১৮ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫৬:২৯ অপরাহ্ন


দেশকে মাহিয়া মাহি
চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর উন্নয়নে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০১-২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর উন্নয়নে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে মাহি


রাজনীতির মঞ্চে শিল্পীদের যোগ দেওয়া নতুন কিছু নয়। এই তালিকায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তবে এখন থেকে নিয়মিত রাজনীতির সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির। 

প্রশ্ন: হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু দল আপনাকে মনোনয়ন দেয়নি। রাজনীতি নিয়ে আপনার সামনের পরিকল্পনা কি? 

মাহিয়া মাহি: ঘোষণাটা হঠাৎ করে হলেও পরিকল্পনা আরো আগে থেকেই ছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মানুষের সাথে আরো আপনভাবে মেশার জন্য এবং তাদের উন্নয়নের জন্য আমি উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। তবে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে পছন্দ করেছেন, তিনিই চাঁপাইনবাবগঞ্জের জন্য সেরা হবেন। আমি তাঁর (জিয়াউর রহমান) পক্ষে ও নৌকার পক্ষে মাঠে কাজ করব। নির্বাচনে নৌকা ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আবার নৌকার জয়জয়কার হবে।

প্রশ্ন: ওই আসনের জনগণের জন্য আপনার কোনো বার্তা আছে?

মাহিয়া মাহি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জনগণকে আমি বলব, সবাই নৌকার পক্ষে থাকবেন। যাঁরা যাঁরা নৌকার মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন, সবাই একসঙ্গে কাজ করি। আমরা নৌকাকে জয়যুক্ত করি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন উপহার দিই।

প্রশ্ন: রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর এলাকার লোকজনের সাথে যোগাযোগ কেমন বেড়েছে আপনার?

মাহিয়া মাহি: অনেক দিন ধরেই স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। এ ছাড়া স্থানীয় নেতারা আমাকে অনেক সাপোর্ট করছেন। এবার যখন মনোনয়ন ফরম কিনে জনসংযোগে বের হয়েছিলাম, তখন সবাই পাশে ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নৌকা প্রতীকের জয় হলে দূরে থেকেও মানুষের সেবা করার সম্ভব। 

প্রশ্ন: আপনি সিনেমার মানুষ। রাজনীতির সঙ্গে জড়ানোর উদ্দেশ্য কী?

মাহিয়া মাহি: ছোট পরিসরে এলাকায় যেসব জনকল্যাণমূলক কাজ করার চেষ্টা করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে, সেগুলো বড় পরিসরে করার জন্যই রাজনীতিতে আসা।

প্রশ্ন: রাজনীতি কতটা চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?

মাহিয়া মাহি: সব জায়গায় ভালো কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই। যখন চলচ্চিত্রে নতুন এসেছিলাম, সেই জার্নিটাও সহজ ছিল না। অনেক কষ্ট করেই নিজের অবস্থান তৈরি করতে হয়েছে। আমার এলাকায় যারা আওয়ামী লীগ করেন, তাঁরা সবাই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন। তাঁদের সহযোগিতায় এই জায়গাটা আমার জন্য অতটা কঠিন হবে না বলে আমার বিশ্বাস।

প্রশ্ন: রাজনীতিতে আপনার আদর্শ কে?

মাহিয়া মাহি: অবশ্যই বঙ্গবন্ধু। সব সময় তাঁর আদর্শ ভেতরে লালন করে আসছি। এ ছাড়া আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করি। তিনি যে পরিমাণ সাহসী, তার ছিটেফোঁটা যদি আমার ভেতরে লালন করি, তাহলে যত কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হই না কেন, সেখানে ওভারকাম করতে পারব। আমি গর্বিত যে আওয়ামী লীগের মতো দলের মনোনয়ন কিনতে পেরেছি। এবার হয়তো শেষ পর্যন্ত বাছাইয়ে টিকতে পারিনি। তবে সবার আশীর্বাদ পেয়েছি। 

প্রশ্ন: রাজনীতির মঞ্চে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন কার কাছ থেকে?

মাহিয়া মাহি: মূলত স্বামীর (রকিব সরকার) মাধ্যমে রাজনীতির ময়দানে পা রাখা। ওর অবদান বলে শেষ করতে পারব না। নমিনেশন কেনা পর্যন্ত আজকে আমি যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি, এটার পুরো অবদান তাঁর।

প্রশ্ন: আপনি সন্তান সম্ভবা। এমন সময়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন, কীভাবে সামলাচ্ছেন?

মাহিয়া মাহি: দুটোই অনেক খুশির খবর। আমার বেবি আমার জন্য লাকি। ওর খবর জানার পর থেকে আমি অনেক সহাসী সিদ্ধান্ত নিতে পেড়েছি। 

প্রশ্ন: তাহলে অভিনয় কি ছেড়ে দিচ্ছেন?

মাহিয়া মাহি: চলচ্চিত্র আমাকে মাহিয়া মাহি বানিয়েছে। অভিনয়টা আমার ভিত। ওটা ছাড়ব না। রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের সেবাও করব, অভিনয়টাও চালিয়ে যাব। আমার শারীরিক অবস্থার কারণে এখন একটু বিরতিতে আছি। অভিনয় আমার শেকড়। রাজনীতি করলেও অবশ্যই সিনেমায় নিয়মিত থাকব। তবে একটা সময় যেমন বছরে ৮-১০টা করে সিনেমা মুক্তি পেত, তেমনটা আর করব না। অনেক বেছে বেছে কাজ করব। কারণ আমার সংসার আছে। বেবি হবে ইনশাল্লাহ। ঢালাওভাবে সিনেমা করতে পারব না। বেছে বেছে ভালো কাজগুলোই করব।

প্রশ্ন: অভিনয়ে ফিরছেন কবে?

মাহিয়া মাহি: সবাই জানেন, আমি একটা বিরতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি নতুন বছরের শেষ দিকে অভিনয়ে ফিরব।

শেয়ার করুন