জাতিসংঘের কমিটি অন দ্য এলিমিনেশন অব রেসিয়াল ডিসক্রিমিনেশন (সিইআরডি) গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্র্যান্টদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। বিশেষ করে আফ্রিকান রাষ্ট্র থেকে আগত ইমিগ্র্যান্টদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে।
সিইআরডি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি যা জাতিগত, বর্ণগত, বংশগত অথবা জাতীয় ও গোত্রগত কারণে যে কোনো বৈষম্যমূলক আচরণকে প্রতিহত করে। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬৬ সালে এই বৈষম্য প্রতিহতকরণ আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করেছে ১৯৬৬ সালে আর তা কংগ্রেসে পাস করেছে ১৯৯৪ সালে। প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে বৈষম্যমূলক আচরণের ওপর রিপোর্ট দিয়েছে ২০০০ সালে আর ২০২১ সালে সর্বশেষ রিপোর্ট দিয়েছে জাতিসংঘে। ট্রাম্প প্রশাসন কোনো রিপোর্ট দিতে পারেনি। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘের এই ট্রিটিকে ট্রাম্প প্রশাসন লঙ্ঘন করেছে।
গত ১১ ও ১২ আগস্ট সিইআরডি সদস্যরা আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে ইমিগ্র্যান্টদের দুর্দশা ও ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে তাদের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে প্রতিনিধিদলকে জিজ্ঞেস করেন, অ্যাসাইলামে অবাধভাবে আবেদনের জন্য কখন সুব্যবস্থা গৃহীত হবে? সিইআরডি জাতিগতভাবে নিপীড়ন ও বৈষম্যমূলক আচরণ কবে শেষ হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করে। তারা বলে আমেরিকার কালো লোকদের কোনো মানবিক প্রোটেকশন না দিয়ে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
তারা জাতিগত বৈষম্য নিয়ে প্রোফাইলিং কেন বন্ধ করা হবে না তা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করেন। আগস্টের ৩০ তারিখে কমিটি, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া রিপোর্ট পর্যালোচনা করবেন।