২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ১১:৩৫:৫১ পূর্বাহ্ন


সাকিবের অলরাউন্ড পারফরমেন্স
হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২৩
হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাকিবের সাফল্যের এক মুহূর্ত/ছবি সংগৃহীত


বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে সিনিয়রদের ব্যাপারে একটা উদাসীন ভাব বিদ্যমান। বেশ কিছুদিন যাবৎই চলে আসছে এমনটা। দলের ব্যর্থতা হলেই বিসিবিতে কানাঘুষা। সিনিয়রদের বাদ দিয়ে সেখানে যোগ্য কাউকে খুজে বের করার প্রাণন্ত চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু তাতে সফল হওয়া যায়নি। ঘুরেফিরে দলে সাফল্য পেতে সেই সিনিয়রদের উপরই ভর করতে হয়। যেমনটা চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ। এ ম্যাচে বাংলাদেশ ৫০ রানে সফরকারী ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অন্তত মুখ রক্ষা করেছে। সিরিজ শুরুর আগে প্রত্যাশা ছিল জয়ের। কিন্তু মিরপুরে সেটা হয়নি। টানা দুই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হার মেনে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে। 

কিন্তু সেখানে সিনিয়রদের যেমন ব্যর্থতা ছিল,তেমনি যাদের উপর ভরসা করার জন্য আস্থাশীল মনে করা হচ্ছে, তারা তো রীতিমত ব্যর্থ। তাতেই পরাস্ত। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরীতে সেটা আর হতে দেয়নি। ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীমের ৭৫ ও ৭০ রানের ইনিংসের সঙ্গে নাজমুল শান্তর হাফ সেঞ্চুরীর উপর ভর করে বাংলাদেশ ৪৮.৫ ওভারে অলআউট হয়ে সংগ্রহ করেছিল ২৪৬ রান। ৫ নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব ৭১ বলে করেন ৭৫ রান। তার আগে টপ অর্ডারের চরম ব্যর্থতায় উইকেটে পরে থেকে মুশফিকুর রহীম করেছিলেন ৯৩ বলে ৭০ রান। এর পাশাপাশি ওপেনার শান্ত’র ৭১ বলে করা ৫০ রানের ইনিংস দলের স্কোরটাকে নিয়ে যায় ওই পর্যায়ে। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে জোফরা আর্চার তিন উইকেট এছাড়া আদিল রশীদ ও স্যাম কুরান নেন দুটি করে উইকেট।  

এরপর ২৪৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে নেমে ইংল্যান্ড ব্যাটিং লাইন হয়ে পরে ছন্দহীন। বিশেষ করে মিরপুর শেরেবাংলায় যে পারফরমেন্স সেটা প্রদর্শনে ব্যর্থ ছিলেন তারা এ ম্যাচে। অবশ্য এর প্রধান কারন বাংলাদেশের স্পিনার। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান, তাইজুলদের ঘুর্নির সামনে আর দাড়াতে পারেনি তারা। দলের একজন ব্যাটসম্যানও হাফ সেঞ্চুরীও করতে পারেনি। আসা আর যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন তারা। সাকিব নেন চার উইকেট। মুলত ইংলিশ টপ অর্ডারে সাকিব আল হাসানই ধ্বস নামান। ১০ ওভার বোলিং করে ৩৫ রানে নেন ওই উইকেটগুলো। এছাড়া তাইজুল নেন দুই উইকেট। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন ভিনস। ৩৮ করেছিলেন তিনি। এছাড়া ফিল সল্ট এর ৩৫, ক্রিস ওয়েকসের ৩৪ রান উল্লেখযোগ্য। 

তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ এ জিতলো ইংল্যান্ড। প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ সাকিব আল হাসান। আর প্লেয়ার অব দ্যা সিরিজ হয়েছেন আদিল রশীদ।    


শেয়ার করুন