২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৬:২৩:৪০ পূর্বাহ্ন


বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান
ইতালির এ্যাম্বাসেডর -বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১১-২০২২
ইতালির এ্যাম্বাসেডর -বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক


বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, ইতালির সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইতালি বাংলাদেশের তৈরী পোশাক এর বড় বাজার। ইতালিতে অনেক বাংলাদেশী সুনামের সাথে কাজ করছে। ইতালির তৈরী  শিল্প কল-কারখানার যন্ত্রপাতি এবং মেডিকেল মেশিনারিজ বাংলাদেশে প্রচুর ব্যবহার করা হয়। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ রয়েছে।


এ সুযোগকে কাজ লাগাতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। অনেকগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো কারখানা উদ্বোধন করা হয়েছে। ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেষ্ট(এফডিআই) এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশে কম খরচে দক্ষ জনশক্তি ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এখানে কম খরচে বিশ^মানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। ইতালি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ পারস্পরিক দেশ সফর করে বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্বাচন করতে পরেন। বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সবধরনের সুবিধা প্রদান করবে।


বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির এ্যাম্বাসেডর এনরিকো নানজিয়াতা (ঊহৎরপড় ঘঁহুরধঃধ) এর সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।


ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির এ্যাম্বাসেডর এনরিকো নানজিয়াতা বলেন, বাংলাদেশ তৈরী পোশাক উৎপাদনে বেশ সফল হয়েছে। বিশ^বাজারে মেড ইন বাংলাদেশ ভালো ব্রান্ড। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক ইতালিতে বেশ জনপ্রিয়। ইতালির অনেক পণ্য বাংলাদেশ আমদানি করে। উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  রাখতে পারে। উভয় দেশের পর্যটক মিনিময় হতে পারে। ইতালি সরকার পর্যটনের বিষয়ে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।


উল্লেখ্য, এখন উভয় দেশের চলমান বাণিজ্যের পরিমান ২,২৬২.৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ তৈরী পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পণ্য ইতালিতে রপ্তানি করে ১,৭০৮.২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫৫৪.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্যমন্ত্রী এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে ইতালির সমর্থন প্রত্যাশা করেন।

 

শেয়ার করুন