১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৪:২৯:০০ অপরাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ঐক্যের মিটিং
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-১১-২০২২
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ঐক্যের মিটিং বক্তব্য রাখছেন জিল্লুর রহমান জিল্লু


দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কোনো কমিটি নেই। মাঝে কেন্দ্র থেকে দেয়া হয় স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তীর আহ্বায়ক কমিটি। সেই কমিটির নেতৃত্বে বিএনপি অনুষ্ঠান করছিলো। তাতেও ছিলো বিভক্তি। বিভক্তি যেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পিছ ছাড়ছে না। অবশেষে স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠান করবেন। যেহেতু বিএনপির কমিটি নেই সেহেতু একেকটি অনুষ্ঠানে একজন সিনিয়র নেতা সভাপতিত্ব করবেন এবং আরেকজন পরিচালনা করবেন। তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমান সময় বিবেচনা করে দলকে ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী করা।

গত ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঐক্যের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ এবং যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল। অতীতের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির সমর্থনে মার্কিন কংগ্রেসসহ আন্তর্জাতিক মহলকে এগিয়ে নেয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দরকার বলে অনেকে অভিমত দেন। যাদের নেতৃত্বে স্টেট ও সিটি কমিটি হয়েছে তারা মাঠে সরব থাকলেও সিনেটর-কংগ্রেসের সাথে লবিংয়ে সক্ষম হবেন না বলে অনেকে মন্তব্য করেন। 

আবার কেউ কেউ উল্লেখ করেন, নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হতে না পারার খেসারত দিতে হচ্ছে কমিটিহীন অবস্থায় থেকে। বিএনপির মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, বেগম জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও বহুবার যুক্তরাষ্ট্রে এসে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়ে গেছেন। একইসাথে বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের সমর্থনে কংগ্রেসের শীর্ষনেতাদের কাছে টানতে লবিং চালানোর কথাও ব্যক্ত করা হয়। এজন্যে তহবিল সংগ্রহ করতেও কেউ দ্বিধা করবেন না বলে উল্লেখ করেন। গভীর রাত অবধি চলা এই মতবিনিময়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ সোলায়মান ভূইয়া, আলহাজ বাবরউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক কাজী আজম, বাবুল চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, সৈয়দ এম রেজা, ফিরোজ আহমেদ, মোশারফ হোসেন সবুজ, এম এ সবুর, রকিবুল ইসলাম দুলাল, হেলালউদ্দিন, আবু তাহের, কোষাধ্যক্ষ জসীমউদ্দিন, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, যুবদলের নেতা এম এ বাতিন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, জাসাসের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমান এবং সদস্য সচিব জাহাঙ্গির সোহরাওয়ার্দী,  ছাত্রদলের নেতা মাজহারুল ইসলাম জনি, বিএনপি নেতা আলহাজ মাহফুজুল মাওলা নান্নু, পারভেজ সাজ্জাদ, মার্শাল মুরাদ, এস এম ফেরদৌস, শাহাদৎ হোসেন রাজু, গোলাম এন হায়দার মুকুট, হুমায়ূন কবীর, রাফেল তালুকদার, সরোয়ার খান বাবু, মোহাম্মদ জে মোল্লা, বাসেত রহমান, গোলাম মোহাম্মদ, কাওসার আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, রিয়াজ মাহমুদ, মিজানুর রহমান, এ জেড এম হাসান, হাসান মাহমুদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন