১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৬:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন


এস্টোরিয়ায় বাংলাদেশি মালিকানায় হালাল নূর থাই রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন
দেশ রিপোর্ট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০২-২০২৩
এস্টোরিয়ায় বাংলাদেশি মালিকানায়  হালাল নূর থাই রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন ফিতা কেটে নূর থাই রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন




উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যক্তিবর্গ

নিউইয়র্ক সিটিতে বহু বাংলাদেশির রেন্টুরেন্ট ব্যবসা করেন। তাদের মধ্যে দু’একজন হালাল চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করলেও নতুন একটি থাই রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ নিয়ে ভোজন রসিকদের মধ্যে খুব আলোচনা হচ্ছে। নিউইয়র্কের কুইন্সে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এস্টোরিয়ায় নতুন এই থাই রেস্টুরেন্টের নাম ‘নূর থাই।’ আপনি এই রেস্টুরেন্টে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পারবেন ভেতরের পরিবেশটা কি চমৎকার। খুব বেশিদিন হয়নি রেস্টুরেন্টটির উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে চারদিকে সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। রেস্টুরেন্টটির অবস্থান এস্টোরিয়ার ৩৪ অ্যাভিনিউ ও ৩১ স্ট্রিটের কর্নারে। গত ৩ ফেব্রæয়ারি বিকেলে এই রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন করেন নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমিনি উইলিয়াম এবং নিউইয়র্কের স্টেট সিনেটর বাংলাদেশিদের বন্ধু জন লু। এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ও জেবিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট এ এফ মিসবাউজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নূর থাই রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারীরা।

রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধনের পর পরই সব কমিউনিটির মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। উডসাইডের বাসিন্দা তৌফিক ইমরোজ এসেছিলেন তার স্ত্রী ও ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে খেতে। তারা এখানে খাবার খেয়ে এতো বেশি আনন্দিত যে, ছয় বছর আগে থাইল্যান্ড ঘুরতে গিয়ে খেয়ে যে স্বাদ, গন্ধ পেয়েছিলেন সেটাই তিনি পেয়েছেন বলে জানান। জ্যাকি আম্বার এসেছিলেন তার মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে। খাবারের মান কেমন জিগ্যেস করতেই এককথায় জবার দিলেন, ‘ভেরি টেস্টি।’

 দিল্লি থেকে নিউইয়র্ক ঘুরতে আসা দীপান্তিতা ও তার বর সুরেশ কর জানালেন, এখানকার খাবারের মজাটা এমন যে, ‘বারবার আসতেই হবে।’ 

সাত বছর আগে এই দেশে জন্ম নেয়া ও বেড়ে ওঠা কয়েকজন তরুণ বন্ধু মিলে কুইন্সের উডহ্যাভেনে প্রথম চালু করেছিলেন একই নামের একটি রেস্টুরেন্ট। কিন্তু এই এলাকার ভোজনবিলাসীদের কথা চিন্তা করে এবং তাদের অনুরোধেই এখানেও উদ্বোধন করা হয় থাই রেন্টুরেন্টটির দ্বিতীয় শাখার। উদ্যোক্তা তরুণেরা সব সময়ই খাবারের গুণগত মান, পরিবেশন, পরিচ্ছন্নতার দিকে বেশি নজর রাখেন। তা ছাড়া তাদের অন্যান্য রেস্টুরেন্টগুলোও সুন্দর লোকেশনের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশি ও মূলধারায় এরই মধ্যে জায়গা  করে নিয়েছে। তাদের রয়েছে ‘ইন্ডিয়ান অ্যারোমা’ এবং সুগার অ্যান্ড কোল’ নামের আরো দুটি রেস্টুরেন্ট।  লং আইল্যান্ড সিটির স্টাইনওয়েতে ‘গালি’ নামের হালাল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ওই এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়।

উদ্যোক্তা বন্ধুদের এক অংশীদার সাজ্জাদ হোসাইন জানান, ‘যারা প্রবাসে থাকে তারা ধর্মীয় নানা বাধ্যবাধকতার কারণে ইচ্ছা থাকলেও হালাল চাইনিজ বা থাই ফুড খেতে পারেন না। তারা হারাম না খাওয়ার জন্যই রেস্টুরেন্টে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। সেই চিন্তা থেকেই আমরা মুসলিম চাইনিজ শেফ দিয়ে হালাল চাইনিজ এবং হালাল থাই রেস্টুরেন্ট চালু করেছি।’ সত্যিকারের চাইনিজ এবং থাই ফুডের স্বাদ নিতে চাইলে আমাদের বিকল্প কমই আছে।’ 

রেস্টুরেন্টগুলোর অংশীদার রাজিব হাসান মুকুল, জসিম উল্লাহ, আকমল হোসাইন ও হাশেম মাসুদ তাদের দিনের বেশির ভাগ সময়ই কাটান রেস্টুরেন্টের খাবারের মান এবং পরিবেশনা ঠিক রাখার জন্য।

শেয়ার করুন