১৬ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৩:৪৫:০৮ অপরাহ্ন


রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে খালেদায় নমনীয়তা
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৩-২০২৩
রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে খালেদায় নমনীয়তা খালেদা জিয়া


দেশে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বচ্ছ ক্ষেত্র তৈরি করতেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সরকার নমনীয় ও ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে। এ ব্যাপারে দেশে সরকারের নিজ দলের পাশাপাশি শরিকরাও যেমন চাইছে তেমনি বিদেশী কঠিন চাপও রয়েছে। দেশী-বিদেশী চাপে দিশেহারা হয়েই সরকার এখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। 

সরকারের নিজ দলেও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা..

সরকার মুখে কিছু না বললেও সারাদেশে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিডু নিয়ে সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলও উদ্বিগ্ন। কেননা এমন জটিল পরিস্থিতিতে শেষমেষ নিজেদের দল-তো দূরের কথা, দেশকে কোথায় নিয়ে যায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলেই। দেশের রাজনৈতিক দলের একবারে শীর্ষ পর্যায়ে বেশ কয়েকজন নেতা এই প্রতিবেদকের কাছে ভবিষ্যত আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন-উভয় পক্ষ অনড় থাকলে পরিস্থিতি কোন দিকে টার্ন নেয় কেউ বলতে পারে  না। সরকারি দলের একজন নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, তাদের দলের ভেতরে জোরালো ঐক্য নেই। আওয়ামী লীগের সর্বপর্যায়ে খাঁটি আওয়ামী লীগারদের দূরে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বা তারা দূরে সরে গেছে। যারা আওয়ামী লীগের জন্য জীবন বাজি রেখে লড়াই সংগ্রাম করেছেন, তাদের গুরুত্ব নেই দলে। দলের যেমন তাদের অংশগ্রহণ নেই, তেমনি চাকরি বাকরি কোনো ক্ষেত্রেই তাদের স্থান নেই। আওয়ামী লীগারের বদলে তাদের দেখা হচ্ছে যেন অন্যদল বা মত সমর্থিতদের মতো করে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে জামায়াত সমর্থিতদেরও সব ধরনের সুযোগ দিতে বর্তমান আওয়ামী লীগ কুন্ঠা বোধ করছে না বলে তার অভিমত। আওয়ামী লীগে এখন জামায়াতের আদর্শে বিশ্বাসীদের আশ্রয়স্থলেও পরিণত হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি’কে কোনঠাসা রেখে জামায়াতের সাথে গোপন সর্ম্পক রেখে জেলায় জেলায় আওয়ামী লীগ দল চালিয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে দলের কোনো পর্যায়েই কথা বলে লাভ হচ্ছে না বলে এই আওয়ামী লীগ নেতা জানান। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, দলের বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্ট কোন্দল, মতভেদ নিরসনে কেন্দ্র থেকে কোনো উদ্যোগই আওয়ামী লীগ নেয়নি। এর পাশাপাশি দলের ভেতরে কোন্দল বন্ধে শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটি বড়ো অংশ এখন মনে করে দলে সাংগঠনিক কাজ না করে এখন অর্থ বানানো জরুরি। আপদ-বিপদে এটাই কাজে লাগবে বলে এসব অর্থপিপাসু আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন বলে তার অভিমত। ফলে দলের ভেতরে এমন পরিস্থিতি রেখে মাঠে আগামীকে বিএনপি’র মতো শক্তিকে কতটা রাজনৈতিক বা প্রশাসনিকভাবে মোকাবেলা করা যাবে সে নিয়ে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড উদ্বিগ্ন।

তাদের মতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বর্তমান আওয়ামী লীগের অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। তারা মুহূর্তেই ভোল পাল্টাব বলেই এই আওয়ামী লীগ নেতা মনে করেন। আর একারণেই এখন ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে হলেও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেই ফেলেছেন, আমাদের শাসনতন্ত্রে কি কোথাও লেখা আছে কোনো দল নির্বাচন না করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। দেশের বিভিন্ন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর বর্তমান সংসদ এমন কোনো ভুল বা গণবিরোধী কাজ করেনি যে সংসদীয় ব্যবস্থাটাই বাতিল করতে হবে। এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত জনগণও নেয়নি, আর সংবিধান ও শাসনতন্ত্রে নেই। তারা (বিএনপি) নির্বাচনে এলে আমরা খুশি হব। 

শরিকরাও পাশে থাকবে না..

বিএনপি’র বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ কঠিন আন্দোলন সংগ্রাম করে ক্ষমতায় এসেছে। এভাবে দলটি ক্ষমতায় এসেছে বেশ কয়েকটি উদার বাম রাজনৈতিক দলের সাথে জোট বেধে। কিন্তু সেই শরিকরা ভবিষ্যতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগকে রক্ষায় কতটা সাংগঠনিক শক্তি রাখে সে প্রশ্ন এসে যায়। এর পাশাপাশি বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যেসব গুরুতর অভিযোগ এসেছে সেব বিষয় সামনে এনে এসব বাম উদার রাজনৈতিক দলগুলি কতটা ভূমিকা রাখবে সে প্রশ্নও এসে যায়। জানা গেছে, শরিকদের সবাই চায় দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হউক। তাছাড়া শরিকদের কেউ কেউ নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে খোলামেলা কথা বলে বিরাগভাজনও হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সম্প্রতি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে জনগণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। উপজেলা নির্বাচনেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। মসজিদে মসজিদে ঘোষণা দিয়েও ভোটারদের আনা যায় না। এটা নির্বাচনের জন্য শুধু নয়, গণতন্ত্রের জন্যও বিপজ্জনক। তার এধরনের বক্তব্য আওয়ামী লীগে অনেক আলোচিত হয়েছে। ফলে এসব শরিকরা কতটা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। অন্যদিকে শরিক জাতীয় পার্টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানান ধরনের কুটকৌশল করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই দল আদৌ আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করবে কি-না সে ব্যাপারে সন্দিহান তারা। আর এজন্য রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন-এমন ভঙ্গুর পরিস্থিতি বর্তমান রেখে ভবিষ্যতে কিভাবে শরিকদের পাশে পাশে তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে। 

আছে বিদেশী চাপ...

কোনোভাবেই একটি যেন-তেন নির্বাচন করিয়ে নিতে যে পারবে না- সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বেশ ভালোই বুঝেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। তাদের মতে, যেন-তেনভাবে একটি নির্বাচন করে সরকার গঠন করে পার পাওয়া এবারে সহজ হবে না। এখন প্রতিনিয়তই বিদেশীদের বয়ান হচ্ছে তারা বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। তারা শুধু এখন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই চাচ্ছে না। এখন এসব বিদেশীরা বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি’কে নির্বাচনে আনতে সরকরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখারও আহবান জানিযেছেন। তারা মনে করেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচন রাজনৈতিক সংঘাতহীনভাবে সম্পন্ন করা গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। 

একারণেই কি মুক্ত খালেদা জিয়া এখন গুরুত্বপূর্ণ?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন, দেশে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য পশ্চিমাদের কঠিন চাপে আছে সরকার। এর পাশাপাশি দেশ আছে অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে। এসব উতরাতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সরকার এতোদিন হেলাফেলায় কাটালেও এখন বুঝতে পেরেছে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য পশ্চিমাদের চাপ সরকার খুব একটা পাশ কাটাতে পারবে না। কোনো একটি দেশ সরকারের পাশে দাঁড়ালেও শেষতক সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য পশ্চিমাদের চাপের বহুমাত্রিক প্রতিক্রিয়া সরকার সামলাতে পারবে না। কিন্তু এমন পরিস্থিতির সামলাতে সরকারের পূর্বপরিকল্পনা কি? জানা গেছে, এমন পরিস্থিতি আচ কররে পেরেই একটি সুন্দর রাজনৈতিক সমঝোতায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে সরকার। কিন্তু কিভাবে কার সাথে হতে পারে এমন রাজনৈতিক সমঝোতা? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে যে, আওয়ামী লীগ সরকার মুখে যতোই বলুক না কেনো তাদের দলও বিএনপির মধ্যে কোনো তুলনা হতে পারে না। যতোই বলুক না কোনো বিএনপি জনগণের কল্যাণ চায় না। জানা গেছে, এমন বক্তব্যের ভিন্নমতও কাজ করে আওয়ামী লীগের শীর্ষেই। সে জন্যই আওয়ামী লীগ সরকার এখন একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বেড়াচ্ছে। 

সূত্র জানায়, এব্যাপার বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের সিনিয়র নেতাদের সাথে যোগাযোগও রেখেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। কিন্তু রাজনৈতিক সমঝোতা ভিত্তি দিতে বা দেশে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বচ্ছ ক্ষেত্র তৈরি করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেই দরকার। বিএনপি’র এখন সব সিদ্ধান্ত বা সফল রাজনৈতিক কর্মকান্ড যতো লন্ডন থেকে আসুক না কেনো, দেশে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় দেশের বাস্তব উপস্থিতি প্রয়োজন। অর্থাৎ একজন গ্যারান্টার। তার জন্য প্রয়োজন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেই। কারণ লন্ডন থেকে দেশে এনে কাউকে গ্যারান্টার করা যাবে না। আবার বিএনপি’তে এমন সিনিয়র কাউকে এতো বড়ো বিষয়ে দায়িত্বশীল ভাবাও হচ্ছে না। এধরনের পরিস্থিতিতে অনেক বিষয় ইতোমধ্যে সামনে আসতেও শুরু করেছে। বিদেশীদের অনেকের প্রশ্ন- তা হলো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কে? কই তিনি? তার অবস্থান কি? তিনি কি আসলেই মুক্ত- এমন প্রশ্ন দেশে-বিদেশ ঘুরপাক খাচ্ছে। এমনকি পশ্চিমারাও জানতে চাচ্ছেন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বলে দাবিদার রাষ্ট্রে বিরোধী দলীয় নেত্রীর অবস্থান কি? কোথায় তিনি? কেনো রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালাতে পারছেন না? কি কি শর্তে তিনি ঘরে আছেন? কি শর্তই বা দেয়া হয়েছে কেনো? 

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের এমন প্রশ্নের মুখে পড়েছে এবার সরকারের শীর্ষমহল। আর এতে নড়ে চলে বসেছেন তারা। একারণে খালেদা জিয়া মুক্ত রাজনীতি করতে বাধা নেই এমনসব বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছেন বলেই শোনা গেছে। 

সর্বশেষ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককেও বলতে হয়েছে। এবং তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দুটি শর্ত অনুযায়ী, রাজনীতি করতে বাধা নেই। অন্যদিকে সরকারের এমন ভূমিকায় নানান ধরনের সন্দেহও করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, তাঁর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা না-করার বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ নাটক শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশ্য খারাপ। খালেদা জিয়া যেখানেই থাকুন, তিনি অবশ্যই রাজনীতি করবেন। কারণ, তিনি এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা নিয়ে আওয়ামী লীগের এত দরদ উথলে উঠল কেন- এমন  প্রশ্ন ফখরুলের। 

শেষ কথা..

দেশের বর্তমান এক ভিন্ন রাজনৈতকি পরিস্থিতি ও আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। দু-দলের পাল্টা পাল্টি কর্মসূচিতে হানাহানি বাড়ছে। দেখা দিচ্ছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের চাপও এখন অনেক সক্রিয়। সম্প্রতি একটি আশঙ্কাজনক অবস্থার কথা বলেছেন খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে দুই বড় দলের অনড় অবস্থান দেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, যদি নির্বাচন অনড় অবস্থানের মধ্যে হয় এবং কোনো একটি বড় দল অংশগ্রহণ না করে, তাহলে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ঝুঁকি থাকতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে এসব ঝুঁকিতে যেনো না পড়তে হয় সেজন্য দেশের ভেতরের থিং ট্যাংকও কাজ করে যাচ্ছে। অন্য দিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের আশঙ্কা বাংলাদেশে ভবিষ্যতে ভিন্ন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাদের জন্য বর্তমানে সংকটময় ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনে দিকে মোড় নেয়-তা-ও ভাবাচ্ছে তাদের। তবে এধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা আসন ভাগাভাগি জন্য নয়-এটাও নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র। সুত্র বলেছে একটি স্থিতিশীলী বাংলাদেশ গড়তে উভয় পক্ষ এখন কাজ করে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন