২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৯:২৩:১০ অপরাহ্ন


জ্বালানি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কানাডা মেক্সিকোর মধ্যে বিরোধ যেখানে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০১-২০২৩
জ্বালানি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কানাডা মেক্সিকোর মধ্যে বিরোধ যেখানে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর (বাঁয়ে), মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো


কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা আগামী সপ্তাহে একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। তাঁদের আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে জ্বালানি নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সমাধানের বিষয়টি। জ্বালানির বাজারে মেক্সিকো রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ কঠোর করে বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা করবেন নেতারা। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যে জ্বালানি নিয়ে একটি যৌথ চুক্তি রয়েছে, যা ইউএস-মেক্সিকো-কানাডা অ্যাগ্রিমেন্ট (ইউএসএমসিএ) নামে পরিচিত।

মেক্সিকোর জাতীয়তাবাদী নীতি নিয়ে গত জুলাই মাস থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরে তা আনুষ্ঠানিক বিরোধে রূপ নিয়েছে। ইউএসএমসিএ লঙ্ঘন নিয়ে ওয়াশিংটন ও অটোয়া মেক্সিকোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোম্পানির বিরুদ্ধে বৈষম্য দেখিয়েছেন। এর পরিবর্তে তিনি মেক্সিকোর রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি ও জাতীয় জ্বালানি কমিশনকে সুবিধা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, মেক্সিকোর আমলাতান্ত্রিক বিলম্ব তাদের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে।

বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা শুরু হলেও অগ্রগতি থমকে আছে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র গত বছর বিরোধ নিষ্পত্তির সময়সীমা বাড়ায়। ইউএসএমসিএ চুক্তি অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি না হলে প্যানেলকে রায় দেয়ার জন্য ডাকা যেতে পারে।  

মেক্সিকো যা বলছে

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ওব্রাদর বলেছেন, তাঁর দেশ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি, তাই বিরোধে কিছুই ঘটবে না। ওব্রাদর মূলত জাতীয় সার্বভৌমত্বের নামে বিদ্যুতের বাজার সংশোধন করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বিদ্যুৎ গ্রিডের সঙ্গে পাওয়ার স্টেশন সংযোগের ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সরকারি কোম্পানিগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। দুর্নীতি নির্মূলে তাঁর অভিযানের অংশ হিসেবে প্রায়ই জ্বালানি খাতে বিদেশি ও বেসরকারি অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে আসছেন ওব্রাদর। তিনি অভিযোগ করেন, আগের সরকারগুলো বেসরকারি স্বার্থের দিকে বেশি খেয়াল রেখেছিল।

ওব্রাদর আরো বলেন, বিদ্যুৎ অভ্যন্তরীণ বিষয় আর মেক্সিকোর তেল ও গ্যাসে তাঁদের অবিচ্ছেদযোগ্য মালিকানা রয়েছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, বিদেশি সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে যে নীতির কথা ওব্রাদর বলেন, তা তাঁর কার্যক্রমের সঙ্গে মেলে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো প্যানেলকে যদি দায়িত্ব দেয়া হয়, তবে এ বিরোধে হেরে যাবে মেক্সিকো। এটি মেক্সিকোর জন্য ব্যয়বহুল হবে। শাস্তি হিসেবে মেক্সিকো শুল্কারোপ করতে পারে। তবে বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্ব কোনো প্যানেলের কাছে যাওয়ার আগে তা সমাধান করে নেয়ার কথা বলেছে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র।

গত অক্টোবরে মেক্সিকোর জ্বালানিমন্ত্রী পদত্যাগ করলে আলোচনা থেমে যায়। মেক্সিকোর নতুন দল এ নিয়ে কাজ শুরু করলেও তা এখনো বেশি দূর এগোয়নি।

শেয়ার করুন