২৩ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৫:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন


বাজার ব্যবস্থা নিয়ে খন্দকার মোশাররফ এর প্রশ্ন
এতো খাদ্যপণ্য মজুদ থাকলে দাম বাড়ছে কেনো?
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৩-২০২৩
এতো খাদ্যপণ্য মজুদ থাকলে দাম বাড়ছে কেনো?


দেশে খাদ্যপণ্যের ‘পর্যাপ্ত মজুদ’ থাকলে দাম বাড়ছে কেনো প্রশ্ন তুলেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সোমবার দুপুরে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই প্রশ্ন তুলেন।

তিনি বলেন, ‘‘ গতকাল(রোববার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটা মিটিং করেছে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির ব্যাপারে। সেখানে বলেছে যে, দেশে নাকী খাদ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুদ পর্যাপ্ত আছে.. জনগনকে বলেছে যে, আতঙ্কিত হয়ে বেশি কেনাকাটা না করতে। কিন্তু বাজারের অবস্থা কি আপনারা জানেন। আমরা জানতে চাই, এতো খাদ্যপণ্য মজুদ থাকলে দাম বাড়ছে কেনো? সরকার সুস্পষ্টভাবে তার ব্যাখ্যা জনগনকে দেন।”


`খাদ্যপণ্যের মজুদ দিয়ে

সরকার ‘মিথ্যাচার’ করছে'


খাদ্যপণ্যের মজুদ দিয়ে সরকার ‘মিথ্যাচার’ করছে বলেও মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ। বাজারের বর্তমান চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘ আজকের পত্রিকায় আছে যে, জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। রমজানের মাসে কিভাবে চলবে মানুষ দিশেহারা। চিনির দাম কোথায় থেকে এসেছে এখন ১২০ টাকার উপনীত হয়েছে, গরুর মাংস ৮‘শ টাকার উপরে, লবনের দাম ৪২ টাকার উপরে, বয়লার মুরগীর দাম যেটা ১২০-১৪০ টাকা ছিলো এখন এটার কত দাম? বাজারে গিয়ে দেখেন মানুষ কি পরিমান সরকারকে গালাগালি করে। অতীতে কোনো সময় মুরগী, ইলিশ মাছ, রুই মাছ কেটে এক‘শ-দুই‘শ গ্রাম অথবা আড়াই‘শ গ্রাম ভাগ করে বিক্রি করার কোনো রেওয়াজ এদেশে ছিলো না। আজকে কাঁচা বাজারে মুরগী, ইলিশ মাছ, রুই মাছ ভাগ করে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। তারপরেও সরকার বলছে, দেশে নাকী খাদ্যপণ্য পর্যাপ্ত মজুদ আছে। কি পরিমান চাপাবাজী করছে ওরা জনগনের সাথে।”


খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ কেনো  জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে? কেনো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার? কারণ একটাই- সরকারের যারা মদদপুষ্ট ব্যবসায়ী আছে তাদের সিন্ডিকেটের কারণেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। জনগনের পকেট থেকে তারা অর্থ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দাম বাড়িয়ে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেগা প্রজেক্ট করার কারণে, মেগা দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি হচ্ছে। এই লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনীতি আজকে ধবংসের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে।”


গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহীদদের স্মরনে রচিত ‘মৃত্যুকূপে ধাবমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের দ্বিতীয় খন্ডের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। সংকলিত গ্রন্থের ওপর বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক মমতাজ হোসেন ও গ্র্রন্থের সম্পাদনা পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদ।


‘বিএনপি না গেলে নির্বাচন

অংশগ্রহনমূলক হবে না’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ আজকে এটা প্রমাণিত আন্তর্জাতিকভাবে এটা স্বীকৃত যে, এই যেসব নির্বাচন হয়েছে তারা এটাকে নির্বাচন মনে করে না। তার জন্যে কিন্তু সারাবিশ্বে বিভিন্ন দেশ এই সরকারকে সবক দিচ্ছে যে, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহনমূলক হতে হবে। বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় দল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যদি এদেশে নির্বাচনে অংশগ্রহন না করে সেটা অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন হবে না, হতে পারে না। আগের নির্বাচন(২০১৮) ভোট ডাকাতি করেছে, এর আগে বয়কটের নির্বাচন(২০১৪) করেছে কিন্তু এগুলোকে আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন মনে করে না। সেজন্য কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে।”  


এই অবস্থা থেকে উত্তরণে বিএনপির দেয়া ১০ দফার আন্দোলনেই সরকারে পরিবর্তন আনতে হবে বলে পেশাজীবীদের আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।


জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়ার পরিষদের অধ্যাপক লুতফুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ, অধ্যাপক ইয়ারুল কবির, অধ্যাপক শামসুল আলম, আবদুল্লাহহিল মাসুদ, রুহুল আলম, আখতার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, সাইদুর রহমান মিহির বক্তব্য রাখেন।


শেয়ার করুন