১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ১০:৫৭:৫২ অপরাহ্ন


রাষ্ট্রের দুর্যোগ লাঘবে নয়া 'গণশক্তির' উত্থান -আ স ম রব
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১১-২০২২
রাষ্ট্রের দুর্যোগ লাঘবে  নয়া 'গণশক্তির' উত্থান  -আ স ম রব


জেএসডির সুবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনা সভা, সংকট নিরসনে ১০ দফা উত্থাপন:
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, অবৈধ সরকার, অর্থনৈতিকবিপর্যয় এবং অপশাসন- এই তিন দুর্যোগ ও দুর্ঘটনাকে মোকাবিলা এবং রাষ্ট্র রূপান্তরের লড়াইয়ে রাজপথে নতুন গণশক্তির উত্থান ঘটছে। এই 'গণশক্তি'র সাথে সমাজ অভ্যন্তরে জন্ম নেয়া সমাজ শক্তি যথা শ্রমজীবী, কর্মজীবী, পেশাজীবী ও ছাত্রযুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার মধ্য দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন নিশ্চিত করে দ্রুত রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গিয়ে জাতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থাকে নৈরাজ্যকর করে ফেলেছে। সুতরাং অবৈধ সরকারকে উচ্ছেদ করা ছাড়া অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং অপশাসন থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব নয়।

জেএসডির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আ স ম আবদুর রব
এসব কথা বলেন।

 জাতীয় প্রেস ক্লাবে আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলন এর প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এর প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, গণঅধিকার পরিষদ এর সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, সহ-সভাপতি বেগম তানিয়া রব, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমূখ।

 তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই স্বৈরাচারী সরকারের বিদায় এবং অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের সাথে রাষ্ট্রের গভীর সংকট উত্তরণ এবং রাষ্ট্রের কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরে দ্রুতপদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
 আ স ম রব সংকট উত্তরণে নিম্নোক্ত ১০ দফা উত্থাপন করেন:

১) দলীয় আজ্ঞাবহ অদক্ষ প্রশাসনের বিপরীতে আধুনিক দক্ষ ও 'গণমুখী' প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে; 
২) উপনিবেশিক আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর পরিবর্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে পেশাজীবীদের ভূমিকা ও অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে;
৩) অর্থনৈতিক বিপর্যয় রোধে শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, কৃষিবিদ, অর্থনীতিবিদ, প্রযুক্তিবিদ ও খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অবিলম্বে 'অর্থনৈতিক সংস্কার' কমিশন গঠন করা; 
৪) খাদ্য নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে খাদ্য সহায়তা তহবিল গঠন করা;
৫) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং চাহিদার সমন্বয়ে করা;
৬) আইনের শাসন নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগকে ঢেলে সাজাতে হবে; স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য আইনি সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে;
৭) সংবিধান সংস্কারে 'সাংবিধানিক কমিশন' গঠন করতে, রাষ্ট্রের সকল বিভাগ, দপ্তর ও ইউনিটকে গণমুখী ও স্বাধীন দেশের উপযোগী করে সংস্কার ও মেরামত করতে হবে,
৮) দলীয় পুলিশি ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে স্বাধীনতার উপযোগী মানবিক পুলিশি ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে;
৯) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং নিবর্তনমূলক আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করতে হবে; 
১০) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক নৈতিক মানবিক সমাজ বিনির্মাণে শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবী জনগণের অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কার্যকর জাতীয় ঐক্য স্থাপন করে জাতীয় রিকনসিলিয়েশন সম্পন্ন করতে হবে;


শেয়ার করুন