২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০২:২৬:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


নিউইয়র্ক সিটিতে দেয়ালচিত্রে বাংলাদেশ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১১-২০২২
নিউইয়র্ক সিটিতে দেয়ালচিত্রে বাংলাদেশ নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় দেয়ালচিত্রে বাংলাদেশ


নিউইয়র্কে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মধ্যে বর্তমানে জ্যামাইকা অন্যতম। এই জ্যামাইকায় ‘লিটল বাংলাদেশ’ করা হয়েছে বছরখানেক আগে। সেই এলাকায় কম্যুনিটির জনপ্রিয় তাজমহল পার্টি হলের সুপরিসর দেয়ালে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল ‘শাপলা’সহ নদীমাতৃক বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়েছে দেয়ালচিত্রে। এটি উদ্বোধন করেছেন দুই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায় এবং কাদেরি কিবরিয়া। 

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই দুই কণ্ঠযোদ্ধা ১৩ নভেম্বর রবিবার বিশিষ্টজনদের পাশে নিয়ে ম্যুরাল তথা দেয়ালচিত্রটি উন্মোচন করেন। ওই দেয়াল তথা তাজমহল রেস্টুরেন্টের মালিক মোহাম্মদ মুরাদ বলেন, ‘চিত্রশিল্পী টিপু আলম অনেক দিন থেকেই আমাকে বলছিলেন দেয়ালটিকে কিছু একটা দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য। কিন্তু আমি তা আমলে নেইনি। আমার হৃদয় স্পর্শ করতে পারেনি। অধিকন্তু তা সাদা রাখতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করছিলাম। অতি সম্প্রতি টিপু এমন একটি প্রস্তাব নিয়ে এলেন যা দেখে মনে হলো, আরে এটাই তো চাই। দেশে যাবার প্রয়োজন হবে না। সকাল-বিকাল এই চিত্র দেখবো আর দেশকে মনে করবো, যেখানে আমার নাড়ি পোতা, নাড়ির টান।’

এর আগে ম্যূরালের প্রেক্ষাপট উপস্থাপনকালে খ্যাতনামা শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, এটি একটি ল্যাটিন শব্দ। যখন মানবসভ্যতার বালাই ছিল না। ভাষাও আবিষ্কার হয়নি। সে সময় এমন ছবির মাধ্যমে সবকিছু প্রকাশের প্রয়াস চালানো হয়েছে। এর ব্যাপ্তি ঘটে উনিশ শতকে। দেয়ালে না এঁকে অনেকে ক্যানভাসে এঁকে তা দেয়ালে সেটে দেয়া হতো। দেয়াল এবং কখনো কখনো বাড়ির ছাদেও এমন ছবি আঁকা হতো। বলা যেতে পারে ম্যূরালের মধ্যদিয়েই মানবসভ্যতার উৎপত্তি ঘটেছে। তাই আমাদের সকলের গভীর ভালবাসা আর শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে বাংলাদেশের স্মৃতি হৃদয়পটে ভেসে উঠার সহায়ক এই ম্যুরালের প্রতি। এমন একটি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে উদ্যোক্তা এবং আর্টিস্ট উভয়ের প্রতিই ধন্যবাদ জানিয়েছেন রথীন্দ্রনাথ রায়। অপর কণ্ঠযোদ্ধা কাদেরি কিবরিয়া বলেন, এভাবে ফিতা কেটে ম্যুরালের অবমুক্ত ঘটানো আমার জীবনে প্রথম। আজীবন তা স্মৃতি হয়ে থাকবে। 

সাংস্কৃতিক সংগঠক গোলাম সারোয়ার হারুনের ব্যবস্থাপনায় পরবর্তীতে তাজমহল পার্টি হলে দুই কণ্ঠযোদ্ধা বাংলাদেশের গান পরিবেশন করেন। উপস্থিত সুধীজনের মধ্যথেকে অনেকেই এই ম্যুরালের আর্টিস্ট ও উদ্যোক্তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। 

শেয়ার করুন