২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৪:৩৪:১৫ অপরাহ্ন


মার্কিন আদালতে খাসোগি হত্যায় দায়মুক্তি পেলেন প্রিন্স মোহাম্মদ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১১-২০২২
মার্কিন আদালতে খাসোগি হত্যায় দায়মুক্তি পেলেন প্রিন্স মোহাম্মদ সৌদি প্রিন্স


সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে মার্কিন আদালত। ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক খাসোগিকে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে হত্যা করে সৌদি এজেন্টরা। তবে প্রথম থেকেই তাকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের নাম উঠে আসে বারবার। তবে এবার খাসোগির প্রেমিকার দায়ের করা মামলা থেকে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদকে দায়মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বিবিসি জানিয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমানই যে ওই হত্যাকা-ের নির্দেশ দিয়েছিল তার প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন গোয়েন্দারা। তবে দেশটির আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়মুক্তি দেয়ার আবেদন করে। তাদের যুক্তি হচ্ছে, মোহাম্মদ বিন সালমান যেহেতু এখন সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী, তাই তিনি এ মামলা থেকে রেহাই পেতে পারেন। তবে মার্কিন আদালতের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন খাসোগির প্রেমিকা হাতিচে চেঙ্গিজ। তিনি টুইটারে লিখেছেন, জামাল আজকে আরো একবার মারা গেলো। 

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ডও এ দায়মুক্তির সমালোচনা করেছেন। ২০১৭ সালে প্রিন্স মোহাম্মদকে তার বাবা বাদশা সালমান যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা করেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তবে তিনি বরাবরই খাসোগি হত্যাকান্ডে তার কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করে আসছেন। মার্কিন বিচার বিভাগের আইনজীবীরা বলছেন, একটি বিদেশি সরকারের বর্তমান প্রধান হিসেবে সৌদি যুবরাজ মার্কিন আদালতের বিচারের আওতা থেকে রেহাই পাবেন। রাষ্ট্রপ্রধানের দায়মুক্তির রীতি প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনে সুপ্রতিষ্ঠিত।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র লিখিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের দীর্ঘস্থায়ী নীতি অনুযায়ীই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মামলার অভিযোগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এ হত্যাকান্ডের পর থেকেই সন্দেহের তীর ছিল সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দিকে। কারণ, যুবরাজ সালমানসহ সৌদি আরবের শাসকগোষ্ঠীর কঠোর সমালোচক ছিলেন খাসোগি। এ নিয়ে তিনি বেশ কিছু লেখা লিখেছেন ওয়াশিংটন পোস্টে। বিভিন্ন তদন্তে উঠে এসেছে, এ হত্যাকা-ের নির্দেশ দিয়েছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

শেয়ার করুন