১৮ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৯:১২:৪৯ অপরাহ্ন


বুধবার থেকে সীমান্ত মাইগ্রেশনে চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১২-২০২২
বুধবার থেকে সীমান্ত মাইগ্রেশনে চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম


সুপ্রীম কোর্টের চীফ জাস্টিস রবার্ট টাইটেল ৪২ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত ফ্রিজ করে রাখে। তাতে বুধবার থেকে যে সীমান্তের বাইরে মাইগ্রেন্টদের রাখার ব্যবস্থা সামরিকভাবে স্থগিত হয়ে গেলেও তা বাতিল হয়নি। ইতিপূর্বে ওয়াশিংটন ডিসির আপিল কোর্ট গত শুক্রবার এক আদেশে অ্যাসাইলাম প্রার্থীদের জন্য কোভিডের কারণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে নিম্ন আদালতের দেয়া আদেশ তুলে নিতে অস্বীকার করেছে। আগামী বুধবার ২১ ডিসেম্বর থেকে মাইগ্র্যান্টদের সরাসরি আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যে, টাইটেল ৪২ চালু করা হয়েছিল ১৯২০ সালে তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ১৯টি রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেলা আপিল কোর্টে টাইটেল ৪২ চালু রাখার আবেদন করেছিলেন। এই ১৯টি স্টেট এখন এই টাইটেল, যার কারণে মাইগ্র্যান্টদের মেক্সিকোতে অবস্থান করতে হয় তা বলবত রাখতে এখন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে। 

রিপাবলিকান দলের সদস্যরা এই টাইটেল ৪২ বলবত রাখার কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, এই টাইটেল তুলে দেয়া হলে তা তাদের স্টেটে বাইরের লোক আসার কারণে অতিরিক্ত বোঝা চাপানো হবে। 

কাজেই এই টাইটেল ৪২ বাতিলে তাদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জাজ ইম্মেট সুলীবান এক রুলিং দেয় যে, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সংক্রান্ত টাইটেল ৪২ একটি স্বেচ্ছাচার ও মনগড়া ধরনের আইন। তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসনকে সকল মাইগ্র্যান্ট যাতে সীমান্তে অ্যাসাইলাম চাইতে পারে আর তা যাতে করোনা ভাইরাস আবির্ভাবের পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। 

এই আদেশের পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আব্দুল্লাহ হাসান বলেন, যখন টাইটেল ৪২ শেষ হয়ে যাবে, তখন সীমান্তে আসা লোকজনদের নিরাপদে ম্যানেজ করার জন্য প্রশাসনের ব্যাপক প্রচেষ্টা রয়েছে। 

হাসান বলেন, টাইটেল ৪২ তুলে দেয়া মানে সীমান্ত খুলে দেয়া নয়, বরং আমরা আমাদের ইমিগ্রেশন আইন সম্পূর্ণভাবে প্রয়োগ করবো এবং ইমিগ্র্যান্টদের এখানে থাকার বৈধপথকে সহজ করবো এবং একইসাথে বেনিয়াম মাইগ্রেশনকে নিরুৎসাহিত করবো।

২০২০ সালের মার্চ মাসে টাইটেল ৪২ প্রণয়ন করার পর ট্রাম্প প্রশাসন একজনকে একাধিকবার করে অন্তত ২৪ লাখ মাইগ্র্যান্টকে মেক্সিকোতে প্রেরণ করেছে। 

এই পলিসি থেকে কতিপয় জাতি ও জনমানুষকে বাদ রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে সঙ্গীহীন শিশু এবং স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছে এমন ব্যক্তিদের যেমন যারা কিউবা, নিকারাগুয়ে ও সাম্প্রতিককালে ভেনেজুয়েলা থেকে আগতদের গ্রহণ করা হয়েছে।

যদিও সীমান্ত অতিক্রম এখন রেকর্ড পরিমাণ বেশি। ৫ লাখেরও বেশি মাইগ্র্যান্ট, যারা ২০২২ সালে সীমান্ত অতিক্রম করেছে। তারা আবার মেক্সিকোতে ফিরে গেছে। যদি পরিকল্পনা মতো টাইটেল ৪২ তুলে নেয়া হয়, ওইসব মাইগ্র্যান্টরা আমেরিকায় অ্যাসাইলাম চাইতে পারবে। এদের মধ্যে অনেক বাঙালি রয়েছে বলে ধরণা করা হচ্ছে আর তারা যদি প্রাথমিক সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হয়, তাহলে তারা কোর্টে শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন আমেরিকায়। 

স্থানীয় অফিসারদের অনেকেই অতিরিক্ত মাইগ্র্যান্টদের তদারকির জন্য আরো ম্যানপাওয়ার চেয়েছেন। এদিকে এই টাইটেল ৪২-এর বিরোধীরা গত শুক্রবারের রায়কে বিজয় বলে উল্লেখ করে। অন্যদিকে এই টাইটেল ৪২ তুলে দেয়ার পক্ষে যারা বলেছেন, তারা এই আইনকে জনগণের স্বাস্থ্য আইন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে আর এই রোগ নিয়ে আইনকে ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা ঠিক নয়। ২১ ডিসেম্বর দুনিয়ায় থেকে তাই সীমান্তের পরিস্থিতি ভিন্নরকম হতে পারে। 

শেয়ার করুন