২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৪:২৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


প্রফেসর ইউনূসকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৩-২০২৩
প্রফেসর ইউনূসকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ৪০ বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বের দেয়া খোলাচিঠি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেহেতু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই ঐ চিঠি তাই তো তার জবাবে কিছু মন্তব্য তিনি করেছেন। কাতার থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘দেশে কতগুলো আইন আছে। সে অনুযায়ী সব চলে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে শ্রম আদালত সেটা দেখেন। এক্ষেত্রে সরকারপ্রধান হিসেবে আমার তো কিছু করার নেই। কাজেই এখানে আমাকেই বা কেন বলা হলো? তাও বিদেশি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে কেন?’

গত ১৩ মার্চ সোমবার বিকালে কাতার সফর প্রসঙ্গে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি একটা ভুল করছেন, সেটা ঠিক বিবৃতি নয়। এটা একটা অ্যাডভারটাইজমেন্ট (বিজ্ঞাপন)। ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে। এর উত্তর কী দেব, জানি না। তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে, সেটা হলো, যিনি এত নামীদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তার জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভারটাইজমেন্ট দিতে হবে কেন? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়। বিজ্ঞাপন কেন দিতে হলো?’

দেশে কতগুলো আইন আছে, সে অনুযায়ী সব চলে এবং চলবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ করি। যারা ট্যাক্স ঠিকমতো দেয়, সেটা আলাদা বিভাগ আছে, ট্যাক্স আদায় করে। কেউ যদি এখন এ সমস্ত বিষয়ে কোনো রকম আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের কোনো অধিকার কেড়ে নেয়, শ্রম আদালত আছে, সেটা দেখেন। এক্ষেত্রে আমার তো কিছু করার নেই সরকারপ্রধান হিসেবে। এর বাইরে আমি আর কী বলব? পদ্মা সেতু কিন্তু করে ফেলেছি। খালি এটুকু সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিলাম,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য,৭ মার্চ রাজনীতি, কূটনীতি, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ৪০ বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলাচিঠি পাঠান। সেটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টে পূর্ণ পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রকাশিত হয়। চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়রের মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের নাম ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিরও চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমি বিশ্বাস করি, এটা কেউ কিছু করতে পারবে না। হয়তো সাময়িক কিছু একটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু সেটা মোকাবিলা করবে আমাদের দেশের জনগণই।

শেয়ার করুন