২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ১১:৫৫:১৩ পূর্বাহ্ন


এনআরবিসি ব্যাংকের রাশিয়ান অলিগার্ক পারভেজ তমাল?
হাছান আদনান
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৩-২০২২
এনআরবিসি ব্যাংকের রাশিয়ান অলিগার্ক পারভেজ তমাল? পারভেজ তমাল


বছর চারেক আগের কথা। হঠাৎ করেই দেশের ব্যাংক খাতে আভিভর্‚ত হন পারভেজ তমাল। বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তেেপ চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ অলংকৃত করেন তিনি। চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই নিজেকে পরিচয় দিতে থাকেন রাশিয়ান অলিগার্ক হিসেবে। প্রচার করেন, রাশিয়ায় তার রয়েছে বিশাল অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য। একটি ব্যাংকের মালিকানার পাশাপাশি রাশিয়ার আইটি খাতে বিচরণ রয়েছে তার।

কিন্তু ২০১৭-১৮ সালে রাশিয়ায় যে অর্থ-সম্পদের দাপট তিনি দেখাতেন, সেটি এরই মধ্যে ফিকে হয়ে গিয়েছে। চার বছর ধরে এনআরবিসি ব্যাংকে বসেই সময় কাটছে পারভেজ তমালের। ব্যাংকটির জনবল নিয়োগ, পদোন্নতি, ঋণ বিতরণ, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও কেনাকাটা থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মকাÐেই হস্তপে করছেন তিনি। একক নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বে চলতে গিয়ে পদে পদে আইন ও রীতিনীতি লঙ্ঘিত হচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংকে। এ নিয়ে ব্যাংকটির পরিচালকরা দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

২০১৭ সালে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় পারভেজ তমাল বলেছিলেন, তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সম্পদশালী ব্যক্তিদের একজন। তার রয়েছে শত শত কোটি টাকা। ব্যাংকের প্রয়োজনে যে কোনো সহযোগিতাই করতে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। যদিও চার বছর পর এসে দেখা যাচ্ছে, পারভেজ তমালসহ কয়েকজন পরিচালক নিজ ব্যাংকের সঙ্গেই ব্যবসায় নেমেছেন। ব্যাংকের নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে খোলা হয়েছে এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। এ কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে ব্যাংকটির ক্যাশ কর্মকর্তা থেকে নিম্নতম পদের কর্মচারীদের। এরই মধ্যে এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের মাধ্যমে দেড় হাজারের বেশি জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব নিয়োগের েেত্র বড় অঙ্কের ঘুষ বাণিজ্যেরও অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে ব্যাংকটির সব কেনাকাটার েেত্রও অনিয়ম-দুর্নীতি ঘটছে বলে পরিচালকরা অভিযোগ তুলেছেন। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এনআরবিসি ব্যাংকের কেনাকাটায় মুখ্য ভ‚মিকা রাখছে পরিচালক আদনান ইমামের কোম্পানি। তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের ব্যবসায়িক অংশীদার। স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে বেশি টাকায় পণ্য কিনে ব্যাংকের অর্থ লোপাট করা হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।

দেশের অন্য ব্যাংকগুলোর মতো এনআরবিসি ব্যাংকেও একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রয়েছেন। আইন অনুযায়ী, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত তারই নেয়ার কথা। যদিও এনআরবিসি ব্যাংকের েেত্র এ নীতি একেবারেই ভিন্ন। বছর চারেক ধরে ফাইলে সই করার পাশাপাশি চেয়ারম্যানের সঙ্গ দেয়াই ব্যাংকটির শীর্ষ নির্বাহীর প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। চেয়ারম্যানসহ তার আশীর্বাদপুষ্ট কয়েকজন পরিচালক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগও জমা পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প থেকে সেসব অভিযোগ তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ঋত কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় বছর চারেক আগে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে হস্তপে করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। অনিয়মের সহযোগী হওয়ায় ওই সময় অপসারণ করা হয়েছিল ব্যাংকটির শীর্ষ নির্বাহীকে। আমূল পরিবর্তন আসে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানসহ নীতিনির্ধারণী সব পদে। ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফরাসত আলীকে সরিয়ে পারভেজ তমাল দায়িত্ব নেন।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনআরবিসি ব্যাংকের একজন পরিচালক এ প্রতিনিধিকে বলেন, ২০১৭ সালে বিড়ালের মুখ থেকে নিয়ে এনআরবিসি ব্যাংককে কুমিরের মুখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ব্যাংকটির প্রতিটি কর্মকাÐই পরিচালিত হচ্ছে চেয়ারম্যানের ইশারায়। কমিশনের বিনিময়ে তিনি ঋত বিতরণ করছেন। পর্ষদের সভায় অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গেলেই হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে।

উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন দাবি করে পারভেজ তমাল বলেন, আমি হাল না ধরলে এনআরবিসি ব্যাংকের পরিণতিও ফারমার্স ব্যাংকের মতো হতো। চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণের সময় এনআরবিসি ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণ ছিল ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ঋণই খারাপ ছিল। ওই সময় খারাপ ঋণগুলো খেলাপি করে দিলে ব্যাংক টিকতো না। বর্তমানে এনআরবিসি ১৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাংকে উন্নীত হয়েছে। রাশিয়ায় একটি ব্যাংক চালানোর অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমি এনআরবিসি ব্যাংককে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। সমসাময়িক অন্য ব্যাংকগুলোর তুলনায় এ ব্যাংকের অটোমেশন ও প্রযুক্তি অনেক বেশি সমৃদ্ধ। আমি প্রকৌশলী বলে এটি সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রায় চার বছর ধরে আমি এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে আছি। এর মধ্যে আমি তিনবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম। গত নভেম্বরেও আমি পদত্যাগ করতে চেয়েছি। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকেও জানিয়েছিলাম। সবার অনুরোধেই চেয়ারম্যান পদে থেকেছি।’

সূত্র বলছে, পারভেজ তমাল রাশিয়ার সিস্টেম ইনভেস্ট ট্রেকপরুডনায়া নামের একটি কোম্পানির পরিচালক। এছাড়া তিনি মস্কোভিত্তিক আরঅ্যান্ডএম নামের একটি কোম্পানিরও স্বত্বাধিকারী। ফিনল্যান্ডে টেলেক্সিয়া নামের একটি কোম্পানিরও পর্ষদে রয়েছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, রাশিয়ায় পারভেজ তমালের যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল, সেটির ওপর ২০১৪ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকেই তার কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় ধস নামে। বর্তমানে রাশিয়ায় পারভেজ তমালের কোম্পানিটির ব্যবসায়িক পরিস্থিতি একেবারেই নাজুক। এছাড়া ফিনল্যান্ডে থাকা তার ব্যবসার অবস্থাও তথৈবচ।

বিষয়টি স্বীকার করছেন পারভেজ তমাল নিজেও। তিনি বলেন, রাশিয়ায় যে কোম্পানিটির আমি অংশীদার ছিলাম, সেটি ছিল দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম আইটি কোম্পানি। ২০১৩ সালে কোম্পানিটির টার্নওভার ছিল ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর কোম্পানির সম্পদের দাম পড়ে যায়। এখন রাশিয়ায় আইটি কোম্পানি বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থেকে আইটি কোম্পানির ব্যবসা করা যায় না। রাশিয়ায় পারভেজ তমালের কোম্পানিতে বিট কয়েনসহ বিভিন্ন ভার্চুয়াল মুদ্রার মাইনিং হতো বলে তিনি দাবি করেছেন।

সম্প্রতি এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন পরিচালক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০ দফা অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে। ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান বরাবর অভিযোগপত্রটি জমা দেয়া হয়। এতে চেয়ারম্যান পারভেজ তমালসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

ব্যাংকের কোভিড-১৯ আক্রান্ত কর্মকর্তাদের আইসোলেশনের জন্য ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীর নিকুঞ্জে একটি বাড়ি ভাড়া নেয়া হয়। ব্যাংকের টাকায় ভাড়া নেয়া ওই বাড়িটিতে একজন কর্মকর্তাকেও আইসোলেশনের জন্য পাঠানো হয়নি। উল্টো শুরু থেকে ওই বাড়িতে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বসবাস করছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, বাড়িটির যাবতীয় ব্যয় ব্যাংকের ‘বিজনেস প্রমোশন’ খাতে দেখানো হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পারভেজ তমাল বলেন, ‘নিকুঞ্জের যে বাড়িতে আমি থাকি, সেটি আমার এক আত্মীয়ের। মাসে ২ লাখ টাকা ভাড়া দেয়ার সামর্থ্য আমার রয়েছে। এেেত্র ব্যাংকের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার বিরুদ্ধে কমিশন খেয়ে ঋত দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু এ অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। ব্যাংকের এক টাকার ঋণ আমি কমিশনের বিনিময়ে দিয়েছি, এটি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।’

বড় ধরনের রদবদলের পর থেকে এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আছেন একেএম মোস্তাফিজুর রহমান। ব্যাংকটি কেমন চলছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শতভাগ ভালো চলছে সেটি বলব না। পরিচালনার েেত্র ত্রæটিবিচ্যুতি থাকতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি ব্যাংকটিকে ভালোভাবে পরিচালনা করতে।’ এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামের কোম্পানির উদ্যোক্তাদের মধ্যেও রয়েছেন একেএম মোস্তাফিজুর রহমান।

এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামের কোম্পানি খুলে ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসা করার বিষয়ে জানতে চাইলে পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংকের ১৭ জন শেয়ারহোল্ডারের উদ্যোগে এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামের কোম্পানিটি তৈরি করা হয়েছে। ব্যাংকের কর্মকর্তারাই কোম্পানিটি পরিচালনা করছেন। ব্যাংকের নিম্নপদগুলোর জনবল নিয়োগ দেয়ার েেত্র কোম্পানিটি ভ‚মিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে পরিচালকদের তদবিরে এনআরবিসি ব্যাংকে লোকবল নিয়োগ দিতে হচ্ছে বলে আপে পারভেজ তমালের। তিনি বলেন, এ ব্যাংকের জনবল সিটি ব্যাংকের চেয়েও বেশি। একেকজন পরিচালকের তদবিরে এক-দেড়শজনকে চাকরি দিতে হয়েছে। কিন্তু কেউ বলতে পারবে না, আমি একজনকেও নিয়োগ দিয়েছি। আমার এলাকার কাউকে আমি নিয়োগ দিইনি।

পরিচালকরা নিজ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, চেয়ারম্যান, এমডি কিংবা কোনো পরিচালক নিজ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারেন না। এটি কনফিক্ট অব ইন্টারেস্ট বা স্বার্থ সংঘাতের মধ্যে পড়ে। ব্যাংকের নামের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যক্তিগত কোনো কোম্পানি গঠনেরও বিধান নেই। যে কোনো ব্যাংকের জনবল নিয়োগ, কেনাকাটা থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ে নিজস্ব নীতিমালা থাকে। এ নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে যদি কিছু হয়, সেটি অবশ্যই অপরাধ।

এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের প থেকে দেয়া অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগের বিষয়ে আমি জ্ঞাত নই। তবে সব অভিযোগই বাংলাদেশ ব্যাংক গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। যদি এনআরবিসি ব্যাংকে এ ধরনের কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়, সেেেত্র বাংলাদেশ ব্যাংকই উদ্যোগী হয়ে ব্যবস্থা নেবে। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলার স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান খুবই কঠোর।

বছরখানেক ধরে দেশের পুঁজিবাজারেও দাপট বাড়ছে পারভেজ তমালের। এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারের দামে উল্লম্ফনের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে বেশকিছু কোম্পানির অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির েেত্রও তার ভ‚মিকার কথা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পারভেজ তমাল বলেন, ‘গত বছরের মে মাসের আগে দেশের পুঁজিবাজারে আমার কোনো বিনিয়োগই ছিল না। এরপর আমি পুঁজিবাজারে যুক্ত হয়েছি। জানাশোনার কারণে অনেকেই পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত পরামর্শ নিতে আমার কাছে আসেন। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এনআরবিসির শেয়ার কিনে লাভবান হয়েছেন। এ কারণে তিনিও আমার পরামর্শ নেন। এেেত্র অন্যায় কিছু দেখছি না।’ নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ৩০-৪০ হাজার শেয়ার উপহার হিসেবে পেয়েছেন বলে দাবি পারভেজ তমালের।

প্রতিষ্ঠার সময় থেকে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন ফরাসত আলী। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এ উদ্যোক্তা বলেন, ‘পরিচালকদের একটি অংশ চেয়েছিল চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দিই। আত্মসম্মান রার স্বার্থেই চেয়ারম্যান পদ ছাড়ার পাশাপাশি দেশও ছেড়ে এসেছি। এখন এনআরবিসি ব্যাংকের বিষয়ে অনেক কিছুই শুনছি। খারাপ সংবাদ শুনলে ব্যথিত হই। পরিচালকদের বলেছি, তোমরা আর যা-ই করো, ব্যাংকটিকে ধ্বংস করো না। ব্যাংকটিকে বাঁচাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়বদ্ধতা রয়েছে।’


শেয়ার করুন