টি-২০ ভার্সনে একটা অতৃপ্তি ছিল তার। সেটা সেঞ্চুরী। ভিরাট কোহলির অনেক রেকর্ড। অনেক নৈপুন্য। কিন্তু এ ভার্সনে একটা সেঞ্চুরী ছিলনা। ওই স্বপ্নটা পূরন হলো এবার। এশিয়া কাপের গুরুত্বহীন ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ভারতের সাবেক এ অধিনায়ক করেছেন ১২২ রান। বল খেলেছেন ৬১ টি। তার ইনিংসে রয়েছে ৬টি ছক্কা ও ১২ চারের মার। এর আগে সেঞ্চুরী পুর্ন করেছেন ৫৩ বলে। যাতে ছক্কা ছিল চার ও চারের মার ছিল ১১ টি।
বিরাট কোহলির এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল এ ভার্সনে ৯৪। ২০১৯ এ হায়দ্রাবাদে ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে ওই রান করেছিলেন তিনি চেজিংয়ে যেয়ে। ৫০ বলে ৬টি করে ছক্কা ও চার হাকিয়ে ওই রান করে অপরাজিত ছিলেন। এবং দুই শতাধিকরানের চ্যালেঞ্জ টপকে তুলে নিয়েছিলেন জয়।
এশিয়া কাপের এ ম্যাচের জয় পরাজয়ে ভারতের ফাইনালে যাবার কোনো সুযোগ নেই। শুধুই শ্রেষ্টত্ব। তাতে বিরাট ওই ব্যাটিং নৈপুন্য প্রদর্শন করেছেন। তার ব্যাটিংয়ের সুবাদে ২১২ রান করে ভারত ২ উইকেটে। আফগানিস্তানের বোলাররা এতদিন যে পারফরমেন্স দেখিয়ে আসছিলেন বিশেষ করে আগের দিন পাকিস্তানের বিপক্ষেও। সেটা ছিল সম্পুর্নরুপে অনুপুস্থিত। সবচে বেশী রান দিয়েছেন ফরীদ খান। চার ওভারে ৫৭। এছাড়া ফজল হক ৫১ ও রশীদ খান দিয়েছেন ৩৩ রান।
এরপর জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আফগান ব্যাটিং বোলারদের মতই ভেঙ্গে পরেছে। ২১৩ রানের লক্ষ্যে ১৭ রানে হারিয়ে ফেলে তারা ৪ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১১১/৮ রানে ইনিংস শেষ করে আফগানিস্তান ঢিলেঢালা এক ইনিংস খেলে। ইব্রাহিম জারদানকে আউট করতে পারেনি ভারতীয় বোলিং লাইন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি ৬৪ রান করে। যদিও এ জন্য তিনি খেলেছেন ৫৯ বল। এতে করে ভারত জিতে যায় এ ম্যাচ বড় ব্যাবধানে ১০১ রানে।
ভুবেনেশ্বর কুমার তার করা ৪ ওভারে এক মেডেন,চার রানে নেন পাচ উইকেট।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরুস্কার লাভ করেন বিরাট কোহলি তার অনাবদ্য ইনিংসের জন্য।