২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:০২:১৩ পূর্বাহ্ন


দেশকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
মানুষ আজ মুক্তির সংগ্রাম করছে
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-১০-২০২২
মানুষ আজ মুক্তির সংগ্রাম করছে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যারা বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে বেশি ধরনা দেয়, তারাই এধরনের অভিযোগ করে। বিএনপির ধরনা দেয়ার দরকার নেই। বিএনপির নির্ভরশীলতা বাংলাদেশের জনগণের ওপর। 

আমেরকিা থেকে থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। সাক্ষাৎকারটি নিচে তুলে ধরা হলো- 

দেশ: দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কি?

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী: সার্বিক পরিস্থিতি আর কি বলবো। দেশের জনগণ সব বুঝছে, দেখছে। জনগণ টের পাচ্ছে। আমরাও মনে করি তারা (সরকার) যা ইচ্ছা করুক। আমরা জনগনের সাথে আছি...জনগণের সাথে নিয়ে তাদের দাবি আদায়ে অনড় থাকবো।

দেশ: দেশে বর্তমানে আপনারা আজকে যেসব পরিস্থিতির কথা বলে আন্দোলনে নেমেছেন তার জন্য কি বিএনপিও কম দায়ী? এমন পরিস্থিতির দায়ভার আপনারা কি নেবেন না? আপনারা কি গণতন্ত্র রক্ষায় ভূমিকা রেখেছিলেন?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: আমরাতো আজকের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে সমস্যা আজকেই সমাধান কারা চেষ্টা করতেছি। আমিতো এখানে বসে আগের ইতিহাস তুলে ধরতে পারবো না। আমি আজকে এখন বর্তমান পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করে আপনার সাথে কথা বলছি। মানুষ আজকে যে গর্তের মধ্যে পড়েছে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম করছে। এটা বলতে পারবো যে, মানুষ আজ মুক্তির সংগ্রাম করছে। ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথা বলতে পারবো। বাকস্বাধীনতা রক্ষার ব্যাপারে জনগণের আন্দোলন সংগ্রামের কথা বলতে পারবো। জীবনের নিরাপত্তার জন্য সংগ্রামের কথা বলতে পারবো। রাতে খাওয়ার জন্য সংগ্রামের কথা বলতে পারবো। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথা বলতে পারবো।

দেশ: আপনারা যেসব সংগ্রাম বা আন্দোলনের কথা বলছেন তাতে কি মানুষ অংশ নিচ্ছে? স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছে? কারণ আপনিই তো বলেছিলেন যে, আমরা দুই হাজার লোক যদি প্রাণও দিই, তাহলেও শেখ হাসিনাকে পতন সম্ভব না। এ জন্য লাখ লাখ লোক নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: অবশ্যই যোগ দিচ্ছে। দেখতেছেন না বিএনপির সব সমাবেশ কর্মসূচিকে জনগণ বিএনপির পাশে কীভাবে দাঁড়াচ্ছে? লাখ মানুষ আসছে কোনখান থেকে? জনগণের অংশগ্রহণ আছে বলেই তো তা সম্ভব হচ্ছে।

দেশ: গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আপনারা র‌্যাবের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞায় আশায় আছেন।  আন্দোলন সংগ্রাম বাদ দিয়ে নিষেধাজ্ঞা যেন আসে, এমন আমায় আছেন- কথাটা কি ঠিক? 

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: এ সরকারের বিরুদ্ধে এমনিতেই জনগণই নেমেছে। 

দেশ: না আমি জানতে চাইছিলাম যে বিএনপির নেতৃত্ব চাইছে বর্তমান সরকারের ওপর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে আরো নিষেধাজ্ঞা। সেই আশায় বিএনপির নেতৃত্ব দিন গুনছে। আন্দোলনের চেয়ে নিষেধাজ্ঞাটাই বিএনপির কাছে বেশি গ্রহণীয়। সত্যিই কি তাই?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: বিএনপির আস্থা বাংলাদেশের জনগণের ওপর। জনগণের ওপর ভিত্তি করেই বিএনপির আস্থা তৈরি হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব বা অন্য কোনো শক্তির ওপর ভর করে বিএনপির আস্থা তৈরি হয়নি। পুলিশ, র‌্যাব বা অন্য কোনো শক্তির ওপর নির্ভর করে বিএনপি রাজনীতিও না।

দেশ: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের দেশের মাটিতেই যদি বিএনপির সমর্থন থাকতো, যদি তাদের খুঁটিতে জোর থাকতো, তাহলে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়ার প্রয়োজন হতো না। অন্যদিকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সম্প্রতি বলেছেন, বিএনপি বিশ্বাস করে বন্দুকের নলের শক্তি, ষড়যন্ত্র আর বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সেটি বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতেই বলীয়ান এবং সেটিই বাস্তবতা। আর বিএনপি দিনের বেলায় নয়াপল্টনে অফিস করে, রাতের বেলায় দূতাবাসে দূতাবাসে ঘুরে বেড়ায়। সরকারের আরো শীর্ষপর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে বিদেশি দূতাবাসে দূতাবাসেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: যারা বেশি ধরনা দেয় বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে তারাই এধরনের অভিযোগ করে। বিএনপির ধরনা দেয়ার দরকার নেই। বিএনপির নির্ভরশীলতা বাংলাদেশের জনগণের ওপর।

শেয়ার করুন