২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৪:২১:৫৯ অপরাহ্ন


ইমিগ্রেশন নিয়ে সংগ্রাম নতুন উদ্দীপনা পাবে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১১-২০২২
ইমিগ্রেশন নিয়ে সংগ্রাম নতুন উদ্দীপনা পাবে


মধ্যবর্তী নির্বাচনে অসম নির্বাচনী ফলাফলের কারণে ইমিগ্রেশন নিয়ে সংগ্রাম আবার নতুন করে শুরু হতে চলেছে আগামী সপ্তাহ থেকে। আন্দোলনরত সংগঠনসমূহের লক্ষ্য হচ্ছে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আলোকে যখন রিপাবলিকানরা তাদের কাক্সিক্ষত রেজাল্ট পায়নি, তখন তাদের সাথে কোনো প্রকার ডিল মেক করা যায় কিনা তা দেখা। 

সর্বশেষ চাপ প্রয়োগের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, ড্রিমারদের ডিপোর্টেশন থেকে রক্ষা করা এবং একইসাথে বর্তমান ডাকা কর্মসূচিকে ফেডারেল কোর্টের খড়গ থেকে রক্ষা করা। একদিকে যেমন সাম্প্রতিক নির্বাচনে যেভাবে মনে করা হয়েছিল, সেভাবে ‘রেড ওয়েব’ সৃষ্টি হয়নি, তাতে রিপাবলিকানরা যেমন অবদমিত হয়েছে কিছুটা, তেমন হাউজের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বিধায় ডেমোক্রেটরা কিছুটা ছাড় দিয়ে ইমিগ্রেশন রিফর্ম ও ডাকা লাভকারীদের জন্য সুব্যবস্থা করতে পারে। এখন রাজনীতিতে ইতিবাচক ফল লাভে রিপাবলিকানদের সদাশন হওয়া অনেকটা যথার্থ হতে পারে। অনেক রিপাবলিকান যেমন টেক্সাসের সিনেটর জন করনাইল এখন ধীরগতিতে হলেও দ্বিপক্ষীয় ইমিগ্রেশন টকের দিকে এগোচ্ছে।

অন্যদিকে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসেন্টিস এবার হিসপ্যানিকদের যথেষ্ট ভোট পেয়ে জিতেছেন, কিন্তু তিনি ইমিগ্র্যান্টবিরোধী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে তার বিজয়ে হিসপ্যানিকদের যে ভোট তার মার্কায় পড়েছে, তাতে ডিসেন্টিসের ইমিগ্রেশনবিরোধী মনোভাবে চিড় ধরতে পারে। যখন নতুন ইমিগ্র্যান্টদের তিনি বোস্টনে মাথা ভাইন ইয়ার্ডে পাঠিয়ে দিলেন, তখন মনে হয়েছিল তিনি হিসপ্যানিকদের ভোট হারাবেন। কিন্তু কার্যত তার ভোটে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।

ফ্লোরিডায় প্রায় ২০ লাখ হিসপ্যানিক। তারপর ডিসেন্টিস ডেমোক্রেট ক্রিস্টকে ১১ পার্সেন্ট পয়েন্টে নির্বাচনে হারিয়েছে। তার বিরোধী চার্লি ক্রিস্ট ফ্লোরিডার প্রাক্তন গভর্নর। বরঞ্চ ডিসেন্টিসের ফ্লোরিডায় ট্রাম্প মনোনীতরা পরাজিত হয়েছে। আর তাতে ডিসেন্টির আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পথও পরিষ্কার হয়ে রয়েছে। এসব কিন্তু ফেলে মনে হচ্ছে ইমিগ্রেশন নিয়ে এবার কংগ্রেসে ব্যাপক আলোচনা হবে। 

শেয়ার করুন