১২ এপ্রিল ২০১২, বুধবার, ০৪:৪৯:১০ পূর্বাহ্ন


দেশকে সাইফুল হক
মৌলবাদি সাম্প্রদায়িক দলের প্রধান আশ্রয়দাতা আ.লীগ
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১২-২০২২
মৌলবাদি সাম্প্রদায়িক দলের প্রধান আশ্রয়দাতা আ.লীগ সাইফুল হক


বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির  সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, বিএনপি’র সাথে চলমান যুগপৎ আন্দোলনে আমরা অত্যন্ত আশাবাদি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে সেটাতে নতুন একটা উদ্দীপনা তৈরি করবে, মাত্রা পাবে। এমন আন্দোলনে মানুষের জোয়ার নামবে। মানুষের মধ্যে একটা ও বিশ্বাসের জায়গাও তৈরি হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির  সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এসব কথা বলেছেন আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকার। সম্প্রতি গণতন্ত্র মঞ্চ আন্দোলন বিএনপি’র সাথে যুগপৎ আন্দোলনে নেমেছে। সরকারের বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর ঐক্যের’ ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপি ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছিলেন বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাত দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব ফখরুল সাংবাদিকদের এ কথা জানান। অপরদিকে এর পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষিত ১৪ দফার আলোকেই বিএনপির সাথে ‘যুগপৎ আন্দোলন’ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে সাত দলের এই জোট। সরকার  ‘হটাতে’ বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তনে ১৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাত দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির  সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

দেশ: যুগপৎ আন্দোলনে নেমেছেন বিএনপির সাথে। দেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এমন আন্দোলনের ভবিষ্যত নিয়ে আপনি কি মনে করেন? কেননা বলা হচ্ছে যে বিএনপিসহ আপনারা যে দাবিতে আন্দোলনের জন্য মাঠে নেমেছেন তাতে আসলে সর্বসাধারণের অংশগ্রহণ বা সমর্থন নেই। সেক্ষেত্রে এমন আন্দোলনে ভবিষ্যত কি?

সাইফুল হক: বিএনপি’র সাথে চলমান যুগপৎ আন্দোলনে আমরা অত্যন্ত আশাবাদি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে সেটাতে নতুন একটা উদ্দীপনা তৈরি করবে, মাত্রা পাবে। এমন আন্দোলনে মানুষের জোয়ার নামবে। মানুষের মধ্যে একটা ও বিশ্বাসের জায়গাও তৈরি হবে। মানুষ বেশ কয়েকবছর ধরেই চাচ্ছিল সকল রাজনৈতিক দল যেনো এককাতারে আসে। আসলে মানুষ আন্দোলনের জন্য অনেক আগে থেকেই তৈরি। জনগণ একদিকে তার ভোটাধিকার হরনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে । অন্যদিকে জনগণ একটা কঠিন জীবন সংগ্রামে পড়ে গেছে। কঠিন সময় পার করছে তারা। জনগণতো এসরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সেজন্য মানুষ একটা সিদ্ধান্তমূলক আন্দোলনের জন্য অনেক আগে থেকেই দাঁড়িয়ে আছে। মানুষের মধ্যে প্রচন্ড পুঞ্জীবিত ক্ষোভ বিরাজ করছে। অতিসম্প্রতি বিরোধী দলের সমাবেশে দেখা গেছে স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ। পুরো রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি এতো শক্তি প্রয়োগ করে মানুষ যেভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে আসছে যে তারা এসরকারকে বিদায় না করে ঘরে ফিরবে না। এই জনগণের মধ্যে ডেসপারেটনেন্স.....। কেননা জনগণ এখন সিদ্ধান্তমূলক আন্দোলন দেখতে চায়..। এই যে আমরা গণতন্ত্র মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা-ও জনগণের মধ্যে একটা বিরাট আশার সঞ্চার করবে। কেবল আমরা না অপরাপর যেসব বিরোধী দলের আছি তাদের আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকাকে জনগণ ভালোভাবে গ্রহণ করবে। আমরাতো সব বিরোধীদলকে আহবানও করেছি যে, একটি ন্যূনতম দাবি বিশেষ করে সরকারের পদত্যাগের পাশাপাশি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অর্ন্তবতীকালিন সরকারের দাবিতে সব রাজনৈতিক দল যদি যার যার অবস্থান থেকে মাঠে নামে তাহলে তা খুব দ্রুতই একটি গণজাগরণ তৈরি হবে। কারণে বাংলাদেশের জমিনটা এখন একটি গণজাগরণ তৈরি হয়ে গেছে। 

দেশ: আমি যদি বলি আপনারা যে ১৪দফা নিয়ে মাঠে নেমেছেন এবং ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তাতে একনো জনগণের সাড়া মিলেনি। এমন দাবির সাথে এখনো সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারেননি।  এটা কি ভুল হবে বলা...

সাইফুল হক: না আপনার এমন ধারণা ঠিক না। আমি বলবো মানুষ বিরোধী দলের আন্দোলনকে মনে প্রাণে নিয়েছে। বিএনপি’র দশ দফা বলি কিংবা গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪দফা বলেন.. । আমরা যে ১৪ দফা দিয়েছি তাতে রয়েছে সরকারের পরিবর্তন এবং এর পাশাপাশি বলেছি বিদ্যমান ব্যবস্থারও পরিবর্তন। এতে কিন্তু দেশের মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে। এবং আমরা আশা করি দ্রুতই আমরা জনগণের বিভিন্ন অংশে নিয়ে যেতে পারবো। আমরা এরশাদের মতো স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে দেখেছি কিভাবে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা গেছে একটি সফল আন্দোলন গড়ে তোলার সময়ে। আমি বিশ্বাস করি স্বল্পতম সময়ে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে বিরোধী দলের আন্দোলনে প্রতি আরো আস্থাশীল করতে সফল হবো। 

দেশ: আপনারা কি করে বর্তমান সরকারকে একটি স্বৈরাচারী সরকারের সাথে তুলনা করেন?

সাইফুল হক:  বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারতো এরশাদের স্বৈরাচারি সামরিক সরকারকেও লজ্জা দিচ্ছে। লজ্জা দিয়েছে এইভাবে বলতে চাই যে আমরা এরশাদকে হটিয়েছিলাম অনেক রক্তের বিনিময়ে।  নুর হোসেনের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটা তিনজোটের রূপরেখা দিয়েছিলাম। বলা হয়েছিলো সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী সে জায়গা থেকেতো তারা সরে গেছে। এসরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। গত ১৫ বছরে একদিকে ভোটাধিকার হরণ অন্যদিকে ব্যক্তি মানুষের জীবনে যে দুর্যোগ নেমে এসেছে তা এক হয়ে গেছে। মানুষ একটা অগ্নিগর্বার মধ্যে আছে। কোথায় কখন এর বিস্ফোরণ ঘটবে তা কিন্তু আমরা জানি না। মানুষের মধ্যে এই বিক্ষুদ্ধ অবস্থা কিন্তু আমরা অচিরেই দেখতে পাবো। মানুষ রাজপথে নেমে আসবে। আমি অনেক সময় বলতে চাই যে ইতিহাসে অনেক সময় রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে জনগণই এগিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও তাই হয়েছে। বাংলাদেশে এখন এমনই একটি ক্রান্তিকাল চলছে। যেখানে মানুষ একটা সিদ্ধান্ত- মূল লড়াইয়ে প্রস্তুত। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বটা এখনো সে ঝুকিটা নিতে পারছে না। রাজনৈতিক নেতৃত্বটা বলবো খানিকটা পিছিয়ে আছেই। আমি বিশ্বাস করি যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা করতে পারলে এবং দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারবে মানুষের আশা আকাঙ্খার পথে আমরা দাঁড়াতে পারবো। গণবিক্ষোভকে একটা গণআন্দোলনে দিকে নিয়ে যেতে পারবো।  

দেশ: যে তিনজোটের রুপরেখার কথা বলছেন তা কি শুধু আওয়ামী লীগ মানেনি? বিএনপি কি তিনজোটের রূপরেখা অনুযায়ী দেশ চালিয়েছে? তারা কি ভোটাধিকার কেড়ে নেইনি? তাদের আমলে কি মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরেছে?

সাইফুল হক: অবশ্যই আমি আপনার সাথে এব্যাপারে আমি একমত। নববইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর যতোগুলি সরকার এসেছে বাস্তবে তারা  সব্বাই তিনজোটের রূপরেখা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করেনি। বিএনপিতো পরপর দু’বার ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু তারা এই রূপরেখা অনুযাযী দেশ পরিচালনা করেনি। আবার আওয়ামী হিসাবে চারবার ক্ষমতায়। কিন্তু তারাওতো তিনজোটের রূপরেখা মেনে চলেনি। 

দেশ: কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সেই বিএনপি’র সাথেতো গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে নেমেছেন। বাপারটা একটু স্ববিরোধী হচ্ছে না? আপনারা কি গ্যারান্টি পেয়েছেন এই বর্তমানে রাজপথের বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে বর্তমানে মাঠে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভবিষ্যতে রাখবে?

সাইফুল হক: অবশ্যই বিএনপি’র সাথে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি। এজন্য যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তিকে মজবুত করতে এবং আরো বড়ো ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার আগে বিএনপিকে বলেছি যে আমরা একটি শক্ত বোঝাপড়া দরকার। সমঝোতা দরকার। সরকার পরিবর্তনে পাশাপাশি ব্যবস্থাগত সংবিধান রাষ্ট্র প্রশাসনে কি কি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আমরা করবো তা নিয়ে তাদের সাথে পরিস্কার বোঝাপড়া দরকার। তারা কথা বলেছেন, অঙ্গীকার করেছেন, কমিটমেন্ট দিয়েছেন..। এবং বলা হয়েছে এসব ব্যাপারে দালিলিকভাবে রূপ দিতে চাই। এসবকে জনসন্মুখেও আনতে চাই। অনেকটা ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট হয়েছিল ২১ দফার ভিত্তিতে। ভাসানি-সোহরাওয়ার্দী মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যেভাবে ঐকবদ্ধ হয়েছিল- স্ব স্ব অবস্থান থেকে। বহুবছর পরে আমরা একটা ঐতিহাসিক ক্রান্তিকালে উপস্থিত হয়েছে। এখন বিএনপি’র প্রকাশ্যে বেশ কয়েকটি অঙ্গীকার করতে হবে। আর তাদের করা অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নির্ভর করে বিএনপির বাহিরে গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়া অন্য রাজীনতিক শক্তি তারা নিজেরা কতো সংগঠিত হয়ে এবং বিএনপিকে বাধ্য করার জায়গায় আমরা যেতে পারছি। আমরা বিএনপি’র অঙ্গীকার বাস্তবায়নেও কতটা শক্তি সামথ্য অর্জন করতে পারছি। সেটাও নির্ভর করছে। আমাদের বক্তব্যটা গণআকাঙ্খার পক্ষে। আমি আশা করতে চাই এই বলে যে বিএনপি’র কিছু আত্মউপলদ্ধি হয়েছে। তাদের কিছু আত্মসমালোচনাও আছে। এবং শুধু মাত্র গতানুগতিক সরকার পরিকর্তন করে বাস্তবে পরবর্তীকালে তিনমাস ছয় মাস ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে কি-না বিএনপি’র নিজেদের মধ্যেও সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।  সেজন্য তারাও একটা চাচ্ছে একটা রেইনবো এ্যালাইনমেন্ট। নির্বাচনে পরে তারা সকল দলমত নিয়ে একটা জাতীয় সরকার করতে চায়। একদিকে সংস্কারের জন্য অন্যদিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য টেকসই করতে। যাতে সংস্কার টাকে সামনে দিকে এগিয়ে নেয়া যায়। 

দেশ : বিএনপি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে তারা একটি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এবং এর পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক দল। এবং সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতা বিরোধী দলের সাথেই তাদের উঠাবসা দীর্ঘদিনের। এমন শক্তিকে নিয়ে আপনারা কিভাবে সামনের দিকে আগাবেন? জনগণতো বিএনপি অতীত ভালোভাবেই জানে। এই বিএনপি কি করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে?

সাইফুল হক: আপনি যেভাবে বললেন তাতে তো বলতে হয় বিএনপি’র মধ্যে যথেষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। যারা প্রত্যক্ষভাবে দেশের ভেতরে থেকেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াইর রহমান নিজেওতো একজন সেক্টর কমান্ডার। যতো তার গায়ে কালিমা লেপন করার হোক না কেনো মানুষতো তা গ্রহণ করেনি। তারাই বিএনপি’র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে ১৮০ ডিগ্রী উলটো চেতনার বিরুদ্ধেই কাজ করে। যারা হেফাজতের মতো মৌলবাদি দলকে কাছে টানে। কাউকে নিউট্রলাইজেশন করা, নানা কায়দায় তারা যেভাবে ভোট দেয়া শুরু করেছে....। এখনতো মৌলবাদি সাম্প্রদায়িক দলগুলির প্রধান আশ্রয়দাতা হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই এখন বিএনপি’কে আগের মতো সেধরনের দল বলতে পারবেন না। আর তাই যদি হতো তাহলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ যারা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে কিংবা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস ও লালন করে করে এবং সমাজতান্ত্র এ বিশ্বাস করে তাদের সাথে তো বোঝাপড়ায় যেতো না বিএনপি। এধরনের দলগুলির সাথে এমন প্রকাশ্যে বোঝাপড়ায় নিশ্চয়ই আসতো না। বিএনপি অতীতে জামায়াতে ইসলামীর সাথে আঁতাত করেছে। এব্যাপারে আমরা নি:সন্দেহে মনে করি আত্মঘাতি। ছিল ভুল পদক্ষেপ। সেটা উপলদ্ধি তারা এখন করছেন। এজন্য তারা  জামায়াতকে নিয়েতো জোটে বা আন্দোলনেও নিচ্ছে না। 

দেশ: তাহলে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন বিএনপি তার আগের অবস্থান বা যদি বলি অতীত থেকে সরে এসেছে। এবং আপনাদের সাথে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভবিষ্যতে বজায় রাখবে। এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে তারা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রক্ষায় যা যা করার তাই করবে?

সাইফুল হক: এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এটা নিয়ে আমি ইতোমধ্যে কয়েকটা গণমাধ্যমে কথাও বলেছি। বিএনপি-জামায়াত যে একটা ট্যাগ ছিল। এর জন্য বিএনপি’তো দায়িই। তারপরে আওয়ামী লীগও বিএনপির বিরুদ্ধে এই বিএনপি-জামায়াত সর্ম্পকটাকে ব্যবহার করে কাজ করে আসছে সুচতুরভাবে। এখন বিএনপি সে জায়গা থেকে সরে এসেছে। তাদের মধ্যে একটা আত্মোপলদ্ধি হয়েছে। বিএনপি এখন চাইছে তারা একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে সামনে আসতে চাইছে। যারা একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র বা সরকার কায়েম বা গঠন করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিও দেখাচ্ছে তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যে তারা চরম দক্ষিণপন্থী দল হিসাবে নিজেদের পরিচয় না করিয়ে বরং উদার গণতান্ত্রিক দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেতে। যারা উত্তরণ দেখা চাচ্ছে জনসমক্ষে। আর বিএনপি যদি তার এই অবস্থাটা ধরে রাখে অর্থ্যাৎ উদার, গণতান্ত্রিক একটি প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে সামনের দিকে নিয়ে যেতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারে তাহলে দেশে একটা রাজনৈতিক দিশার একটা নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে পারবে। অর্থ্যাৎ জনগণ নতুন দিশা খুঁজে পাবে বিএনপি’র মধ্যে। তাছাড়া বিএনপি’র মধ্যে ব্যাপক একটা নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে আকাঙ্খা দলটি যেনো মৌলবাদি ট্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে। কেননা বিএনপি ’র প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে একজন বীরত্বপূর্ণ সেক্টর কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে-এমন মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বেশি। তাই বিএনপি’র পক্ষেতো মৌলবাদি ট্যাগ থেকে বেরিয়ে আসা লাগবেই। 

শেয়ার করুন