১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০১:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন


উপভোগ্য ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালো ভারত
সালেক সুফী, অস্ট্রেলিয়া থেকে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১০-২০২২
উপভোগ্য ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালো ভারত এমসিজিতে জয়ের পর এমন অভিব্যাক্তি বিরাট কোহলির/ছবি সংগৃহীত


পাকিস্তান: ১৫৯/৮ (শান মাসুদ ৫২,ইফতেখার ৫১,হার্দিক ৩/৩০, আর্শ্বদিপ ৩/ ৩২)

ভারত: ১৬০/৬ (বিরাট কোহলি ৮২*, হার্দিক ৪২,হারিস ২/৩৬,নেওয়াজ ২/৪২)

ফল: ভারত ৪ উইকেটে জয়ী। 

ভারত পাকিস্তান ম্যাচ এমনই। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লেগে থাকে উত্তেজনা। তবে দুবাইয়ে অনুষ্টিত এশিয়া কাপে  একেবারেই পানসে ছিল ম্যাচ। এক তরফা খেলে পাকিস্তান জিতেছিল একপেশে সে ম্যাচে। কিন্তু এমসিজিতে সেটা হয়নি। উত্তেজনায় যেন কাপছিল এমসিজি। শেষ ওভারেই নিশ্চিত নয় কে জিতবে। ঘটনাবহুল ওই শেষ ওভারে নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি ভারতের।

কারন ওই ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রানের। বিরাট কোহলি ও দিনেশ কার্তিক ছিলেন ক্রিজে। কিন্তু নেওয়াজের করা প্রথম বলে কার্তিক আউট হয়ে গেলে উত্তেজনা বাড়লেও ভারতের ভরসা সেই কোহলি। যিনি হারিস রউফের ১৯ তম ওভারে ধুকতে থাকা ভারতকে শেষ দুই বলে ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচ নাগালে নিয়ে এসেছিলেন। শেষ ওভারেও স্ট্রাইক পাচ্ছিলেন না, হার্দিক আউট হওয়ার পর।


ক্রিজে এসেছিলেন কার্তিক। কিন্তু নেওয়াজের করা দ্বিতীয় বল থেকে কার্তিক এক রান নিয়ে কোহলিকে দিলে তৃতীয় বলে দুই রান নেন কোহলি। ঘঠনা ঘটে চতুর্থ বলে। স্পিনার নেওয়াজের করা চতুর্থ বলটি ফুলটস কল করেন আম্পায়ার। বিচক্ষন কোহলি মুহুর্তে সেটাকে ছক্কায় পরিণত করেন। আম্পায়ার ‘বিমার’ হিসেবে বলটি গন্য করলেও এটা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। কারন স্পিনারদের বলে এমন ‘বিমার’ কল করার ঘটনা কদাচিৎ। পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা এক দফা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।

কাজ হয়নি। ওই এক ছক্কা ও নো বলে রান পায় সাতটি। বলও থেকে যায়। এতে নেওয়াজের মনবল ভেঙ্গে যায়। তিনি পরের বলটি করেন ওয়াইড। আরো এক রান যোগ, বলও থেকে গেল। এরপর ওই বলটি আবারও করলে এবার বাই থেকে তিন রান আসে। এতে ভারত জয়ের কিনারায় চলে যায়। কিন্তু পঞ্চম বলে এবার আউট দিনেশ কার্তিক। কী হয় ম্যাচের রেজাল্ট সেটা নিয়ে টেনশন। এ সময় ক্রিজে আসেন আশ্বিন। ১  বলে দরকার ১ রান। আশ্বিন সে ভুল করেননি। প্রয়োজনীয় রানটি ঠান্ডা মাথায় নিয়ে মেতে ওঠেন জয়ের আনন্দে।

এর আগে প্রথম ব্যাটিং করে পাকিস্তান সুবিধা করতে পা্েরনি। নির্ধারিত ওভারে ব্যাটিং বিপর্যয় দেখিয়ে সংগ্রহ করেছিল ১৫৯ রান, ৮ উইকেটে। তিন ব্যাটসম্যান ডাবল ফিগারে যেতে পেরেছিলেন। শান মাসুদ অপরাজিত ৪২ বলে ৫২। ইফতেখার ৩৪ বলে ৫১। এছাড়া শাহীন শাহ আফ্রিদীর ১৬ রান উল্লেখযোগ্য। তিনটি করে উইকেট নেন আর্শদ্বিপ ও হার্দিক পান্ডিয়া। 

এরপর ১৬০ রানের লক্ষে খেলতে নেমে সুচনায় ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে ভারত। ৩১ রানে যাওয়া ওই চার উইকেট ছিল লোকেশ রাহুল, রুহিত শর্মা, সুরিয়া কুমার ও আক্সার প্যাটেল। এরপর ম্যাচের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া। এ দুই দেখে শুনে খেলে দলীয় রান ১৪৪ এ নিয়ে যেয়ে আউট হন ওই হার্দিক। শেটাও শেষ ওভারের ওই ঘটনা। ৪০ করেন তিনি। কোহলি তো শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৮২ রানে। ৫৩ বলে ৪ ছক্কা ৬ চারের সাহায্যে ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরেন। ম্যাচ সেরার পুরুস্কারও পান তিনি।    


শেয়ার করুন