২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ০৫:৪২:০৩ অপরাহ্ন


পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের পর আত্মহত্যা করলো শরিফী
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৯-২০২২
পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের পর আত্মহত্যা করলো শরিফী খোসাই শরিফী


পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের পর আত্মহত্যা করেছেন একজন নারী। নিজের ভগ্নিপতি, তার বাবা এবং নিজের বাবাকে গুলি করে হত্যার পর নিজের ওপর গুলি চালান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের বাসিন্দা ওই নারী। গত ২৮ আগস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনা ঘটানোর আগে ওই নারী প্রকাশ্যে ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে তার বোনকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার অভিযোগ করেছে। তার দাবি, তার বোনের সঙ্গে যখন এমন অন্যায় করা হচ্ছিল তখন অন্য আত্মীয়রা এর প্রতিবাদ করেনি। সেই আত্মীয়দের মধ্যে এদিন নিহত হওয়া বাকি দু’জনও রয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই নারীর দেয়া এক পোস্টেও একই ধরনের ইঙ্গিত মিলেছে। গত ২৩ আগস্ট বিকালে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন খোসাই শরিফী নামের ওই নারী। তার বোনকে চড়, লাথি, মুখে ঘুষি মারা আর শ্বাসরোধ করার বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি। জানান, বোনের সঙ্গে তার স্বামীর আচরণও ছিল খুবই বাজে।

ফেসবুকে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের লিনে বসবাসরত একজন আফগান নারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন শরিফী। নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মা-বাবা এবং তার মা-বাবা এতো বছর ধরে জানতো। কিন্তু আসলে তারা তেমন কিছুই করেনি। বরং বলতো, ‘তোমরা আলাদা হলে লোকে কী বলবে?’ এমনকি তারা ভিকটিম বেøমিংও করতো।’

নিজের বাবার বিরুদ্ধেও মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন তিনি। এ ধরনের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার বলে উল্লেখ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বোনের আরোগ্য কামনা করে ওই ফেসবুক পোস্টের ইতি টানেন শরিফী। কিন্তু নিজের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা তাকে মানসিকভাবে কতটা বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে সেটি ছিল অন্যদের কল্পনারও বাইরে। কেউই বুঝতে পারেনি আদতে কী ঘটতে যাচ্ছে!

স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই পোস্টের কয়েক মিনিটের মাথায় শরিফী তার বাবা ৬৬ বছরের মোহাম্মদ শরিফী এবং ৩৪ বছরের ভগ্নিপতি সানজার হালিনকে গুলি করেন। তাদের উভয়েই ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে ভগ্নিপতির বাবা ৫৬ বছরের আব্দুল হালিনের গাড়িতে বসেই গুলি করে তাকে হত্যা করেন শরিফী। এরপর প্রায় আধা মাইল গাড়ি চালিয়ে একটি মুদি দোকানের বাইরে সেটি পার্ক করেন তিনি। তার নিজের ওপর বন্দুক চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।

শুধু প্রতিশোধ নেওয়াই এই ট্রিপল মার্ডারের উদ্দেশ্য ছিল কিনা সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি প্রসিকিউটররা। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস বলছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া ওই পোস্টের ভিত্তিতে কোনও মন্তব্য করবে না।

শেয়ার করুন