে উঠে এসেছে। এবং যেসকল বিষয় নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। সেসকল বিষয়ে মন্ত্রীরা আলোচনা করেছেন। আগেই জানানো হয়েছে, ব্যাচেলেট শুনেছেন বেশি বলেছেন খুবই কম।  তবে ওই বৈঠকগুলোতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদ সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের কারণে বাংলাদেশ কীভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে, তা তুলে ধরেছেন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ এবং বিদ্যমান ধর্মীয় সংহতির প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিক চেষ্টার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

গুমের প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘৭৬টি গুমের যে কথা এসেছে, সেগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুঁজে দেখেছে। তাতে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিচারকাজকে এড়ানোর জন্য তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সেগুলোর নমুনা আমরা তাদের দিয়েছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মিশেল ব্যাচেলেটকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নেই। এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং তারা বলে নাই, আমরা নিজের থেকে বলেছি। এই রকম বলা হয় যে কিছু লোককে কিল (হত্যা) করেছে  এবং তাদের তথ্য পেলে আমরা নিশ্চয় তদন্ত করে দেখব।’ ২০০২-০৩ সালের দিকে ‘হার্টফেল’ করে মানুষ মারা গেলেও এখন সেটা হয় না বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অপারেশন ক্লিন হার্টের কথা বলছেন কি না এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হার্টফেল করে মারা যাওয়ার স্টোরি ২০০৩-০৪-০৫ সালের দিকে শুনতাম। এখন শুনি না।’

এ ছাড়া গুম এবং গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মতো বিষয়ে বৈঠকে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের দেশে যেটা হয়, সেটাই আমরা বলেছি। তাদের বলেছি, এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস (গুম) শব্দ আমাদের দেশে নাই। তবে কিছু কিছু লোক বলেছে, ৭৬ জন লোক নাকি গত ১০ বছরে নিখোঁজ হয়েছে। তারা বলেছে যে সরকারই নাকি নিখোঁজ করেছে। 

বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই এমন অভিযোগের বিষয়ে জাতিসংঘের কাছে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করে বোধ হয় মিডিয়া নিয়ন্ত্রণাধীন; তাদের বলা হয়েছে, অনেকগুলো নিবন্ধিত মিডিয়া আছে, কিন্তু সরকারের মিডিয়া ছাড়া কোনো মিডিয়াই নাই। আমি বললাম, আমাদের দেশে ২৮০০ মিডিয়া আছে।’ এছাড়াও নতুন পাঠ্যক্রম চালু ও ওই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। 

মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক 

এদিকে মিশেল ব্যাচেলেটের সফরসূচিতে গত ১৫ আগষ্ট রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের মানবাধিকার  নিয়ে নানা উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছেন মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। এ বৈঠকে তারা এ উদ্বেগের কথা জানান। বৈঠকে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, গুম, বাকস্বাধীনতা, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, নারী নির্যাতন নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রায় ১৫ জনের বেশি মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি অংশ নেন। প্রত্যেকেই তাদের বিষয়গুলো  নিয়ে কথা বলেন। ব্যাচেলেটও ধৈর্য নিয়ে শোনেন।  এ বিষয়ে অবশ্য কোনো বিবৃতি বা উভয় পক্ষের কোনো তথ্য প্রকাশের সিষ্টেম ছিলনা। তবুও বৈঠক থেকে বের হয়ে কিছু কিছু কথা বলেছেন। 

এর মধ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমি সেখানে পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিয়ে কথা বলেছি। মানবাধিকারকর্মী, পরিবেশবিদ ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে নানা উদ্বেগের বিষয়ে কথা হয়। মূল কথা দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কী কী অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। পরিবেশ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নানা অসুবিধায় পড়তে হয়। পরিবেশগত আইনগুলো কেমন, সেগুলোর প্রয়োগ আছে কিনা, এখন যে উন্নয়নের ধারা সেগুলোর সঙ্গে পরিবেশের সামঞ্জস্য আছে কিনা, গণতন্ত্র, নির্বাচন, নারীর প্রতি সহিংসতা, বিচারহীনতা, আদিবাসী, সংখ্যালঘু, গুম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, এনজিওদের আইন নিয়ে কথা হয়েছে। তবে জাতিসংঘের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেছেন, কারও কাছে এ সকল চ্যালেঞ্জ এবং উদ্বেগ সমাধানে কোনো মন্ত্র নেই। এগুলো একটা প্রক্রিয়া। একদিনে কোনো একটি কথা বলে তো শেষ করা যাবে না। এটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শেষ করতে হবে। এই সমস্যাগুলো বিশ্বব্যাপী নতুন নতুন ধারায় তৈরি হয়। এ বিষয়ে মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির বলেন, দেশের মানবাধিকারের বিষয় নিয়ে আমাদের কাছ থেকে শুনতে চেয়েছেন। আমার আলোচনার বিষয় ছিল সুশাসন। শুধু নির্বাচন হলে তো হয় না। নির্বাচনের পরে আমরা যাকে নির্বাচিত করেছি আমাদের কাছে যদি জবাবদিহি না থাকে, পরিকল্পনা করার সময় কোনো আলোচনা না করে আমাদের কথা না শোনে তাহলে সেটা তো গণতন্ত্র না। নির্বাচনের দিন শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন করা সেটা আমার কাছে যথেষ্ট না। 

গুম নিয়ে কাজ করা ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমি একাই ছিলাম। আমাদের চাওয়া- গুম নিয়ে সঠিক তদন্ত কমিটি যেন সরকার গঠন করে। আমাদের গুম হওয়া পরিবারগুলোকে যেন তারা জানায়, স্বজনরা কোথায় আছেন। তাদের বর্তমান অবস্থা কি? এটাই আমাদের চাওয়া ছিল। তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিজেদের মতো করে গুম-খুনের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছে। আমাদেরকে বলা হয়েছে এ বিষয়গুলো যেন প্রকাশ না করি। এতে তাদের কাজ করতে হয়তো সমস্যা হয়।  আলোচনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, মানবাধিকার সংগঠন অধিকার’র সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র, চাকমা সার্কেলের প্রধান রাজা দেবাশীষ রায়সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। 

রাঙ্গামাটির কুতুকছড়িতে মানববন্ধন  

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটকে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে গত সোমবার (১৫ আগষ্ট) রাঙ্গামাটির কুতুকছড়িতে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনসহ চার সংগঠন। স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে- ইউপিডিএফ সমর্থিত বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়নে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের জেলা কমিটির সভাপতি রিনিশা চাকমা। এতে বক্তব্যে দেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তনুময় চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা কার্বন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা শাখার সভাপতি রিমি চাকমা। সমাবেশে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড, খুন, গুম, অপহরণসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারকে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশের ও অবাধে তথ্য সংগ্রহের অনুমতি দেওয়াসহ ৮ দফা দাবি জানানো হয়। জানা গেছে তার সফরসূচিতে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত ও ফিরে যাবার প্রাক্কালে সাংবাদিকদের সঙ্গেও সফর প্রসঙ্গে ব্রিফ করতে পারেন। চারদিন সফর শেষে বুধবার তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা। 

শেয়ার করুন